পাতা:সাগরের ডাক-কুমুদনাথ লাহিড়ী.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাগরের ডাক ] চেষ্টা করব যাতে সাগরকে সকলে প্রাণে মনে অতি সহজে, অতি সরল ভাবে উপলব্ধি করতে পেরে ধন্য হয়। আজ আমাদের বক্তৃতার বিষয় হচ্ছে—“সাগরের সন্ধান ।” আমরা দেখছি—ডাঙার দেশে সাগরকে চায় প্রায় সকলেই। ইতিহাস খুঁজলেই দেখা যায়,--অসভ্য বর্বর যারা, তারাও সাগরকে বিশ্বাস করে আসছে। এ বিশ্বাসের অন্ত নেই। যতকাল মানুষ, ততকাল এ বিশ্বাস। এর একমাত্র কারণ—ডাঙা যে সাগর হতেই উদ্ভূত। তাই সাগরের দিকে তার এই আকর্ষণটা স্বাভাবিক— অনুরাগটা আন্তরিক। কিন্তু অনুরাগ ও বিশ্বাস এক, আর র্তাকে উপলব্ধি করা আর । বিচার-বুদ্ধিতে সেই অনুভব করবার প্রণালীট স্থির করে’ নিতে হবে। নইলে অন্ধকারে যাকে হাতের মাথায় পাব, তাকেই সাগর বলে’ ভুল করে বসব ! আমাদের পূর্ব পূৰ্ব্ব পিতৃপুরুষ—যার দ্রষ্টা ছিলেন, সাগরকে র্যারা সদাসৰ্ব্বদা উপলব্ধি করতেন, তারা বলে গিয়েছেন—“সাগর অসীম।” কিন্তু তাদেরি বংশধর তাদের কথা অগ্রাহ করে’ সাগরকে সসীম বলে’ প্রচার করছেন । এতে কখনই হতে পারে না। অসীমকে সসীম করা— অনন্তকে সান্ত করা, এযে একেবারেই যুক্তিবিরুদ্ধ ! এ করলে সাগরকে । যে নিতান্তই অধমাননা করা হয়। আর সেই অপমান কখন কি তার আরাধনা হ’তে পারে ? আমরা তার সন্ধান করতে চাচ্ছি। কিন্তু কোথায় ? তিনি ত দূরে নন। তিনি ত আকার গ্রহণ করে নিজের চারদিকে প্রাচীর তুলে প্রচ্ছন্ন থাকেন নি। তার প্রবল তরঙ্গোচ্ছাস প্রতিনিয়তই ত হৃদয়-মধ্যে স্পন্দিত হচ্ছে। এই যে তার স্বকোমল কর-স্পর্শ বায়ুর শৈত্যে অনুভব । করছি ! এই যে অবিরামরোদনোচ্ছন। বর্ষাদেবীর নেত্র-প্রান্তে তারই । ولانا