পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

T oo:o.- -o-- *-已-- !oo ---! --=-io-- -- o:--ooo-: - -- -o -i-o: i o i==o: oo ==i-----oo o সাধনা ৷ சி. --. যাহা ওঁtহারা নিজে স্বভাষায় প্রচলিত করেন নাই। শিশুদের মুগ্ধ পাঠ্য মনোরম রূপকথার গ্রন্থ হইতে আরম্ভ করিয়া বিজ্ঞান দর্শন ইতিহাস পর্য্যন্ত সমস্তই তাহারা নিজে রচনা করিয়াছেন। তাহার স্বদেশীয় ভাষাকে বিদ্যালয়ে বদ্ধমূল এবং স্বদেশীয় সাহিত্যকে সমস্ত জাতির হৃদয়ে স্বহস্তে প্রতিষ্ঠিত করিয়া দিয়াছেন। তাহাতে র্তাহদের নিজের ক্ষমতা প্রকাশ পায় বটে কিন্তু জাতির সজীবতাও স্থচনা করে। আমাদের দশে লেখকগণ বিচ্ছিন্ন বিষম সঙ্গবিহীন । তাহারা বৃহৎ মানবহৃদয়ের মাতৃসংস্পর্শ হইতে বঞ্চিত হইয়া দূরে বলির আপন উপবাসী শীর্ণ প্রতিভাকে নীরস কৰ্ত্তব্যের কঠিন খাস্থখণ্ডে কোন মতে পালন করিয়া তুলিতে থাকেন। সামান্ত বাধা সে লঙ্গন করিতে পারে না, সামান্ত আঘাতে সে মুমুধু হইয় পড়ে, দেশব্যাপী নিত্যপ্রবাহিত গতি প্রীতি আনন্দ হইতে রসাকর্ষণ করির যে আপনাকে সতত সতেজ রাখিতে পারে না। অল্পকালের মধ্যেই আপনার ভিতরকার সমস্ত খাদ্য নিঃশেষ করিয়া রিক্ত বল রিক্তপ্রাণ হইয়া পড়ে। বাহিরের প্রাণ তাহাকে যথেষ্ট প্রাণ দেয় না। . কিন্তু যথার্থ সাহিত্য যেমন যথার্থ জাতীয় ঐক্যের ফল তেমনি জাতীয় ঐক্য সাধনের প্রধানতম উপায় সাহিত্য । পরস্পর পর স্পরকে পরিপুষ্ট করিয়া তুলে। যাহা অনুভব করিতেছি তাই । প্রকাশ করিতে পারিব, যাহা শিক্ষা করিতেছি তাহ রক্ষা করিতে পারিব, যাহা লাভ করিতেছি তাহ বিতরণ করিতে পাধি । এমন একটা ক্ষমতার অভু্যদয় হইলে তাহ সমস্ত জাতির উল্লাসের কারণ হয়। আমাদের বঙ্গদেশে সেই রিরাট ক্ষমতা শিশু আকারে জন্মগ্রহণ করিয়াছে কিন্তু এখনও সেই জাতি নাই যে উল্লাস প্রকাশ -করিবে। তাহারই অপেক্ষা করিয়া আমরা পথ চাহিয়া আছি। বঙ্কিম বাবুর প্রসঙ্গ । মহারা বাঙ্গলার সন্তোজাত সাহিত্যের শিয়রে জাগরণপূর্বক নিস্তব্ধ রজনীর প্রহর গণিতেছেন তাহারা কোন উৎসাহ কোন পুরস্কার ন পাছতে পারেন কিন্তু তাহদের অস্তরে এক স্থমহং আশা জাগ্রত দেবতার হায় সৰ্ব্বদা বরাভয় দান করিতেছে, তাহার একান্ত বিশ্বাস করিতেছেন যে এই শিশু অমর হইবে, এবং জন্মভূমিকে যদি কেই অমরত দান করিতে পারে ত সে এই সাহিত্য পরিবে। --

=

o: o o Lo -- o . ". . . . . o ് -- --- ঙ্কিম বাবুর প্রসঙ্গ । ----- বাঙ্কম ங் **.*. *

  • *---

o ১৮৭৯৮০ সালের বর্ষাকালে চুচুড়ায় প্রথম বঙ্কিম বাবুর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়। মনে পড়িতেছে, সে দিন রথ যাত্রা এবং আমার সহযাত্রী অতুল বাবুতে আর আমাতে ট্ৰেণ ফেইল করিয়া অনেকক্ষণ হাবড়ার ষ্ট্রেসনে বসিয়া ছিলাম। * মিষ্টার অতুলকৃষ্ট রায় তার পর যুরোপ ভ্রমণ করিয়া আসিয়াছেন —নানাদেশ দশন এবং বিস্তর প্রতিভাশালী ব্যক্তির সাহচৰ্য্য করিয়া সম্ভবতঃ তিনি সেদিনকার বর্ষাধৌত প্রভাতটাকে ভুলিয়া গিয়াছেন, কিন্তু আমার জীবনে সে একটা নৰ যুগ | সাহিত্য চৰ্কার সেই নবীন উৎসাহের সময় আপনা হইতে বঙ্কিম বাবু আমায় দেখিতে চাহিয়াছিলেন। সৌভাগ্যগর্বের একটা আনন্দ ছিলোল আমার শরীর মন অভিষিক্ত করিতেছিল। - o চুচুড়ার ঘোড়াঘাটে আমাদের গাড়ী যখন পৌছিল, বঙ্কিম বাৰু ---- তখন অফিসের পোসাক আঁটিয়া বাহির হইয়াছেন—এগারটা বাজিতে বেণী দেৱী নাই। বলিলেন, চিঠি পাইরী প্ৰাতঃকালে o .تهیتانیایی است — -