পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী, । - Q:(t হয়। স্বতঃপ্রামাণ্যবাদীও সংশয়ের অনুরোধে দোষাভাবের উল্লেখ করিয়াছেন, “দোষাভাবে সতি যাবৎ স্বাশ্রয়-গ্রাহক-সামগ্রীগ্রাহভং স্বতন্তুং” স্ব শব্দে’ এমাত্ব, তাহার আশ্রয় চিত্তবৃত্তিরূপ-জ্ঞান, তাহার গ্রাহক বেদান্তমতে সাক্ষিচৈতন্য, সাংখ্যমতে চিতিশক্তি পুরুষ, পুরুষরূপ চৈতন্ত চিত্তবৃত্তিরূপ জ্ঞানের গ্রহণকালে তদগত প্রমাত্বও গ্রহণ করে। “জ্ঞান-জনক-সামগ্রাতিরিক্তজন্তত্বং পরতত্ত্বং” অর্থাৎ জ্ঞানের কারণ যে সমস্ত তদতিরিক্ত কোন পদার্থ দ্বারা । জন্মিলে, তাহাকে পরতঃপ্রমাণ বলে । স্তায়মতে তাদৃশ অতিরিক্ত কারণ গুণ, “দোষোই প্রমায়াজনকঃ প্রমায়াস্তু গুণোভবেৎ’ পিত্তগুরত্ব দি দোষ অপ্রমারজনক । বিশেষণযুক্ত বিশেষ্যে ইন্দ্রিয় সন্নিকর্ষ ইত্যাদি গুণ প্রমার জনক। প্রমাণ সাধারণে অনুগত দোষ বা গুণ নাই, প্রমাণভেদে দোষ গুণের ভেদ আছে। স্বতঃপ্রমাণবাদী বলেন, যদিচ দোষাভাবরূপ অতিরিক্ত কারণটা প্রমাত্বনিশ্চয়ের হেতু হয়, তথাপি উহা ভাবরূপ নহে, আগন্তুক ভাবজষ্ঠ হইলেই, স্বতঃগ্রামাণ্যের হানি হয় । o - বেদ পৌরুষ্ট্রেয় অর্থাৎ পুরুষকৃত নহে। এ বিষয়, “বেদ অপৌরুষেয়ঃ সম্প্রদায়াবিচ্ছেদেসতি অস্বৰ্য্যমাণকর্তৃকত্বাং আত্মবং” এইরূপ অনুমান দ্বার প্রতিপন্ন করা যাইতে পারে। বেদের সম্প্রদায় অর্থাৎ প্রবাহ অবিচ্ছিন্ন, উইকে কেহ রচনা করিয়াছে এরূপ ও জানা যায় না, অতএব আত্মার স্তায় উহ অপৌরষেয় । মীমাংসকমতে ঈশ্বর নাই। কেবল বেদ বলিয়া কথা নহে, শব্দমাত্রই নিত্য। সাংখ্যমতেও বেদকর্তা ঈশ্বর নাই, আদি বিদ্বান কপিল মহর্ষি পূৰ্ব্বকল্পের অধীত বেদের স্মরণ করিয়া পরকল্পে ཡཱ་མ་সাধারণে প্রচার করেন। শব্দের নিজের কোন দোষ নাই, একই শব্দ দ্বারা সত্য মিথ্যা উভয়বিধ পদার্থের বোধ হইতে পারে। ভ্রান্ত পুরুষ দ্বারা উচ্চারিত হইয়া সেই ভ্রম শব্দে আরোপ হয় মাত্র। অপৌরুষেয় নিত্যবেদে সেরূপ দোষারোপের সম্ভাবনা নাই। বেদকে পৌরুষেয় বলিলেও কোন ক্ষতি নাই, কারণ সে পক্ষেও বেদের কর্তা ঈশ্বর, তাহাতে ভ্রম প্রভৃতি কৌন দোষের লেশমাত্র নাই, সুতরাং উচ্চারয়িতার দোষ শব্দে সংক্রমিত হইবার কোন আশঙ্কা নাই । - একমাত্র বেদই প্রমাণ ; স্মৃতি, ইতিহাস ও পুরাণাদির গ্রামাণ্য বেদমূলক, অর্থাৎ বেদকে স্মরণ করিয়াই মন্ত্র গ্রভৃতি স্থতি ও ইতিহাস পুরাণাদি বিরচিত হইয়াছে; এই নিমিষ্ট্রই বেদের ইতর সাধারণ শাস্ত্রকেই (কেবল