苓母 সাধনা ৷ ” প্তাহার প্রথম কার্য্যেই প্রকাশ পায়। তিনি যে স্বদেশ ছাড়িয়া সমুদ্র লঙ্ঘন করিয়া জন্মভূমি ও আত্মীয় স্বজন হইতে বহুদূরে এই সম্পূর্ণ অপরিচিত পরজাতির মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করিলেন এই দুঃসাধ্য কার্য্যে কে তাহাকে প্রবৃত্ত করাইল । কোথায় সেই মেরুতুষারচুম্বিত য়ুরোপের শীর্ষ-বিলম্বিত সুইডেন আর কোথায় এই এসিয়ার প্রান্তবৰ্ত্তা খররৌদ্রক্লান্ত বঙ্গভূমি। পরস্পরের মধ্যে কোন সভ্যতার সাম্য, কোন আত্মীয়তার সম্বন্ধ, কোন ঐতিহাসিক সংযোগ নাই । ভাষা, প্রথা, অভ্যাস, জীবনযাত্রার প্রণালী সন্ম স্তই স্বতন্ত্র। সমস্ত প্ৰিয়বন্ধন সমস্ত চিরাভ্যস্ত সংস্কার হইতে কোন দেশের রাজশাসনও কোন ব্যক্তিকে এমন সম্পূর্ণরূপে নিৰ্ব্বাসন দণ্ড বিধান করিতে পারে কি না সন্দেহ। কলিকাতায় বাঙ্গালীর নিমন্ত্রণসভায় উৎসবক্ষেত্রে ধৰ্ম্মসমাজে এই শুভ্রকোর্ভাধারী সৌম্য প্রফুল্লমূৰ্ত্তি শ্বেতান্ত বিদেশীকে এক প্রাক্ত ভাগে অনেকবার দেখিয়াছি। আমাদের মধ্যে প্রবেশ লাভ করি বার জন্ত যেন তাহার একটি বিশেষ আগ্রহ ছিল। অনেক সভা স্থলে আমাদের বক্তৃতার ভাষা আমাদের সঙ্গীতের স্থর তাহার পক্ষে সম্পূর্ণ অপরিজ্ঞাত থাকিলেও তিনি প্রতিনিবৃত্ত হইতেন না; ধৈর্য্য সহকারে হৃদয়ের অন্তরঙ্গতাগুণে আমাদের ভাবের মধ্যে যেন স্থান লাভ করিতে চেষ্টা করিতেন। পরজাতির গূঢ় হৃদ BBBB BBB BBBBB BB B BBB BBB BBBB BB BBBS বিশেষরূপে ছিল । ছাত্রশিক্ষার যে কাৰ্য্যভার তিনি গ্রহণ করিয়াছিলেন তাই পালন করিতে গিয়া তাহাকে অসামান্ত কষ্টস্বীকার করিতে হইত। মধ্যান্ত্রের রৌদ্রে অনাহারে অনিয়মে কলিকাতার পথে পথে সমস্ত দিন পরিভ্রমণ করিয়াছেন কিছুতেই তাহার অশ্রান্ত উদ্যমকে অতিথি এবং আতিথা । 、量曹 পরাভূত করিতে পারে নাই। রৌদ্রতাপ এবং উপবাস তিনি কিরূপ সহ করিতে পারিতেন বর্তমান লেখক একদিন তাহার পরিচয় পাইয়াছিল। বোলপুরের শাস্তিনিকেতন আশ্রমে উৎসব উপলক্ষে গত বৎসর পৌষ মাসে তিনি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে গিয়া প্রাতঃকালে এক পেয়ালা চা খাইয়া তিনি ভ্রমণে বাহির হন। বিনা ছাতায় বিনা আহারে সমস্ত দিন মাঠে মাঠে ভূতত্ত্ব আলোচনা করিয়া অপরাহ্লে উৎসবারম্ভকালে ফিরিয়া আসেন— তখন কিছুতেই আহার করিতে সম্মত না হইয়া উৎসবাস্তে রাজি নয়টার সময় কিঞ্চিৎ জলযোগ করিয়া পদব্রজে ষ্টেশনে গমন পূৰ্ব্বক সেই রাত্রেই কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন। একদিন তিনি পদব্ৰজে ভ্রমণ করিতে বাহির হইয়া একেবারে বারাকপুরে গিয়া উপস্থিত হন। সেখান হইতে পুনৰ্ব্বার পদব্রজে কিরিতে রাত্রি দশটা হইয়া যায়। পাছে ভূতদের কষ্ট হয় এই জন্য সেই দীর্ঘ ভ্রমণ দীর্ঘ উপবাসের পর অনাহারেই রাত্রি যাপন করেন । কোন কোন দিন রাত্রে তিনি আহারে ঔদাসীন্ত প্রকাশ করিলে গৃহপামিনী যখন খাইতে পীড়াপীড়ি করিতেন, তিনি বলিতেন ভোজনে আজি আমার অধিকার ও অভিরুচি নাই –দিনের কার্য্য লাজ আমি ভাল করিয়া সম্পন্ন করিতে পারি নাই। প্রাতঃকালে আহার করিবার সময় তিনি রুটিখণ্ড গাছের শাখায় এবং ভূতলে রাশিয়া দিতেন, পার্থীরা আসিয়া খাইলে পর তবে তাহার আহার সম্পন্ন হইত। তাহার একটি সাধ ছিল আমাদের দেশীয় শিক্ষিত যুবকদের গছ ভাল লাইব্রেরি এবং জালোচনাসভা স্থাপন করা। এই উদ্দেশু স্বাধনের জন্য রৌদ্রবৃষ্টি অর্থব্যয় এবং শারীরিক কষ্ট তুচ্ছ করিয়া তিনি প্রাণপণ চেষ্টা করিয়া ফিরিয়াছেন। যাহার। তাহার সহায়তা 1._களு SSTTSTTSTSTTSTTS
পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।