পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. f. --* -- i

B সাধনী ।

জিনিস প্রত্যহ খাইতেন। চারটে মুরগীর কথা শুনিয়া আমি একটু আশ্চর্য্য হইলে বলিলেন “তাহা এখনও পারি।” বলিলেন "মানদিঙ্ক শ্রমটা বড় করিতে হয়, এত না খেলে চলে না।” জিজ্ঞাসা করিলাম “যৌবনাবস্থায় কি এমন আহার করিতে পারতেন ?" উ —“না, এখন পারি।” কথায় কথায় আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, তার কোন পুস্তক তার মতে বেশী দিন টেকিবে ? উত্তর-বল বড় শক্ত, বোৰ হয় কৃষ্ণকান্তের উইল’ ” প্রশ্ন—"বিষবৃক্ষ" । দিনের লেখা ? উত্তর-১৮৭২ সালের । জাজপুরে “দেবীচৌধুরাণ লিখেছি। প্রশ্ন—“ত কি শেষ হয়েছে ?” উত্তর—“ন; এখনও হয় নাই।” প্রশ্ন—আচ্ছ আপনি ত অনেক চরিত্র লিখেছেন, দীনবন্ধু বাবুর নিজের চিত্রিত চরিত্রগুলির অধিকাংশ জীবিত বা মৃত আপনিই লিখেছিলেন, আপনার চরিত্রগুলি কি তেমন । উত্তর –“সেই রকম বটে, কিন্তু তার উপর অবশ্য রং ফলান।” আষাঢ় মাসের শেষাশেষি এক দিনকার কথা। শনিবার, প্রায় । পাচটার সময় বঙ্কিম বাবুর কলুটোলার বাসায় গেলাম। রাখালের কাছে শুনিলাম “মৃণালিনী’ সপ্তম সংস্করণে অনেকটা বদল হইয়াছে। দুইজনে পুরাণ ও নূতন পুস্তক লইয়া মিলাইতে লাগিলাম, দেখিলা পুরাণ পুস্তকের দুই অধ্যায় একেবারে বাদ দেওয়া হইয়াছে। কয়টা মাত্র কথায় দুই অধ্যায়ের উদ্দেশু সফল হইয়াছে। সংস্কৃত শব্দমাত্র পরিহারের চেষ্টা করা হইয়াছে। আমি রাখালকে বলিলাম, বইটে নাটক ও ভাষাংশে আগেকার চেয়ে ভাল হইয়াছে বটে কিন্তু একাংশে সাধারণের বোধ হয় কিছু ক্ষতি হইয়াছে। সেক্ষপীর প্রভৃতির নাটক লেখার সাময়িক পৰ্য্যায় ঠিক করিয়া আধুনিক সমী লোচকগণ র্তাহীদের মানসিক ক্রমোন্নতির পরিচয় দিতেছেন । বঙ্কিম বাবুর সম্বন্ধে পরবর্তী লেখকদের সে সুবিধা ঘটবে না ===s =-ജ്ജ বঙ্কিম বাবুর প্রসঙ্গ । একটু পরে বঙ্কিম বাবু আসিয়া পৌছিলেন । আমাদের দুজনকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি হচ্চে ?” এবং আমার প্রশ্নমত বলিলেন, মৃণালিনীর অনেক বদলাইয়া দিয়াছেন। তখন আমরা উভয়ে টেস্ম্যান হইতে বারাকপুরে স্বরেন্দ্র বাবুর অভ্যর্থনা উপলক্ষে | সাহেবদের কাপুরুষোচিত ব্যবহারের বৃত্তান্ত পড়িতেছিলাম । o বঙ্কিম বাৰু হাসিয়া স্বধাইলেন -“বারাকপুরের লড়াই পড়চ না 臀 কি ?” - | আজ নিতান্তই সামান্ত কারণে তাহাকে অতিশয় রাগিতে | দেখিলাম। শুনিলাম আগে এমন ছিল না। মালদহে থাকিতে মাথার t বারাম হয়, সেই হইতে রাগ হইয়াছে, ইহা আর স্বধরাইল না। | মালদহে মাথার পীড়ার ইতিহাস এইরূপ —যে বাড়ীতে ছিলেন, | সেখানে নাকি পূৰ্ব্বে নরবলী হইত। পরিবার সঙ্গে ছিল না । একদিন এক কুঠরীতে বসিয়া আছেন, কে আসিয়া ভয়ানক বেগে দ্বার ঠেলিতে লাগিল। কেরে ? কেরে ? করিয়া বঙ্কিম বাবু, লংকার করিলেন। উত্তর নাই। চাকরির আসিয়া খুজিয়া দেখিল, কেহ কোথাও নাই। সেই হইতে মস্তিষ্কের পীড়ার স্বত্র। পরদিন কাছারীতে লিখিতে লিখিতে মূচ্ছিত হইয় পড়েন। "প্রতিনিধি” নামক সম্বাদপত্রে আমি “কুন্দনন্দিনী” চরিত্র সমালোচনা করিয়াছিলাম। বঙ্কিম বাৰু পড়িয়া বলিয়াছিলেন, সামান্ত চরিত্র, তার অত বিশ্লেষণের দরকার ছিল না। আমি বলিলাম, এক বিষয়ে চরিত্রটা আমার কাছে অসামান্ত বলিয়া বেধি . হয়—উছার নিশ্চেষ্ট সরলত। কোথাও আর *" চিত্র দেখি নাই। বঙ্কিম বাবু বলিলেন, “আমি তিলোত্তমার চরিত্রেও একটু তাহা দেখাইয়াছি। অামি বলিলাম, কুন্দে তাহার বিকাশ অনেক বিশ । আমি বলিলাম, আমার বোধ হয় যেন আপনার নাট্য স্বজন