পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v» সাঙ্খ্যদর্শন। [ ঔপদেশিক-জ্ঞান ও যায় । চক্ষুঃ কেবল নিজ অধিষ্ঠাতার অনুগত, কিন্তু বাক্য নিজ-অধিষ্ঠাতার ন্যায় অন্যেরও অনুগত। বাক্য যদি স্ব-পর সাধারণকে সুখ দুঃখের ভাগী না, করিত, তাহ হইলে লোক অন্যের বক্তৃতায় আপনি মোহিত হইত না এবং আপনার বক্তৃতায় আপনি অনুরক্ত বা বিরক্ত হইত না। বেদে ইন্দ্ৰিয়নিচয়ের বাহ্য-দর্শিতা বিষয়ে একটি মন্ত্র উক্ত হইয়াছে। যথা— । “पराञ्चि खानि व्यढयत् खयक्षुतचात् पराक् पश्यति नाऽन्तरात्मम्” । ইন্দ্রিয়গণ পরের অনুগত হইল দেখিয়া স্বয়ন্ত (পরমাত্মা) তাহা দিগকে হিংসা করিলেন, তদবধি তাহারা আর অন্তরাত্মাকে দেখিতে পায় না। ইহার ভাব এই যে, ইন্দ্রিয় দ্বারা কেবল বাহ্যদর্শন সিদ্ধি হয়, অন্তঃপদার্থের দর্শন সিদ্ধি হয় না । কিন্তু – “वाकू वै सब्वै विजानाति सर्वमेतत् वची विभूतिः ।” অর্থাৎ জগতে পরোক্ষ ও অপরোক্ষ যে কিছু বস্তু আছে, তৎসমস্তই বাক্যের ঐশ্বৰ্য্য অর্থাৎ বাক্য দ্বারা সমস্ত পদার্থেরই উপলব্ধি সিদ্ধি হয় । পূৰ্ব্ব কালের ঋষিরা যে, গুরুর নিকট হইতে আত্মসাক্ষাৎকার লাভ করিতেন, তাহা তাহারা বাক্য দ্বারাই করিতেন। আমরা যে সংসার চক্রে ঘূর্ণমান হইতেছি, তাহাও বাক্যের অধীন হইয়া। অতএব প্রত্যক্ষ ও অহমানের নু্যায় বাক্যেও একটি অখণ্ডনীয় প্রামাণ্য আছে, ইহা অবশ্য স্বীকাৰ্য্য।

  • বাহ ইন্দ্রিয় অপেক্ষ বাক্যের বিষয় অধিক বটে, কিন্তু অস্তুরিত্রিয়ের অপেক্ষ মহে। কেন না, যাহা মনের বিষয় মহে, তাহ বাক্যেরও বিবর নহে। মন যে কিছু নিৰ্মাণ করিতে পারে, সে সমস্তই বাক্য প্রকাশ করিতে পারে, মন্ত ইঞ্জিয় প্রয়ে না, এই মাত্র বলা ইক্ষার উদ্দেশ্য। ,