পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

對 - o

豔| -*o-so*o o-:o*o -:o---o--*---o-o:--s-oo --- f _ * * - ..


. . ---

--- - *** -- *** * * ------ * * * *-os- --- ਾਂ o o -- ੋ o * ー。 o oi or " - - - s - - মৌরস্ য়োকাই হঙ্গ্যেরি দেশের একজন প্রধান লেখক। তাহার সাহিত্যচর্চায় প্রবৃত্ত হইবার পর পঞ্চাশতবার্ষিক উৎসব সম্প্রতি সম্পন্ন হইয়া গিয়াছে। দেশের আপামরসাধারণ কিঙ্কণ মহোৎসাহের সহিত এই উৎসবে যোগ দান করিয়াছিল তাহ ংবাদপত্রপাঠকগণ অবগত আছেন। । - সেই উৎসব বিবরণ পাঠ করিলে তাহার সহিত আমাদের দেশে বঙ্কিমচন্দ্রের বিয়োগজনিত শোকপ্রকাশের তুলনা স্বতঃই মনে উদয় হয়। - - - - - ভিক্টর হ গোর মৃত্যুর পর সমস্ত ফ্রান্স কিরূপ শোকাকুল হইয়া উঠিয়াছিল বর্তমান প্রসঙ্গে সে কথা উত্থাপন করিতে লজ্জা বোধ হয়, কারণ, ফ্রান্স য়ুরোপের শীর্ষস্থানীয়। বীরপ্রসবিলী হঙ্গোরির সহিতও নির্জীব বঙ্গদেশের তুলনা হইতে পারে না, তথাপি অপেক্ষাকৃত অসঙ্কোচে তাহার নামোল্লেখ করিতে পারি। আমরা যে বহু চেষ্টাতেও আমাদের দেশের মহাত্মাগণকে সম্মান এবং প্রতি উপহার দিতে পারি না, আর যুরোপের একটি ক্ষুদ্র দুৰ্ব্বল রাজ্যে রাজায় প্রজায় মিলিয়া সামান্তবংশজাত একজন সাহিত্যব্যবসায়ীকে এমন অপৰ্য্যাপ্ত হৃদয়োচ্ছাসে অভিষিক্ত করির তুলিল ইহার কারণ কি ? o . : ইহার প্রধান কারণ এই যে, সেখানে লেখক এবং পাঠক এক প্রাণের দ্বারা সঞ্জীবিত, পরস্পরের মধ্যে বিচ্ছেদ নাই। সেখানে সমস্ত দেশের লোক মিলিয়া একজাতি। তাহারা এই উদ্দেশ্যে এক জাতীয় উন্নতির অভিমুখে ধাবিত হইতেছে, তাহীদের ইতস্ততবিক্ষিপ্ত কয়েকজনের নিকট তাহার সমাদর থাকিতে পারে কিন্তু একত্রসংহত সৰ্ব্বসাধারণের নিকট তাহার কোন প্রতিপত্তি 購 |o নাই। কারণ, একত্রসংহত সৰ্ব্বসাধারণ এদেশে নাই । - 關 যে দেশে আছে সেখানে সকলে সাধারণ মঙ্গল অমঙ্গল একত্রে 獸

সাহিত্যের গৌরব । মধ্যে যে ব্যক্তি সরলপথ নির্দেশ করিতেছে, সে সৰ্ব্বসাধারণের কৃতজ্ঞতাভাজন হইতেছে। * আমাদের দেশে পথিক নাই সুতরাং পথ খনন করিয়া কেহ যশস্বী হইতে পারে না। বঙ্কিম বঙ্গসাহিত্যের রাজপথ খনন করিয়া দিয়া গিয়াছেন, কিন্তু হায়, বঙ্গসাহিত্য কোথায়, বাঙ্গালী জাতি কোথায়! যাহারা বাঙ্গলা লেখে তাহারাই বা কয়জন, যাহারা বাঙ্গলা পড়ে তাহাদেরই বা সংখ্যা কত! বঙ্গসাহিত্য যে জাতীয়-হৃদয় অধিকার করিবার আশা করিতে পারে সে হৃদয় কোনখানে পূৰ্ব্বকালে যখন আমাদের দেশে সাধারণজাতি নামক কোন পদার্থ ছিল না তখন অন্ততঃ রাজসভা ছিল। সেই সভা তখন সৰ্ব্বসাধারণের প্রতিনিধি ছিল। সেই সভার মন হরণ করিতে পারিলে, সেই সভার মধ্যে গৌরবের স্থান পাইলে সাহিত্য আপনাকে সার্থক জ্ঞান করিত। এখন সে সভাও নাই। বঙ্গসাহিত্যের কোন গৌরব নাই। কিন্তু সে যে কেবল বঙ্গসাহিত্যের দৈন্তবশতঃ তাহী নহে। গৌরব করিবার লোক নাই। পইভব করে। সেখানে দেশীয় ভাষা এবং সাহিত্যের অনাদর হইতে পারে না, কারণ, যেখানে অনুভবশক্তি আছে সেইখানেই প্রকাশ করিবার ব্যাকুলত আছে। যেখানে সৰ্ব্বসাধারণে ভাবের ঐক্যে অনুপ্রাণিত হয় সেখানে সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে ভাষার ঐক্য আবগুক হইয় উঠে এবং এই সাধারণের ভাবী কখনই বিদেশ ভাষা হইতে পারে না । - _ | 牆 - - - | -- – ".