পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনা ৷ এবং হান্ত এখনও আমার মনে জাগিতেছে। বন্ধুর সঙ্গে স্তার পুত্রকে দেখিয়া বঙ্কিমবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন—“কোথায় পড়? *—Fourth year, Presidency college. Afon বাবু-রাখালের সঙ্গে আলাপ নেই ? উ—না। বঙ্কিম বাৰু-সে কি হুে-এক ক্লাসে পড়, আলাপ নেই ? সঙ্গীববাবু বলিলেন “ত জাননী বুদ্ধি। এখনকার ছেলেদের ভেতর নাম জিজ্ঞাসা যে একটা ঘোর বেয়াদবি। এক নব্য শিক্ষিতের সঙ্গে একজন সেকেলে লোকের এক কুস্থানে দেখা হয়। বৃদ্ধ ছেলেটকে জিজ্ঞান করিয়া বসিলেন যে তার নামটি কি ? নব্য বাবু কষ্ট্রে নাম বলিলেন। বৃদ্ধের কুবুদ্ধি আবার প্রশ্ন “মশায়ের পিতার নাম ?” বাবুটী চাট লাল, বুড়োকে মারেন আর কি ! ব্যাপার গুরুতর দাড়ায় দেখিয় বাড়ীর অধিকারিণী তাড়াতাড়ি আসিয়৷ নব্য বাবুটকে স্বধাই “বাবু বাপের নাম জিজ্ঞাসা করিলে আমাদের ছেলেরাই চলিব, ভারি হাসি পড়িয়া গেল । একদিন সন্ধ্যারপর গিয়া দেখি, অনেকগুলি সাহিত্যসেবার স্ট্র সমাগম হইয়াছে। বাবু রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ বাবু, নবীন বাবু প্রভৃতি। নবীন বাবু কথায় কথায় “আনন্দমঠের’ সুপরিচিত “বন্দেমাতরং” সঙ্গীতটীর একাংশ আবৃত্তি করিয়া বঙ্কিম বাবে বলিলেন, এমন ভাল জিনিসটাকে আধসংস্কৃত অধিবাঙ্গলায় লিপির অধিকারীর গানের মত। লোকের ভাল লাগে না। বঙ্কিমবাবু ঈষৎ কুপিত স্বরে বলিলেন“আচ্ছা ভাই, ভাল না লাগে পড়োনা। আমার ভাল লেগেছে, লোকের ভাল লাগবে কি না ভেবে আমি শুর একটা গল্প আছে। আপনাদের রাগ কেন ?” -بی. -- ——* عیسی خالی মাটী করা হইয়াছে এ যেন গোবিন্দ তাই ওরকম লিখিছি। লিখব।” কিছু দিন আমি রীতিমত ডায়েরি রাখিতাম । ১৮৮২ সালেং বঙ্কিম বাবুর প্রসঙ্গ । ২৩৭ জুলাই মাস হইতে প্রায় দুই বৎসর সে ব্রত পালন করিয়াছিলাম। এই কাল মধ্যে বঙ্কিমবাবুর সঙ্গে অনেকবার আমার দেখা শুনা হইয়াছিল। ইহার ফলে তাহার সহিত আমার ঘনিষ্ঠ যোগ সঞ্চার হয়। বন্ধুত্ব বলিতে পারিনা। গুরুশিষ্যের যে সম্বন্ধ, একদিকে গাঢ়স্নেহ এবং প্রীতি, অন্যত্র গভীর ভক্তি ও শ্রদ্ধা-প্রেমের সেই সম্বন্ধকেই আমি যোগ বলিয়া অভিহিত করিয়াছি। অতএব বিস্তর কথা আমি আদৌ স্কৃতির উপর নির্ভর না করিয়া বলিতে পারিব । রাজসাহী কলেজের শিক্ষক বাৰু লোকনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী “আৰ্য্যদর্শন” গন্ত্রে "শৈবলিনী” চরিত্র সমালোচনা করেন। সে সম্বন্ধে বঙ্কিম বাবুর সঙ্গে তাহার চিঠিপত্র চলিয়াছিল। লোকনাথ বাবু জানিতে । চাহিয়াছিলেন যে দুর্গেশনন্দিনীর অভিনব সংস্করণে দিগগজকে নূতনরূপ দেওয়া হইল কেন ? বঙ্কিম বাৰু উত্তর দেন যে একশ্রেণীর অস্ত্রকরণ প্রিয় লেখক বিদ্যাদিগগজ চরিত্রের নামে বঙ্গসাহিত্যে অশ্লীলতা আনিতেছে। তাহাঁদের মুখবন্ধ করিবার জন্য র্তাহাকে সে চরিত্রের কোন কোন স্থল নুতন করিতে হইয়াছে। প্রতাপ যেখানে বলিতেছেন যে “তোমার বিষের ভয়ে আমি বেদগ্রাম ত্যাগ করিয়াছিলাম” সেইস্থল উল্লেখ করিয়া লোকনাথ বাবু বলিয়াছিলেন যে প্রতাপের অসাধারণ বলবান চরিত্রে সেরূপ ভাব কেন ? বঙ্কিম বাবু দেখাইয়াছিলেন যে প্রতাপ বস্তুতঃ অসাধারণ হইলেও নিজের প্রতি তাহার বিশ্বাস তেমন দৃঢ় ছিল না। সেই তাহার মহত্ব এবং তাহাই প্রকৃতি সঙ্গত। সঞ্জীব বাবুর সঙ্গে একদিন আমার গ্রীকৃ লাওকোয়নের কথা । ইতেছিল। তিনি বুঝাইতেছিলেন, গ্ৰীক শিল্পী সেই প্রস্তর মূৰ্ত্তিতে . কি স্বন্দর কাব্য ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। বলদৃপ্ত লাওকোয়ন সর্পবেষ্টিত । এবং আসন্ন মৃত্যু হইয়াও বামে প্রাণীপেক্ষ প্রিয়তর পুত্র দুটিকে যত্নে - SSTTSTTSTTTTTTSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS |i I: -o - - - --s颚釁o邯o; ---s i o 埼 | }