পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭• সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী। “উক্ত পক্ষচতুষ্টয়ের মধ্যে প্রথম তিনটা পক্ষে প্রধান সিদ্ধি হয় না। প্রধানের ( জগতের মূলকরণের) স্বভাব অর্থাৎ স্বরূপ সত্ব, রজঃ ও তমঃ গুণত্রয় ; স্বখটী সত্বের, দুঃখটী রজের এবং মোহটী তমের ধৰ্ম্ম অর্থাৎ কার্য্য। সাংখ্যমতে কাৰ্য্য ও কারণের অভেদ এবং মুখছঃখাদি বিষয়ের ধৰ্ম্ম, মৃতরাং পূৰ্ব্বোক্ত શિરાমটী সুখ দুঃখ মোহরূপ বিশেষযুক্ত এবং স্বরূপের ( প্রধানের ) পরিণাম শব্দাদি গ্রপঞ্চের অভিন্ন, অর্থাৎ সুখদুঃখাদিবিশিষ্ট শব্দাদি সংগ্রপঞ্চ প্রলয়কালে অব্যক্ত অবস্থায় প্রধানে থাকিয়া স্বষ্টিকালে তাহ হইতে আবিভূত হয়। অসৎ হইতে সতের উৎপত্তি (শুনামতে ) হইলে অসংটা নিরূপাখা অর্থাৎ অনিৰ্ব্বচনীয় (যাহাকে বিশেষ করিয়া বলা যায় না) হইয়া কিরূপুে মুখাদিস্বরূপ শব্দাদির অভিন্ন হইবে ? সৎ ও অসতের কাদাত্মা ( অভেদ ) হইতে পারে না । এক পরমার্থ সুং পদার্থের বিবন্ত (স্বাঞ্জানকল্পিত, মিথ্যা ) শব্দাদি প্রপঞ্চ এরূপ বলিলেও (অদ্বৈতমতে ) ‘সৎ হইতে সতের জন্ম হয়’, এ কথা বলা इइंग न, কারণ, (উক্তমতে) অদ্বিতীয় ব্ৰহ্ম সংশযাদি গ্রপঞ্চাত্মক হয় এরূপ নহে, কিন্তু পঞ্চরহিত ব্রহ্মের প্রপঞ্চাভিন্নরূপে জ্ঞান হয়, উহা ভ্রম মাত্র। কণাদ ও অক্ষপাদ গোতমের মতে সংকারণ পরমাণু হইতে অসৎকার্য দ্বাণুকাদির উৎপত্তি হয়, উহাদের মতেও সৎ ও আসতের ঐক্যের সম্ভাবনা নাই, স্বৰ্তরাং কারণটা কার্যাত্মক অর্থাৎ কার্যের অভিন্ন হইতে পারে না, কাজেই প্রধানের ‘সিদ্ধি হয় না। অতএব প্রধান সিদ্ধির নিমিত্ত মুলকার প্রথমতঃ “কার্য সং” ইণই তিপাদন করিতেছেন। + মন্তব্য। বৌদ্ধ চারি গ্রকার ; মাধ্যমিক, যোগাচার, সোঁত্রাস্তিক ও বৈভাধিক । মাধ্যমিক সৰ্ব্বশূন্থতাবাদী, যোগাচার বাহশূন্ততা অর্থাৎ বিজ্ঞানবাদী, সৌত্ৰাস্তিক বাহপদার্থের অনুমেয়তাবাদী ও বৈভাষিক বাহপদার্থের অগত্যক্ষতাবাদী। সকল মতেই পদার্থ ক্ষণিক অর্থাৎ একক্ষণ স্থায়ী। শূন্তবাদই ধোঁদ্ধের অভিমত,শিষ্যগণ একরূপ উপদেশ শ্রবণ করিয়াও আপন আপন অধিকারভেদে পূৰ্ব্বোক্ত গরি সম্প্রদায়ে বিভক্ত হইয়াছে। বোদ্ধারভেদে একরূপ বাক্য হইতেওঁ নানাবিধ অর্থবােধ হয় “গতে মৰ্ক ইহার প্রধান দৃষ্টান্তস্থল শূন্যবাদী মাধ্যমিকগণের মতে অভাব হইতে ভাব কার্যের উৎপত্তি হয় “অভাবাভাবোৎপত্তিঃ নামুপযুদ্য গ্রাহুর্তাবাৎ ” শূন্যবাদীগণ স্বমতের পোষকরূপে “অসদেবেদ মগ্র আগীং” ইত্যাদি প্রতি প্রমাণ দিয়া থাকেন। বীজাদির নাশ হইলেই অম্বুরাদি জন্মে, দুখাদির নাশে দধ্যাধি জন্মে, অতএব