পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=-- 豊韓。 সাধন । মেঘ ও রৌদ্র । 鹭、 এবেলাও বালিক। কি বিশেষ আবশ্বকে সেই বিশেষ স্থানে আসিয়া ইতস্ততঃ করিতেছে বলা কঠিন। আর যাহাঁই আবশ্যক থাক ঘরের ভিতরকার মানুষটির সহিত আলাপ করিবার যে অবশ্যক আছে ইহা কোন মতেই বালিকার ব্যবহারে প্রকাশ পায় না। বরঞ্চ বোধ হইল সে দেখিতে আসিয়াছে সকাল বেলা যে জামগুলা ফেলিয়া গেছে বিকাল বেলায় তাহার কোনটার অঙ্কুর বাছির হইয়াছে কি না । কিন্তু অঙ্কুর না বাহির হইবার অন্যান্য কারণের মধ্যে একটি গুরুতর কারণ এই ছিল যে, ফলগুলি সম্প্রতি যুবকের সম্মুখে তক্তপোযের উপরে রাশীকৃত ছিল ; এবং বালিকা যখন ক্ষণে ক্ষণে অবনত হইয়া কোন একটা অনির্দেশু কাল্পনিক পদার্থের অনুসন্ধানে নিযুক্ত ছিল তখন যুবক মনের হাস্ত গোপন করিয়া অত্যন্ত গম্ভীর ভাবে একটি একটি জাম নিৰ্ব্বাচন করিয়া সখন্ত্রে আহার করিতে ছিল। অবশেষে যখন দুটাে একটা আঁঠি দৈক ক্রমে বালিকার পায়ের কাছে, এমন কি, গায়ের উপরে আসিয়া পড়িল তখন গিরিবাল বুঝিতে পারিল মুবক বালিকার অভিমানের প্রতিশোধ লইতেছে। কিন্তু এই কি উচিত । যখন সে আপনার ক্ষুদ্র হৃদয়টুকুর সমস্ত গৰ্ব্ব বিসর্জন দিয়া আত্মসমর্পণ করিবার অবসর খুজিতেছে তখন কি তাহার সেই অত্যন্ত হুরূহ পথে বাধা i. দেওয়া নিষ্ঠুরতা নহে? ধরা দিতে আসিয়াছে এই কথাটা ধর পড়িয়া বালিকা যখন ক্রমশঃ আরক্তিম হইয়া পলায়নের পথ অনুসন্ধান করিতে লাগিল তখন যুবক বাহিরে আসিয়া তাহার হাত ধরিল। o সকালবেলাকার মত এবেলাও বালিকা আঁকিয়া বাকিয়1\ীত ছাড়াইয়া পালাইবার বহু চেষ্টা করিণ-কিন্তু কাদিগ না। ব* \ রক্তবর্ণ হইয়া ঘাড় বাকাইয়া উৎপীড়নকারীর পৃষ্ঠদেশে মুখ লুকাই প্রচুর পরিমাণে হাসিতে লাগিল এবং যেন কেবলমাত্ৰ বাহু আকর্ষণে নীত হইয়া পরাভূত বন্দীভাবে লৌহগরাদে বেষ্টিত কারাগারের মধ্যে প্রবেশ করিল। আকাশে মেঘ রৌদ্রের খেলা যেমন সামান্ত, ধরাপ্রান্তে এই ছট প্রাণীর খেলাও তেমনি সামান্য তেমনি ক্ষণস্থায়ী। আবার, আকাশে মেঘ রৌদ্রের খেলা যেমন সামান্ত নহে এবং খেলা নহে কিন্তু খেলার মত দেখিতে মাত্র, তেমনি এই দুটি অখ্যাতনাম মনুয্যের একটি কৰ্ম্মহীন বর্ষাদিনের ক্ষুদ্র ইতিহাস সংসারের শত শত ঘটনার মধ্যে তুচ্ছ বলিয়া প্রতীয়মান হইতে পারে কিন্তু ड्रेश्। তুচ্ছ নহে। যে বৃদ্ধ বিরাট অদৃষ্ট অবিচলিত গম্ভীর মুখে অনন্তকাল রিয়া যুগের সহিত যুগান্তর গাথিয়া তুলিতেছে, সেই বৃদ্ধই বালিকার এই সকাল বিকালের তুচ্ছ হাসিকান্নার মধ্যে জীবনব্যাপী হুখ দুঃখের বীজ অঙ্কুরিত করিয়া তুলিতেছিল । তথাপি বালিকার এই আকারণ অভিমান বড়ই অর্থহীন বলিয়া বোধ হইল। কেবল দশকের কাছে নহে, এই ক্ষুদ্র নাট্যের প্রধান পাত্র উক্ত যুবকের নিকটেও। এ বালিকা কেন যে একদিন বা রাগ করে, একদিন বা অপরিমিত স্নেহ প্রকাশ করিতে থাকে-কোন দিন বা দৈনিক ধর্মাদ বাড়াইয়া দেয়, কোন দিন বা দৈনিক বরাদ একেবারেই বন্ধ করে, তাহার কারণ খুজিয়া পাওয়া সহজ নহে। এক এক দিন সে যেন তাহার সমস্ত কল্পনা ভাবনা এবং নৈপথ্য এশি করিয়া যুবকের সন্তোষসাধনে প্রবৃত্ত হয়, আবার এক একদিন তাহার =* 馨 সমস্ত ক্ষুদ্র শক্তি তাহার সমস্ত কাঠিন্য একত্র সংহত করিয়া তাহাকে আঘাত করিতে চেষ্টা করে। বেদন দিতে না পরিলে 韃 গহার কাঠিন্য দ্বিগুণ বাড়িয় উঠে ; কতকাৰ্যা হুইলে সে কাঠিন্থ