পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংখ্যতত্ত্ব-কোঁমুী । - • ব্যতিরেকব্যাধি বলে। কৌমুদীর লিখিত অবীত অনুমানটা এই ব্যতিরেকব্যাপ্তিমুলক। এ স্থলে হেতুসাধ্যের সামানাধিকরণ জ্ঞান পূৰ্ব্বে না হইলেও চলে। স্থলবিশেষে সাধাজ্ঞান পূৰ্ব্বে হইতেই পারে না, স্থলবিশেষে যোগ্যতা থাকিয় না হইলেও ক্ষতি হয় না। “ইয়ং (পৃথিবী)পৃথিবীতরভিয়া গন্ধবত্বাং" যাহাতে গন্ধ আছে, সেই পদার্থটা পৃথিবীর ইতর জলাদি হইতে ভিন্ন, জলদি নহে অর্থাৎ পৃথিবী। যাহতে গন্ধ আছে, সেইটী পৃথিবী, এ বিষয় অনুমানের ' পূৰ্ব্বে জানা যায় না; কিন্তু পৃথিবীতর-ভেদের অভাব (ব্যাপকভাব) জলাদিতে আছে, সেখানে গন্ধেরও অভাব আছে ; অতএব “তদভাবব্যাপকীভূতাভাবএতিযোগ্নিস্থং” অর্থাৎ সাধ্যাভাবের ব্যাপক যে অভাব সেই অভাবের প্রতিযোগী হেতু, এইরূপ ব্যতিরেক বাপ্তিগ্রহ হইতে পারে। হেতুর ব্যাপক সাধা হয়, সাধ্যাভাবের ব্যাপক হেত্বভাব, যেখানে ধুম আছে, সেখানে বহি আছে, যেখানে বস্থির অভাব আছে, সেখানে ঘুমের অভাব আছে। গন্ধটা গুণ পদার্থ সুতরাং দ্রব্যে থাকে, জলাদিও দ্রব্য, সুতরাং তাহাতে গন্ধের থাকা সম্ভব ছিল, নিষেধ করা হইয়ছে । গুণাদিতে গুণ থাকিতে পারে না, সুতরাং নিষেধের আবগুকত নাই। গরিশেষে বেটী থাকিল, সেইটী পৃথিবী, গন্ধ সেখানেই থাকে, অতএব গন্ধজ্ঞান দ্বারা পৃথিবীত্বের জ্ঞান হইতে পারে। উক্ত অস্বয় ও বাতিরেক-ব্যাপ্তি হষ্টতে কেবলম্বী, কেবল বাতিরেকী ও অস্বয়ব্যতিরোকী-রূপ তিন প্রকার অনুমান হয়। যাহার বিপক্ষ নাই সেইটী কেবলায়ী, যেমন “ধট অভিধেয়ঃ প্ৰমেয়াৎ" এখানে বস্তুমাত্রই অভিয়ে, সুতরাং ফোন স্থানেই অভিধেয়ত্বরূপ সাধের অভাব নিশ্চয় হয় না। যাহার সপক্ষ নাই, তাহাকে কেবল-ব্যতিরেকী বলে, “পৃথিবী ইতরেভো ভিদাতে গন্ধবস্থাৎ" এ স্থলে যেখানে গন্ধ আছে, সেখানে পৃথিবীতর জলাদি অষ্টদ্রব্য ও গুণাদি পঞ্চ পদার্থের (গুণ, কৰ্ম্ম, সামান্ত, বিশেষ ও সমবায়ের ) ভেদ আছে, এ বিষয় অকুমানের পূৰ্ব্বে নিশ্চয় হয় না, কাজেই সাধোর নিশ্চয় নাই বলিয়া এটা কেবল-বাতিরেকী। যেখানে সপক্ষ বিপক্ষ উভয় থাকে, তাহাকে অন্বয় ব্যতিরেকী বলে, যেমন "বহ্রিমান ཝཱ་༨” এ স্থলে মহানসাদি’সপক্ষ ও জলহ্লদাদি বিপক্ষ উভয়ই আছে । - ব্যাপ্যের পক্ষবৃত্তিতা জ্ঞানের নাম পরামর্শ, অর্থাৎ বহিব্যাপা ধুম পৰ্ব্বতে আছে, এইটা পরামর্শজ্ঞান। অনুমিতির ঐতি বাপ্তিজ্ঞান করণ ও পরামর্শ ব্যাপার। পরামর্শ না হইলে অনুমিতি হয় না । -