गांधनां । । আমাদের জন্য অপেক্ষা করিয়াছিলেন। যাহোক আফ্যি হয়ঃ ফিরিয়া আসিলে কথাবাৰ্ত্ত হইবে। সেই প্রথম দর্শনে তাহার । সৌম্যমূৰ্ত্তিতে প্রতিভার যে জ্যোতি দেখিয়াছিলাম, আর কখন সেরূপ দেখিয়াছি, মনে হয় না। " প্রায় তিনটার সময় আবার দেখা হইল। ইজিচেয়ারে বসিয়া বঙ্কিম বাবু ধূমপান করিতেছিলেন–আলবোলার সাজ সজ্জা এর কুগুলীকৃত দীর্ঘ নল দেখিয়া আমার "বিষবৃক্ষের” হুকার স্তত্ব মনে পড়িতেছিল। তখন ডায়েরি লিখিতাম না-কথাবার্তা যায় হইয়াছিল, তাহার সারাংশ মাত্ৰ মনে আছে। কথায় কথা বঙ্কিম বাবু বলিলেন “এখন আর ইংরেজীতে চিঠিপত্র আদৌ লিখিনা —ইংরেজী ভাষাটা ভারি Tusincere বলিয়। আমার মনে হয়।" আমায় বিশেষ করিয়া বলিলেন, “মাসিক সমালোচকে" আপনার একটা প্রবন্ধ পড়িয়া এর আগে আপনাকে চিঠি লিখিতে ইচ্ছ হয়েছিল, কিন্তু তাতে আমার কথা বেশী করিয়া বলায়, লিখিতে পারি নাই। প্রবন্ধটাতে আমি বলিয়াছিলাম, ইদানীন্তন কালে বঙ্কিম বাবু দেশের সর্বপ্রধান সংস্কারক, তাহার সৃষ্ট সৌদর্ঘ্যে এবং তৎকৃত সমালোচনায় বঙ্গ সমাজের যে মানসিক এবং নৈতুিঞ্জ উন্নতি হইয়াছে, আর কিছুতে ততটা নহে। কথা প্রসঙ্গে বঙ্কি বাবু বলিলেন, এখনকার ছেলেরা দেখিতে পাই গুরুজনদিগন্ধে আগেকার মত প্ৰণাম করে না। নিজের বাড়ীর রথ দেখিবা জন্ত র্তাহার অপরাহ্লে কাঠালপাড়ায় যাওয়ার কথা, অতএব আমর বিদায় হইলাম। প্রথমে আসিয়া আমি বঙ্কিম বাবুকে নমস্কার করিয়াছিলাম, নব্য যুবকদের প্রতি তাহার মন্তব্য শুনিয়া উঠিবার সময় সলজ্জভাবে প্ৰণাম করিলাম। তিনি হাসিলেন। জামাত রাখাল বাবুকে ডাকিয়া বলিলেন, ত্রশ বাবুকে আর বেহাইকে জন
- s--oo*".o-. ---- :oo -. o---o- -o oo-- -:*o -- - oo-.---- ---o+o o** o:o. o---oi: ---- -: - .ே o বঙ্কিম বাবুর প্রসঙ্গ। ՀՏ է খাওয়াওঁ।” এই সময়ে বাবু চন্দ্রশেখর কর আলিয়া পৌছিলেন – বঙ্কিম বাবুর কাঠালপাড়া যাওয়া হইল না। ইহার পর মনে হইতেছে, কলিকাতায় প্রায় দুই বৎসর পরে বঙ্কিম বাবুর সঙ্গে দেখা হয়, তখন তার বাসা বহুবাজারে। আমি প্রিয় মুহৃৎ বাবু নগেন্দ্রনাথ গুপ্তের সঙ্গে মাঝে মাঝে তার কাছে যাইতাম। “উদ্ভান্ত-প্রেম’ প্রণেতা বাবু চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক দিন গিয়াছিলাম। বঙ্কিম বাৰু কথায় কথায় বলিলেন “কই চন্দ্র তুমি বাঙ্গলা লেখা ছাড়িলে, বাঙ্গল যে আর পড়িতে ইচ্ছা করেন । রাজসিংহ তাহার কিছু দিন আগে বঙ্গদর্শনে ক্রমশঃ প্রকাশিত হইয়া বন্ধ হইয়া গিয়াছিল। চন্দ্রশেখর বাৰু, জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহ সম্পূর্ণ করা হইতেছে না কেন ? বঙ্কিম বাবু তার কোন বন্ধুর নাম করিয়া বলিলেন, “এর বলেন আমার স্বল্প চরিত্র গুলিতে এখনকার ছেলে পুলে মাটি হইতেছে। তাই আর ডাকাত মাণিকলালকে আঁকিতে ইচ্ছা করে না ।” বলিলেন, “কুন্দনন্দিনীর বিষ খাওয়াটা যে নীতিবিরুদ্ধ তাহ আমি স্বীকার করি।” চন্দ্রশেখর বাবুতে এবং আমাতে একযোগে বলিলাম, মাণিকলালের মত ২১ টা ডাকাতের চিত্র দেশের সর্থে রিলে উপকার ভিন্ন অপকার হইবে না। এই কথায় বঙ্কিম বাৰু কি ভাবিয়াছিলেন বলিতে পারি না, কিন্তু ইহার অল্প দিন পরে রাজসিংহের প্রথম সংস্করণ বাহির হইল । আর একদিন চন্দ্রশেখর বাবুর সঙ্গে আমিও উপস্থিত ছিলাম। শ্রদ্ধেয় تـــــفتن: ==ــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــنفلمفاه রচন্দ্রনাথ বস্থর সঙ্গে চন্দ্রশেখর বাবুর তখনও সাক্ষাৎ পরিচয় - o ছিল না। বঙ্কিম বাৰু চন্দ্রনাথ বাবুকে সম্বোধন করিয়া বলি লেন-“ওঁকে চেন না ?--উদ্ভান্তপ্ৰেম !" মনে হইতেছে এই : - . দিন সন্ধ্যার পর বহরমপুর হইতে বঙ্কিম বাবুর একটি প্রাচীন । - ই তার সঙ্গে দেখা করিতে আসেন। সে মিলনের আনন্দ ཝ