পাতা:সাগরের ডাক-কুমুদনাথ লাহিড়ী.djvu/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ যাত্র-পথ তুই যেমন কেঁদেছিলি, তেমনি কত কত তুষাৰ্ত্ত—কত কত দুঃখদৈন্য মলিনতায় আচ্ছন্ন—কত কত স্বাস্থ্যহীন—শক্তিহীন-লাবণ্যহীন সাগরের জন্যে কেঁদে মরছে। তাদের কাছে ফিরে না গেলে চলবে কেন ? এই পথের বার্তা—আনন্দের সন্ধান তাদিগকে দিতেই হবে—নইলে তোর নিজের শান্তিই অসম্পূর্ণ হয়ে থাকবে যে ! মধু সে কি বন্ধু ! আবার উল্টাডাঙা ? আবার প্রত্যাবৰ্ত্তন ? আবার জনকোলাহল ? বন্ধু ই, আবার সবই—কিন্তু নতুন ধরণে। ভয় নেই—এবার আর তোর বিক্ষেপ আসবে না। মধু ! না—না আমায় এমন আদেশ ক’রে না –আবার লোকসংসর্গ ? বেশ চলেছি—নিজের আনন্দে ! এ হতে আমায় বঞ্চিত হতে ব’লো না। বড়ই ভয় হয়। বন্ধু বলছি, ভয় নেই। সাগরে সাঁতার কাটুলে কি আর ভয় থাকে রে ? যে পূর্ণতা অর্জন করে তুই ফিরবি, উন্টাডাঙায় এমন কি জুছে যে তার ক্ষতি করতে পারে ? তুই জানিস্নি, প্রায় সকলকেই এমন করে ফিরতে হয়। কেউ হয়ত অল্প দিনের জন্যে ফেরে, কেউ হয়ত ফেরে বেশী দিনের জন্যে। তারপর হঠাৎ কোনদিন তারা সাগরে এমন ডুব মারে যে• আর তাদের খোজ পাওয়া যায় না ! আচ্ছ, মনে করে দেখত, কারু কাছে ঠিক পথের বাৰ্ত্তাটি না পেলে তোর কি দশা হ’ত ? bكاس