২১২ সাধনা ৷ এবং মালা ফেলাইয় কুণ্ডলাকে যদি সভ্যভব্য না করিতে পারেন, H তবে বৃথায় ওয়ার্ডইনষ্টিটিউট তার শিক্ষণ দীক্ষার ভার লইয়াছিল। হাসির চোটে শতকরা নকবই জনের ধারণা হইল যে স্বর্গে উঠিবায়: | একমাত্র সিড়ি, বড় মানুষের অনুগ্রহ-শিখা, মালা বা তিলক ধায় নহে। ইহাতে দুই চারি দিনের ভিতর বিস্তর লম্বা লম্বা টাকি স্বহন্তে কৰ্ত্তন করিয়৷ বিজয় নিশান স্বরূপ দীনেন্দ্র সে গুলিকে একটা কা করিল এবং বলিল “টাকি মালা নইলে যে আমাদের ফলার বঙ্গ । গো কোকন বাবু! তোমার মা কি আর তা হলে আমাদের স্বাধী গোবিন্দজীর দরওয়াজায় ঢুকতে দেবেন ?” দীনেন্দ্রনাথ তাহাঙ্গির বুঝাইয়া দিলেন যে সে আশঙ্কা নাই, কেননা সাবালক হইলে তিনি স্বয়ং রাধাগোবিন্দ জীউকেও "পেগ” ধরাইবেন । - শেষে এমন হইল যে হরিপ্রিয়া ব্রাহ্মণ ভোজনের জন্ত ফলাহা গত-প্রাণ কুণ্ডলাসমাজে দ্বাদশটা সটীক এবং শুদ্ধ দ্বিজও খুজি পান না। মাঝে মাঝে খবর পান, আহারের জন্ত নিহত পক্ষা পাখা উড়িয়া উড়িয়া ঠাকুরবাড়ীর প্রাঙ্গন ছাইয়া ফেলে। এইরূপে দুই তিন দিন রাধাগোবিন্দজীর ভোগ নষ্ট হইল। শুনিয়া শুনি হরিপ্রিয়া খুব কাদেন কাটেন এবং মাথা খোড়েন ; কিন্তু " ফুটিয়া ছেলেকে কিছু বলিতে সাহস হয় না, পাছে সে আবার্তা কলিকাতায় পলাইয়া যায়, কি আর একটা কিছু করিয়া বসে। মিস ভর্জিনিয়ার কাছে কিন্তু দীনেন্দ্রনাথের ভারি পদারকেনন। তিনি এক দিন তাহার দ্বারা নিমন্ত্রিত হইয়া বিজয় নিশ" স্বরূপ সেই কর্তিত শিখাগুলি দেখিয়া আসিয়াছিলেন । তা বলা বাহুল্য যে হতোম প্যাচার বোলচালে এবং দীনোন্ত্র o ২১৩ civilized করিতে পারলেন না? কই দেড়হাত ঘোমটা যে কিছুতে ঘোচেনা। আগেকার “ফুলেদের” মত লজ্জা—দেখে আমার গ জালা করে! আমার যদি মেম সাহেব, আপনাদের দেশে জন্ম হত!” মহাখুলী হইয়া মিস ভর্জিনিয়া ডোনাল্ড দম্পতিকে চিঠি লিখিলেন যে তার যত্নে নাবালক খুব দ্রুত উন্নতি করিতেছেন। এমন কি ইহার ভিতরে ব্রাহ্মণ এবং পৌত্তলিকতায় তাহার এতটা ঘৃণা জন্মি স্থাছে যে সহসা সেই সুদূর পদ্মাতীরে একদিন খৃষ্টের ছন্দুভি বাজিয়া রার দেওয়ালে সাজাইয়া রাখিলেন। যে দুই চারি জন তর্ক বিতর্ক : 、 o o: উঠিবে, ইহাতে সন্দেহ নাই। এই রিপোর্ট পাইয়া কালেক্টর সাহেব দীনেন্দ্রকে অভিনন্দন পত্র লিখিলেন এবং বোর্ডে লিখিয়া তাহার পড়াশুনার জন্ত একজন ফিরিঙ্গী মাষ্টার অানাইয়া দিলেন। এই শিক্ষক ও ক্রমে বেশ দলে মিশিয়া গেল। তাহার ফলে পাশ্চাত্য বিস্থায় ছাত্রের যে টুকু অসম্পূর্ণতা ছিল, অল্পদিনেই তাহা দুর श्ल । - ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ । বাস্তবিক ইংরেজী শিক্ষা এবং সভ্যতার সেই প্রভাতে বাঙ্গালীর মানসরাজ্যে যে অরাজকতা উপস্থিত হইয়াছিল, আজিকার দিনে তাহার আলোচনায় লাভ আছে। জাতিগত স্বাধীনতা যতই উপাদৈর ইউক না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে প্রযুক্ত না হইলে, স্বাধীনতায় এবং অধীনতায় বড় একটা ইতর বিশেষ থাকে না। রাজনৈতিক স্বাধীনতা অনেককাল আমাদের নাই, কিন্তু স্বানুবৰ্ত্তিতা কখন ছিল কি না সন্দেহ । সেই মানসিক অরাজকতা স্বানুবৰ্ত্তিতার নবীন উদ্বোধ মাত্র। -
- চল্লিশ পঞ্চাশ বৎসর পূৰ্ব্বেকার বঙ্গসমাজের একটা চিত্র দিতে উপর দেখা হইলেই মেম্কে বলিতেন, “আমার গৃহিণীকে আই" o "মী প্রয়াস পাইতেছি। তখন রাজা রামমোহন রায়ের যুগ,
o o - 謝 o 翻 o -o -:* -oo -** o
. -:-:
-o韃 o: ---