পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ 8b সাধনা ৷ না। উত্তর-“কোথায় লিখিয়াছি” ? আমি—“বৃত্ৰসংহারের সন্ম লোচনায়।” উত্তর—“ভুল লিখিয়াছি।” আমি কালাইলের কথ বলিলাম। বঙ্কিম বাবু বলিলেন, তারও সেই মত Beautif ill includes good. - আমি বলিলাম, আমার ইচ্ছ। আপনার জীবনী সম্বন্ধে কৰ্ত্তক । কতক নোট এখন হইতে সংগ্ৰহ করি। আপনি কিছু কিছু নে ? দিতে পারেন কি ? বঙ্কিম বাবু হাসিলেন, বলিলেন আমার জীবন অসার, তা লিখিয়া কি হইবে ? আমার জীবনের কথা মাঝে মানে গল্প বলিয়া তোমায় শুনাইব, সকল কথা বলা ত সহজ নহে ! জীবন না। সে সব বলিতে পারিলে অনেক কাজ হয়। আমার জীবন অবিশ্রান্ত সংগ্রামের জীবন। এক জনের প্রভাব আমার জীবন বড় বেশী রকমের-আমার পরিবারের। আমার জীবনী লিখিতে হইলে তাহারও লিখিতে হয়। তিনি না থাকিলে আমি কি হইতা বলিতে পারি না। আমার যত ভ্রম প্রমাদ তিনি জানেন জার আমি জানি। আমার জীবনের কতক বড় শিক্ষাপ্রদ, সকল বলিলে । লোকে ভাবিবে কি যে কি এক রকমের অদ্ভুত লোক ছিল। আগে । আমি নাস্তিক ছিলাম। তাহা হইতে হিন্দু ধৰ্ম্মে আমার শক্তি গতি অতি আশ্চর্য রকমের। কেমন করিয়া তাহ হইল, জানিলে লোকে আশ্চর্য হইবে। আমি আপন চেষ্টায় যা কিছু শিখেছি ছেলেবেলা হতে কোন শিক্ষকের কাছে কিছু শিখিনি। হুগল কলেজে এক আধটু শিখেছিলাম ঈশান বাবুর কাছে। ক্লাসে কল থাকিতাম না। ক্লাসের পড়াশুনা কখন ভাল লাগিত না—বড় অসৎ বোধ হইত। কুসংসর্গটা ছেলেবেলায় বড় বেশী হয়েছিল। বা" থাকতেন বিদেশে, মা সেকেলের উপর আর একটু বেশী, কাজেই বঙ্কিম বাবুর প্রসঙ্গ । *Bఫె উার কাছে শিক্ষা কিছু হয় নি । নীতি শিক্ষা কখন হয় নি। আমি যে লোকের ঘরে সিঁদ দিতে কেন শিখিনি বলা যায় না”। বঙ্কিম বাবু হাসিলেন। আমি বলিলাম “শুনেছি বিষবৃক্ষে আপনার নিজের জীবনের একটা ছবি আছে, ইহা কি সত্য কথা ?” উত্তর“কতক সত্য বই কি, তবে অসিলের উপর অনেক রং ফলাইতে হয়েচে"। একটু পরে বলিলেন, "চাকরী আমার জীবনের অভিশাপ আর স্ত্রীই আমার জীবনের কল্যাণস্বরূপা । আমি তাহার উপন্যাসের চরিত্রগুলির কথা তুলিলাম। বলিলাম, স্ত্রীচরিত্রগুলির উৎকর্ষ আপনার বেশী। পুরুষও কয়টা অতি সুন্দর আছে। অন্তান্ত নামের সঙ্গে বঙ্কিম বাৰু অমরনাথের নামও করিলেন। আমি বলিলাম, অমরনাথ আর প্রতাপ একই চরিত্রের দুইরূপ বিকাশ । বঙ্কিম বাবু বলিলেন, প্রতাপ বরাবর ঐশ্বৰ্য্যশালী, তথাপি ইন্দ্ৰিয়জয়ী, কিন্তু অমরনাথ অবস্থার পরিবর্তনে মনঃসংযম করিতে পারিয়াছিলেন । বলিলেন, পূৰ্ণচন্দ্র বস্থ এইরূপ বুঝাইয়াছেন। স্ত্রীচরিত্রের মধ্যে বঙ্কিম বাবুর নিজের মতে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ভ্রমর, কৃষ্ণকান্তের উইল র্তাহার সৰ্ব্বোৎ কৃষ্ট পুস্তক। আমি বলিলাম, অনেকে কপালকুণ্ডলাকে সৰ্ব্বোৎ কৃষ্ট বলে। উত্তর –“হা, কাব্যাংশে খুব উচু বটে” । তার পর নিজেই বলিলেন,"প্রথম তিনখানি বইয়ের জন্ত আমি ইংরেজী সাহিতোর কাছে ঋণী, তবে দুর্গেশনন্দিনী লেখার আগে আইভানহে পড়ি নাই। কপালকুণ্ডলা লেখার সময় সেক্ষপীয়র বড় বেশী। পড়িতাম। মৃণালিনীর পর কেবল ইতিহাস, দর্শন ইত্যাদি পড়িমাছি"। চন্দ্রশেখরের কথা উঠিল। আমি বলিলাম, ভাষার লীলা, দৃশ্বের এমন উৎকর্ষ আপনার আর কোন কাব্যে দেখা "ার না। সেই “অগাধ জলে সাতারের” মত সুন্দর অপুৰ্ব্ব দৃশু o' o s - _ --- - –– - - - - - ::ف------------ -- = -- -- - - -