পাতা:সাগরের ডাক-কুমুদনাথ লাহিড়ী.djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাগরের ডাক ] মালী ওঃ—তাইত। দিচ্ছি আজ্ঞে । নবীনচন্দ্র একেবারে চোখ বুজে থাকিস না” কি ? না দেখিয়ে দিলে কিছুই দেখবি নি ? তোদের দেশের ধরণটাই ঐরুপ । যা-য, আলো আন । [ মালীর প্রস্থান ] সমস্তু দেশের অবস্থাটা বাগানের ঐ মালীর গায়ে লেখা রয়েছে। চোখটা একেবারেই খুলতে চায় না! পদে পদে কত যে ঠোকর খাচ্ছে— তবু হুস নেই। সেই মান্ধাতার আমলের ভাবগুলো একেবারে রক্তমাংসের সঙ্গে জড়িয়ে জড়িয়ে নিজেরা বরফের মত জমাট বেঁধে উঠছে, তীব্র উত্তাপ না পেলে কিছুতেই আর গলছে না, দেখছি। [ মালী আলো জালিয়া দিল। বন্ধুর দল আসিলেন, তন্মধ্যে চঞ্চলকুমার ও মধু। নবীনচন্দ্রের সঙ্গে প্রত্যুেকের নমস্কার-বিনিময় হইল। চঞ্চলকুমার মধুকে নবীনচন্দ্রের সঙ্গে "সাগরপিপাস্থ” বলিয়া পরিচিত করিয়া দিল। নবীচন্দ্র মৃদু হাস্তে তাহাকে ধন্যবাদ দিলেন। তারপর সকলে খোলা ঘরটার মধ্যে প্রবেশ করিলেন—সেখানে কতকগুলি বেঞ্চপাত, তদুপরি বন্ধুবৰ্গ উপবিষ্ট হইলেন এবং সকলের সম্মুখে কিঞ্চিৎ দূরে একটা উচ্চ বেদীতে নবীনচন্দ্র যাইয়া বসিলেন । ঘরটা থানিকক্ষণ নিস্তব্ধ রহিল। তারপর দলের দুই তিন জনের দ্বারা গীত-আরম্ভ। ] গান (মিশ্রভৈরবী—একতালা) অন্ধকারে ষে তোমারে খুজিয়া মরিছে হায়—