পাতা:সাগরের ডাক-কুমুদনাথ লাহিড়ী.djvu/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাগরের ডাক ] মধু বুঝলাম। তোমার যা ইচ্ছে—তাই-ই হবে। [ উভয়ের আরও উচ্চে আরোহণ ] মধু বাঃ বা ঐ দিক্কার দিগন্তের দৃশুটি ত বড় চমৎকার!—এমন অবাধ বিস্তার, এমন উন্মুক্ত দিক্‌চক্র ত কখনও দেখি নি । ওর সারা বুকটা জুড়ে এ কি প্রবল ধুধুর খেলা ! আলোর ধুধু!—সৌন্দর্য্যের ধুধু! মাধুর্ঘ্যের খুধু ! গাম্ভীর্ঘ্যের ধুধু —সব ধূময়! চোখ যে একেবারে ধূর নেশায় জড়িয়ে গেল ! - বন্ধু,বন্ধু, শোনত একবার—ঐ নিৰ্ব্বিকার দিগন্তের হৃদয় ভিন্ন করে’একট, গর্জন ভেসে আসছে না ?—একটা ভীষণ মধুর গর্জন ? শোন—শোন, কি অবিরলেখ গর্জন ! যে বাতাসে ঐ বিপুলধ্বনি ভেসে আসছে, তাতে । কি প্রাণস্নিগ্ধকর শৈত্য! একি —আমার সারা অঙ্গে স্বাস্থ্যের লাবণ্য ফুটে উঠল যে !—একি আমি এমন শক্তিমান হয়ে উঠলাম কেমন করে ?—এ কি বিরাট বীৰ্য্য—এ কি বিপুল শান্তি—এ কি গভীর আনন্দ আমার মধ্যে আবির্ভূত হচ্ছে —বন্ধু, বন্ধু, সাগর কি তবে ঐ ? বন্ধু ঐ—ঐ ! আরো ওঠ–আরো যা ।