পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনী। মেয়েলি ছড়া । 3:5) বাহি সে দিনের নির্বর-ধারা আসিয়াছি কলনাদে ! সকল জগৎ তব মায়ারথ কোথা যেতে চাহ অয়ি ! আজি নির্জনে বসিয়া একাকী পদপঙ্কজে মন বাধা রাঞ্চি’ সুগভীর ধ্যানে মুদি দুই আঁখি হেরিতেছি এক ছবি ; (পার্থের রথে ভদ্রা যেমন) হেলায় রশ্মি করিয়া, গ্রহণ সুবর্ণ রথ করিছ চালন পাশে আমি তব কবি ;– নাহি জানি কোন যুগের সে কথা, নিয়ে গিয়েছিলে কোথা হতে কোথ, কত রণভূমি, কত সে জনতা, কৰ্ম্মপ্রবাহ কত । বাধা পেয়ে তটে লোক-আবর্তৃ মহা সংঘাতে করে অনৰ্থ, দারুণ হিংসা-সুখে প্ৰমত্ত প্রলয়নৃত্যরত ! আজি সে কাহিনী লেখা ইতিহাসে, যত করি পাঠ, তত মনে আসে, স্কুলে উঠে প্রাণ শোকে উল্লাসে, উৎসাহে অবসাদে । আমি ছিন্থ সেথা, আমি ছিনু তারা, সেই স্রোতোমাঝে হয়েছিনু হারা, f o * * সেই রামায়ণ, সে মহাভারত, তার মাঝে তব গিয়েছিল রথ, দুঃসহ দুঃখ, দুর্গম পথ এসেছি বাহন করি । কতনা উৰ্ম্মি-আকুল পাথার তোমা সাথে আমি দিয়েছি সাতার ! মৃত্যু-পয়োধি হইয়াছি পার চরণ বক্ষে ধরি ! তাই থেকে থেকে প্রাণ নেচে উঠে, স্থখ-বন্ধন দুই হাতে টুটে” ঝটিকার মাঝে যেতে চায় ছুটে,-- কারে মনে পড়ে বুঝি ? কৰ্ম্মের স্রোতে জন-তরঙ্গে তোমারে বেড়ায় খুজি ! == মেয়েলি ছড়া । বাঙ্গলাভাষায় ছেলে ভুলাইবার জন্ত যে সকল মেয়েলি ছড়া প্রচলিত আছে, কিছুকাল হইতে আমি তাহ সংগ্ৰহ করিতে প্রবৃত্ত ছিলাম। আমাদের ভাষা এবং সমাজের ইতিহাস নির্ণয়ের পক্ষে সেই ছড়াগুলির বিশেষ मूर्ती থাকিতে পারে কিন্তু তাহাদের মধ্যে