|.-o o os----o -is . -.!-o -: - --- 2 --o - mo _ ኙ 8 সাধনা: অশ্ব, হস্তী, শুকপক্ষী, টক্টিকি, সমুজ্জল অগ্নি, অথবা কুমারী দর্শন হয়, তাহা হইলে সেদিনটা ভাল যায়। একবার হাচিলে আনন্দের ঘটনা স্থচিত হয় – দুইবার হাচিলে বিপদের আশঙ্কা উপস্থিত হয়। হাই তুলিলে কোন দানব তাহার শরীরে প্রবেশ লাভ করিতে পারে। অশুভসূচক পদার্থ সকল বর্জন করিয়া পরে ব্রাহ্মণ ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের অনন্ত উপকরণের মধ্যে প্রবেশ করেন। যাহাতে র্তাহার দৈনিক অনুষ্ঠান সকল সার্থক হয়, এই হেতু কোন নদীর ধারে কিম্বা কোন পুণ্য সরোবরের তীরে বসিয়া, একটা বিশেষ মন্ত্র পাঠ করিতে করিতে মুখপ্রক্ষালন করেন। সেই মন্ত্রের শেষভাগের তাৎপৰ্য্যটি এইরূপ—“বিষ্ণুদুহিতা গঙ্গে, তুমি বিষ্ণুপদ হইতে উচ্ছসিত হইয়াছ, বিষ্ণু তোমাকে ভালবাসেন ; জন্মজনিত ও পাপজনিত মলিনতা আমাদের হইতে অপসারিত কর এবং তোমার দাস যে আমরা, আমাদিগকে আমৃত্যু রক্ষা কর।” তৎপরে, নিম্নলিখিত মন্ত্রটি পড়িতে পড়িতে, ভষ্মের দ্বারা গাত্র মার্জন করেন। “শিবকে নমস্কার, সকল জীবের জনয়িতাকে নমস্কার-জন্ম জন্মাস্তরে তিনি যেন আমাদিগকে রক্ষা করেন।” পরে, তিনি ললাটে পুণ্য চিন্তু অঙ্কিত করেন ; তিনটি উৰ্দ্ধগামী রেখা—বিষ্ণুর পদচিহ্র, কিম্বা তিনটি ধরাশায়ী রেখা –শিবের ত্রিশূল-চিত্ন। সমস্ত মুণ্ডিত মস্তকের চুড়াদেশে যে একগুচ্ছ কেশ অবশিষ্ট থাকে, সেই শিখাটি একটি গ্রন্থি দ্বারা আবদ্ধ করেন। অভিপ্রায় এই যে, কেশের কোন মলা নদীর পবিত্র জলকে কলুষিত করিতে না পারে। এই সময়ে প্রাতঃসন্ধ্যার অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়। কাশীতে ব্রাহ্মণের ঘাটের প্রস্তর সোপানে বসিয়া অতিসূক্ষ্মানুস্বৰ্ম্মরূপে, যন্ত্রের ন্যায়, কতকগুলি নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান ও মুদ্রাপরম্পরা প্রত্যেকে সমাধা করিয়া থাকেন। সৰ্ব্বপ্রথমে, আভ্যন্তরিক স্নান; ব্রাহ্মণ, করপুটে জল ধারণ বারাণসী ৷ ኧ করিয়া, উচ্চ হইতে উহা নিজ মুখ-বিবরে বর্ষণ পূর্বক দেহ ও আত্মা উভয়কেই এককালে পরিস্কৃত করেন। সেই সময়ে, তিনি বিষ্ণুর পঞ্চবিংশতি নাম মনে মনে উচ্চারণ করিতে থাকেন। । স্ট্রি যথা, কেশবের জয়, নারায়ণের জয়, মাধবের জয়, গোবিন্দের জয় ইত্যাদি । দ্বিতীয় অনুষ্ঠান-শ্বাস-প্রশ্বাসের চালনা ও সংযম, যাহাকে উহাতে তিনটি প্রকরণ দেখিতে পাওয়া যায়। গম্ভীরভাবে সেই প্রসিদ্ধ ওঁ শব্দ দীর্ঘস্বরে উচ্চারণ করেন। উহ হিন্দু ত্ৰিমূৰ্ত্তির তিনটি পুরুষকে স্মরণ করাইয়া দেয়। স্বষ্টিকৰ্ত্ত ব্ৰহ্মা, স্থিতিকর্তা বিষ্ণু ও সংহারকর্ড শিব। মনু বলেন, এই ওঁ শব্দ সকল বাক্যের শ্রেষ্ঠ, অবিনশ্বর, স্বয়ং ব্রহ্মের স্থায় অনাদি অনন্ত। ইহা কেবল চিকু মাত্র নহে — ইহা 寰 একটি জীবন্ত সত্তা, একটি শক্তি, ইহা দেবতাদিগের অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ এই পুরাতন ও ভীষণ ও শব্দ উচ্চারণ করিয়া পরে ব্রাহ্মণ . ত্ৰিভুবনের নাম গ্রহণ পূৰ্ব্বক তাহাদিগকে আহবান করেন। 受
----------------