পাতা:সাগরের ডাক-কুমুদনাথ লাহিড়ী.djvu/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাগরের ডাক ] হৃদয়, তা উন্নত হবে কি করে ? তুই বলছিস্—মানুষ শিক্ষিত হবেশিক্ষিত হয়ে পরস্পরের মধ্যে একটা চুক্তি করে নিয়ে সমাজে বেশ শৃঙ্খলা বেঁধে থাকৃবে। কিন্তু সে কোন শিক্ষ-প্রণালী, যাতে মানুষ তার সমস্ত হীনস্বার্থ বিসর্জন দিতে প্রস্তুত হবে ? সেই শিক্ষার প্রকার নিয়েই ত যত গোল! শুধু কেতাবী শিক্ষায় মানুষ কি কখন মানুষ হতে পারে ? তারপর সমাজের বিলাসিত তুই ত কখনই রোধ করতে পারবি নি, করলে যে অনেকগুলো ব্যবসা মাটি হয়ে যাবে ! অর্থের দিক দিয়ে দেখলে—বিলাসিত যে তোদের আদরের বস্তু ! আর যারা সেই বিলাসিত ভোগ করতে পারবে না—অথচ করতে চাইবে—তারা যে তারই জন্যে গুপ্তচোর হতেও ছাড়বে না, তা নিবারণের উপায় কি করছিস ? ওসব চুক্তিযুক্তির চোখে ধূলো দিতে তারা ইতস্ততঃ করবে কেন ? কিন্তু যার চোখে ধুলো দেওয়া যায় না—যে আড়ালে বসে সব দেখছে, শুনছে—সেই সৰ্ব্বশক্তিমান সাগরে বিশ্বাস নিয়ে কতকাল ধরে এই ডাঙার রাজ্যের লোকগুলো সৎপথে চলে আসছে—সে বিশ্বাস তাড়িয়ে দিয়ে লাভ ত হচ্ছেই না—বরং উন্টে হচ্ছে সাঙ্ঘাতিক ক্ষতি ! কিন্তু যা’কৃ—ও নিয়ে মাথা ঘামানে বিফল। যে যা বুঝেছে, সে তাই-ই করে যাকৃ—ফলে যা হয়, পরে হবে। আমার কিন্তু আজ ঐ সর্দারের বিশ্বাসের কাছে হাজারবার মাথা নীচু করতে ইচ্ছে করছে। ঐ । বিশ্বাসই সমাজের মেরুদণ্ড। থাকু-শিক্ষার অজস্র আলেয়া-আলো, তার চেয়ে মূর্খতার জমাট অন্ধকার ঢের বেশী বাঞ্ছনীয়—ঐ অন্ধকারের বুক হতেই নবারুণের কিরণ-শতদল ফুটে ওঠবার সম্ভাবনা আছে! আর আলেয়ায় ?—কেবলমাত্র পথ-ভ্রাস্তি আর বৃথা শ্রান্তি । দাও—দাও আমায় সাগরে দৃঢ়বিশ্বাস-চুলোয় যাক আমার শিক্ষার যত আবর্জন— আমি একবার নব্যশিক্ষিতদের মধ্য হতে মরে পুনৰ্জ্জীবন লাভ করি। 蠍*,