পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 Ա: সাধনা ৷ থাকিত তবে নিশ্চয় এমন কৌশলে প্লট বাধিতাম যtহাতে প্রথমোক্ত যমুনাবতীই গ্রন্থের শেষ পরিচ্ছেদে সেই ত্রিপূর্ণর ঘাটের অনির্দিষ্ট ব্যক্তির অপরিজ্ঞাত ভগ্নীরূপে দাড়াইয়া যাইত এবং ঠিক মধ্যায়কালে ওড়ফুলের মালা বদল করিয়া যে গান্ধৰ্ব্ব বিবাহ ঘটিত তাহাতে সহৃদয় পাঠকমাত্রেই তৃপ্তিলাভ করিতেন। কিন্তু বালকের প্রকৃতিতে মনের প্রতাপ অনেকটা ক্ষীণ । জগৎ সংসার এবং তাহার নিজের কল্পনাগুলি তাহাকে বিচ্ছিন্নভাবে আঘাত করে, একটার পর আর একটা আসিয়া উপস্থিত হয়। মনের বন্ধন তাহার পক্ষে পীড়াজনক। স্থসংলগ্ন কাৰ্য্যকারণস্থত্র ধরিয়া জিনিষকে প্রথম হইতে শেষ পর্য্যন্ত অনুসরণ করা তাহার পক্ষে দুঃসাধ্য। বহির্জগতে সমুদ্রতীরে বসিয়া বালক বালির ঘর রচনা করে, মানস জগতের সিন্ধুতীরেও সে আনন্দে বলিয়া বালির ঘর বাধিতে থাকে। বালিতে বালিতে ঘোড়া লাগে না, তাই স্থায়ী হয় না – কিন্তু বালুকার মধ্যে এই যোজনশীলতার অভাব বশতই বাল্যস্থাপত্যের পক্ষে তাহ সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট উপকরণ । মুহূর্তের মধ্যেই মুঠামুঠা করিয়া তাহাকে একটা উচ্চ আকারে পরিণত করা যায়—মনোনীত না হইলে অনায়াসে তাহাকে সংশোধন করা সহজ এবং শ্রান্তি বোধ হইলেই তৎক্ষণাৎ পদাঘাতে তাহাকে সমভূম করিয়া দিয়া লীলাময় স্বজনকৰ্ত্ত লঘুহৃদয়ে বাড়ি ফিরিতে পারে। BB BBBB BBB BBB BBB BB BBBBB BBBB BBS কেও অবিলম্বে কাজের নিয়ম মানিয়া চলিতে হয় । বালক নিয়ম মানিয়া চলিতে পারে না – সে সম্প্রতিমাত্র নিয়মহীন ইচ্ছানন্দময় স্বৰ্গলোক হইতে আসিয়াছে। আমাদের মত সুদীর্ঘকাল নিয়মের দাসত্বে অভ্যস্ত হয় নাই, এই জন্য সে ক্ষুদ্র শক্তি অনুসারে সমুদ্র তীরে বালির ঘর এবং মনের মধ্যে ছড়ার ছবি স্বেচ্ছামতে রচনা মেয়েলি ছড়া । ՅՎ) : করিয়া মৰ্ত্ত্যলোকে দেবতার জগৎলীলার অনুকরণ করে । এই জন্যই আমাদের শাস্ত্রে ঈশ্বরের কার্য্যের সহিত বালকের লীলার সৰ্ব্বদা তুলনা দেওয়া হইয়া থাকে, উভয়ের মধ্যেই একটা ইচ্ছাময় আনন্দের সাদৃশু আছে। পূৰ্ব্বোস্থত ছড়াটিতে সংলগ্নতা নাই কিন্তু ছবি আছে। কাজিতলা ত্রিপূর্ণর ঘাট, এবং ওড়বনের ঘটনাগুলি স্বপ্নের মত অদ্ভূত কিন্তু স্বপ্নের মত সত্যবত্ব । স্বপ্নের মত সত্য বলাতে পাঠকগণ আমার বুদ্ধির সজাগত। সম্বন্ধে সন্দিহান হইবেন না। অনেক দার্শনিক পণ্ডিত প্রত্যক্ষ জগৎটাকে স্বপ্ন বলিয়া উড়াইয়া দিয়াছেন। কিন্তু সেই পণ্ডিত স্বপ্নকে উড়াইতে পারেন নাই । তিনি বলেন প্রত্যক্ষ সত্য নাই— তবে কি আছে ? না, স্বপ্ন আছে। অতএব দেখা যাইতেছে প্রবল যুক্তি দ্বারা সত্যকে অস্বীকার করা সহজ কিন্তু স্বপ্নকে অস্বীকার করিবার যে নাই। কেবল সজাগ স্বপ্ন নহে, নিদ্রাগত স্বপ্ন সম্বন্ধেও এই কথা খাটে। সুতীক্ষ্ণবুদ্ধি পণ্ডিতেরও সাধ্য নাই স্বপ্নাবস্থায় স্বপ্নকে অবিশ্বাস করেন। জাগ্রত অবস্থায় তাহার সম্ভব সত্যকেও সন্দেহ করিতে ছাড়েন না কিন্তু স্বপ্লাবস্থায় তাহারা চরমতম অসম্ভবকে অসংশয়ে গ্রহণ করেন। অতএব বিশ্বাসজনকতা নামক যে গুণটি সত্যের সর্বপ্রধান গুণ হওয়া উচিত সেটা যেমন স্বপ্নের আছে এমন আর কিছুরই নাই। এতদ্বারা পাঠক এই কথা বুঝিবেন যে, প্রত্যক্ষ জগৎ আমাদের কাছে যতটা সত্য, ছড়ার স্বপ্ন-জগৎ নিত্যস্বপ্নদর্শী বালকের নিকট তদপেক্ষ অনেক অধিক সত্য । এইজন্তু অনেক সময় তাকেও আমরা অসম্ভব বলিয়া ত্যাগ করি, এবং তাহারা অসস্থলকেও সত্য বলিয়া গ্রহণ করে। T - --- - o o 1. 醫-- o o鷲o | o