পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ło সাংখ্যতত্ত্ব-কোঁমুদী | তাহীকে পক্ষসম বলে, যেমন "ঘটঃ অনিত্যঃ কার্য্যত্বাৎ, এখানে ঘটট পক্ষ, পট গ্রভৃতি পক্ষসম ; কেন না, কাৰ্য্য বলিয়া পট প্রভৃতিও অনিত্য ইহা গ্ৰতিপাদন করিতে হইবে। যে একটর জ্ঞান দ্বারা অপর একটর জ্ঞান হয়, তাহাকে হেতু বলে। যাহার জ্ঞান হয়, তাহার নাম সাধ্য, "পৰ্ব্বতে বন্ধিমান ধুম্নাং” এখানে বহ্লিট সাধা, ধূমটা হেতু। হেতুর স্তায় আভাসমান দুষ্ট হেতুকে হেত্বাতাস বলে, জ্ঞান যে বিষয়ে হইয়া অনুমিতি বা তৎকরণ ব্যাপ্তিজ্ঞানের বিরোধী হয়, তাহার নাম হেত্বাভাস। হেত্বাভাস পাঁচ প্রকার,—অনৈকান্ত, বিরুদ্ধ, অসিদ্ধ, সংপ্ৰতিপক্ষ ও বাধিত সাধ্যক। অনৈকান্ত বা ব্যভিচারী হেতু তিন প্রকার,—সাধারণ, অসাধারণ, ও অস্থপসংহারী, যে হেতুটা সপক্ষ বিপক্ষ উভয়ে থাকে তাহার নাম সাধারণ। যেটা উক্ত উভয়ের কোনটীতে থাকে না, তাহাকে অসাধারণ বলে। যে হেতুর সাধাটা কেবলাম্বয়ী অর্থাং সৰ্ব্বত্র বিদ্যমান, তাহাকে অনুপসংহারী বলে যে হেতুটী সাধ্যাপিকরণে কখনই থাকে না, তাহাকে বিরুদ্ধ বলে । আশ্রয়াসিদ্ধি, স্বরূপাসিদ্ধি অর্থাৎ হেত্বসিদ্ধি ও ব্যাপ্ত সিদ্ধি এই তিন প্রকার অক্সিদ্ধি। বিরুদ্ধ হেতুদ্বয়ের পরামর্শ হইলে, সংপ্ৰতিপক্ষ বলে । পক্ষটা সাধারহিত হইলে বাধ বলে । বাহুল ভযে ইহাদের বিশেষ বিবরণ দেওয়া श्ल नां । - ব্যাপ্তি দুই প্রকার,—অন্বয়-ব্যাপ্তি ও ব্যতিরেক-ব্যাপ্তি, “তৎসত্ত্বে তৎসত্তা অস্বয়ঃ” যেখানে ব্যাপ। ধূমাদি থাকে, সেখানে ব্যাপক বস্থাদি অবশুই থাকিবে, এরূপ ব্যাপ্তিকে অন্বয়ব্যাপ্তি বলে। অস্বয়ব্যাপ্তিস্থলে হেতু ও সাধোর সামানাধিকরণ অর্থাৎ একত্র অবস্থান পূৰ্ব্বে লক্ষিত হয়, পাকশালাতে ধুম ও বঙ্কুির সামানাধিকরণ গ্রত্যক্ষ হয়। কৌমুদীর প্রদর্শিত বীত অনুমানটী এই অন্বয়ব্যাপ্তি-মুলক। পূৰ্ব্ববৎ ও সামান্ততোদৃষ্ট উহারই অৰান্তরভেদ, উভয়েরই মূলে অস্বয়ব্যাপ্তি আছে, বিশেষ এই পূৰ্ব্ববৎস্থলে বঙ্কুিরুপ সাধ্যের সহিত ধূমের সামানাধিকরণ্য পাকশালাদিতে গৃহীত হয়। সামান্ততোদৃষ্ট স্থলে সেরূপ হয় না, মোটামুটী সামান্তভাবে ব্যাপ্তিস্থির হক্টর পরিশেষে বিশেষরূপে সাধাজ্ঞান হয়, ইন্দ্রিয়ামুমানে এ বিষয় অম্বুবাদে বলা হইয়াছে । , - . “তদসত্বে তদসত্তা” “ব্যাপকাভাবাং ব্যাপ্যাভাবঃ” যেখানে ব্যাপক বয়াদি নাই, সেখানে ব্যাপ্য ধূমাদি নাই, থাকিতেই পারে না, এইরূপ ব্যাপ্তিকে