পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনা ৷ রক্ষা করিতেছেন, সেই অবস্থায় দৃঢ় ওষ্ঠে অধর চাপিয়া আকাশ দিকে চাহিয়া তিনি তাহার হর্ভাগ্য বিধাতা দেবতাদের জানাইজে ছেন, অদৃষ্ট লিপি অখণ্ডনীয় জানিয়াও তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সঞ্জীর বাবু বলিলেন, এইখানে শারীরিক বলে ধৰ্ম্মবল মিশিয়াছে এবং মাৰে একদিন বঙ্কিম বাবু কুমারসম্ভব হইতে হিমালয় বর্ণনা পড়িতে পড়িান্ত কোন কবিতাতেই কেবল প্রকৃতি বর্ণিত হয় নাই—সৰ্ব্বত্র অঙ্ক বন্ধুদের সঙ্গে কাব্যালোচনা করিয়াছিলেন। আমার সমক্ষে দেই রাত্রির কথা তুলিয়া বঙ্কিম বাবুর একজন বন্ধু বলিলেন “তোমার দে দিনকার কথা মত বোধ হয় –কিছু লিখিবে, কিন্তু তাহার ভা তত ভাল নহে।” আমি বঙ্কিম বাবুকে বলিলাম “আপনিই কেন লিখুন না ?” বঙ্কিম বাবু উত্তর দিলেন “আমি বুড়া হলাম, আর পারিনে, এখন তোমরা লেখ ।” - = ১৮৮৩-৮৪ সালের বসন্তকালে কিছু বিপদগ্ৰস্থ হইয়া আদি কলিকাতায় আসি। আমার গৃহিণী এক অদ্ভুত রকমের হিষ্টিরির রোগে ভুগিতেছিলেন,স্বৰ্গীয় রাজেন্দ্র দত্ত মহাশয় স্থির করিয়াছিলেন EE| Clairvoyance. এই রোগ ডাক্তার সরকার অতি আশ্চর্যাহ্মাণ আরোগ্য করেন। আমার ডায়েরিগুলি যদি কখন ছাপা হয়, তাহার বিশেষ বিবরণ প্রকাশ হইবে। এখানে উল্লেখ করার তাৎ পৰ্য্য এই যে বঙ্কিম বাবু তদুপলক্ষে নিজের বিশ্বাস সম্বন্ধে অনেক কথা আমায় বলিয়াছিলেন । o: ২১সে ফাস্তুন বঙ্কিম বাবুর সঙ্গে প্রথম দেখা হয়। আমার সর ধৰ্ম্মিণীর অস্থখের কথা এবং তাহাতে কতকগুলি শক্তি বিকশিত হইয়াছে শুনিয়া তিনি আশ্চৰ্য্য হইলেন -বলিলেন “রোগ মারাত্মক নবেল সমূহে সন্ন্যাসী চরিত্রগুলির কথা তুলিলাম। সব নৰেলেই আছে বটে কিন্তু কেন থাকে জানিনা। আমি বলি প্রতিশ্লোকে তাহাই দেখাইয়াছিলেন। তিনি দেখাইয়াছিলেন : pression আছে। বঙ্কিম বাৰু-গে গল্প শুনিয়াছি বটে কিন্তু সৌন্দৰ্য্য নিহিত আছে। শুনিলাম সেদিন প্রায় রাত্রি বারটা পৰ্যন্ত o অনেক সন্ন্যাসী দেখেছি। আমি বললাম, "বইয়ের জুহুরূপ কোন --- -- বঙ্কিম বাবুর প্রসঙ্গ । הפיל না। একটা কথা যেন মনে রাখা হয় । রোগিনীকে বেশ পুষ্টিকর খাদ্য দিবে, হিষ্টিরিয়া দৌৰ্ব্বল্যেই হয়।” কথায় কথায় আমি তাহার হাসিয়া বলিলেন লাম “আপনার পিতার সম্বন্ধীয় সন্ন্যাসীর গল্প সঞ্জীব বাবুর কাছে - গুনিয়াছি। হইতে পারে শৈশবাবধি তার দরুণ মনে একটা im সে জন্য কিছু হইয়াছে আমার বোধ হয় না। তবে অনেক স্থানে সন্ন্যাসীর আশ্চৰ্য্য কীৰ্ত্তি কলাপ কখন দেখেছেন কি না ?” একটু ভাবিয়া উত্তর করিলেন “না।” তারপর সিনেট সাহেবের পুস্তকের কথা উঠিল। বঙ্কিম বাবু বলিলেন “সিনেট দেখাইয়াছেন বটে যে মানুষের শক্তি কত বিকশিত হইতে পারে। কিন্তু Theosohy এদেশে আসিবার পূৰ্বে আমি তা লিখেছি।” পৌৰসংখ্যা বঙ্গদর্শনে "দেবীচৌধুরাণী” কার লেখা জিজ্ঞাসা করিলে বঙ্কিম বাবু বলিলেন, ot: “Mysterious author-ship.” আমি বলিলাম, তার লেখা বলিরাই আমার বোধ হয়েচে। উত্তর অনেকে তা বলেন না।” একদিন বঙ্কিম বাবুর বাড়ী গিয়া দেখি তাহার নিকট হেমবাৰু, চন্দ্রনাথ বাৰু এবং সঞ্জীব বাবু বসিয়া আছেন। আমি আসিবার আগে ইহাদের ভারি একটা তর্ক চলিতেছিল। তকের বিষয় university's 5 মেরেদের বি, এ, উপাধি লাভ উপলক্ষে হেম বাবুর অভিনন্দন কবিভাটী। হেমবাৰু ইংরেজীতে বলিতেছিলেন “তোমাদের কোন উৎসাহ নাই, জীবন নাই ” সঞ্জাব বাবু বলিলেন "ইহাতৃে বুঝা যাইতেছে তুমি সকলের ছোট।” তখন বেশ বাবু সঞ্জীব বাবুর বয়স বিজ্ঞাসা করিলেন, দুজনে একটু রহস্য চলিল। পরে হেম বাবু | |