পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 с. Да সাধনা যদি কোন ইংরাজ হৃদয়বান হইয়া জন্মগ্রহণ করে, সে ইংরাজ সমাজে প্রতিপদে প্রতিঘাত প্রাপ্ত হয়। হয় তো মমতা প্রকাশ । o করিতে গিয়া সে দেখিতে পায়, যাহার প্রতি সে মমতা প্রকাশ । করিতেছে সে কুষ্ঠিত হইয়া মমতা গ্রহণ করিতেছে কিপা সে যাহার নিকট মমতার প্রত্যাশী সেখানে নিরাশ হইতেছে। এরূপ স্থলে, লাভের মধ্যে কষ্ট্রই সার। ইংরাজদিগের পরিবারিক স্নেহ মমতা অত্যন্ত কম । অনেক স্থলে দেখা যায়, পিতামাতার সহিত সন্তানদিগের ভাবের গাঢ়তা নাই—যেন তাহাদের মধে দূর-সম্পর্ক। এই জন্ত, পরস্পরের মধ্যে বিচ্ছেদ হইলেও কোনও পক্ষেরই বিশেষ কষ্ট হয় না। ভ্রাতাদিগকে লক্ষ্য করিয়া দেখদেখিবে, তাহারা যেন পর—তাহার পরস্পর হইতে দুরে অবস্থান করিতেছে—তাহীদের মধ্যে পত্রব্যবহারও নাই । একটু দূরে থাকিলে কিম্বা কাৰ্য্যাস্তরে ব্যাপৃত থাকিলে, আত্মীয়স্বজন অন্ত্যেষ্টি সৎকারে যোগ দিবার পক্ষে তাহাই বিপুল বাধা বলিয়া বিবেচিত হয়। অনেক স্থলে দেখা গিয়াছে, আর্থিক অবস্থা ইতরবিশেষ হওয়া প্রযুক্ত নিতান্ত আত্মীয়দিগের মধ্যে পর-ভাব আসিয়া পড়িয়াছে। কোন কোন ইংরাজ এরূপ কথাও বলেন যে, আত্মীয় অপেক্ষ বন্ধু থাকা ভাল-কেন না, বন্ধু নিৰ্বাচন সকলের আয়ত্তাধীন কিন্তু আত্মীয় নিৰ্বাচনে কাহারও একৃতির BBSSSBBBB BBBB BBB BBBSSSBBBBS S BBBBBBBS আত্মীয়স্বজনেরা যদি কোন কারণবশতঃ পর্বোৎসবাদিতে পরস্পরের সহিত সাক্ষাৎ করিতে ন পারে, অন্ততঃ তাহারা পরস্পরকে পত্র লেখে। নববর্ষে বন্ধুরা অন্ততঃ দুই এক ছত্র পরস্পরকে পত্র লিথিয় থাকে এবং আলাপরা পরস্পরের মধ্যে "কার্ড বিনিময় করে । একজন বুদ্ধিমান ফরাসী, গ্রন্থকারের নিকট একবার ফরাসী ও ইংরাজ । 5 a ‘l এইরূপ বলিয়াছিল : - কখন কখন আমাদের পরিবারিক প্রেমে কপটতা প্রকাশ পায়, কখন কখন আমরা যাহা মুখে ব্যক্ত করি তাহা হৃদয়ে অনুভব করি না, কিন্তু মোটের উপর, আমাদের যেরূপ লোকাচার তাহাতে শুদ্ধ যে স্নেহমমতার বাহিক আকার রক্ষা হয় তাহা নহে পরস্তু উহার দ্বারা প্রকৃত ভালবাসাও সজীব থাকে"। ইংরাজেরা সহৃদয়তাকে দুৰ্ব্বলতা বলিয়া মনে করে - কিন্তু এ কথা লোহিতাঙ্গ অসভ্য ইণ্ডীয় জাতিরই উপযুক্ত । এ বিরে মহারানী ভিক্টোরিয়া স্বীয় প্রজাদের সমক্ষে নিজ গার্হস্থ্য জীবনের কথা অসঙ্কোচে ব্যক্ত করিয়া—নিজ হৃদয় উন্মুক্ত করিয়া মহৎ দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিয়াছেন। সহৃদয়তার এক বিভাগে ইংরাজ ফরাসী অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ-নিকৃষ্ট জীবের প্রতি ইরাজের মমতা ফরাসী অপেক্ষ সমধিক । আর এক বিষয়ে ফরাসীদিগের হীনতা দেখা যায়—উহাদের ভক্তির অভাব। সাধারণতন্ত্রীরা কাহাকেই ভক্তি করে না। এমন কি, তাহাদের ভূতপূৰ্ব্ব অবিনেতা বেচার গ্রেভিও তাহদের ভক্তির পাত্র ছিল না। ভিক্টর ছাগোকে ফরাসীরা ভক্তি করিত বটে কিন্তু তাহার স্থান এখনও পৰ্যন্ত কেহ অধিকার করিতে পারে নাই। রাজভক্তি তো ফরাসীদিগের মূলেই নাই। রাজ্যের উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারিদিগকেও উহার যথোচিত সন্মান করে না। উচ্চ উপাধিও উহাদের ভক্তি আকর্ষণ করিতে পারে না । উহাদের পারিবারিক জীবনে ভালবাসা আছে কিন্তু ভক্তি নাই। পুরাতন সাহিত্যের প্রতি পূর্বে উহাদের অচলা ভক্তি ছিল-- এখন তাহাও চলিয়া যাইতেছে । ফরাসী উপন্যাস সম্বন্ধে গ্রন্থকার এইরূপ বলেন ; – “ইংরাজেরা সচরাচর এইরূপ বলিয়া থাকেন, ফরাসীরা যে দুর্নীতিপরায়ণ তাহার প্রমাণ তাহদের নভেল হইতেই পাওয়া যায়–কিন্তু