পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাধনা ৷ পাছে অসম্ভবকে সত্য বলিয়া ঠকিতে হয় এই জন্যই যুক্তি নামক একটি প্রবল পক্ষের সহায়তা অবলম্বন করিয়াছিলাম। মনে করিয়াছিলাম সেই লোকটা যদি ভ্রমগুলাকে ঠেকাইয়া রাখে তাহ হইলে জগৎসংসারে চলিবার পক্ষে অনেক সুবিধা হইবে। তখন --- o এ কথা মনে করি নাই ক্রমে সে স্পৰ্দ্ধা প্রাপ্ত হইয়া জগৎসংসার । টাকেই ঠেকাইতে বসিবে । ছুরিতে শান দিবার জন্য যে পাথরটাকে নিযুক্ত করা হইয়াছিল সে আপনার ধৰ্ম্মগুণে কালক্রমে সমস্ত ছুরিটাকেই লোপ করিয়া দিবে। কিন্তু ইহা দেখা যাইতেছে বালকের দর্শন এবং বৃদ্ধের দর্শন এক জায়গায় আসিয়া মিলিয়াছে। বৃদ্ধ অনেক বিচার করিয়া সত্যকে স্বপ্ন বলে এবং বালক কিছুমাত্র বিচার না করিয়া স্বপ্নকে সত্য বলিয়া থাকে । - এই জন্ত বালকের মন ভুলাইতে অধিক আয়োজনের আবশ্বক করে না। তাহাকে সত্যই দাও আর ভুলই দাও সে ফুটাই গ্রহণ করিবে—বরং সত্য ছাড়িয়া ভুলটাকে বেশি আদর করিয়া লইবে যদি তাছার মধ্যে কিছু রস থাকে এবং যদি সেটা সত্যের অপেক্ষ অধিকতর স্পর্শযোগ্য অস্তুভবগম্য হয়। - বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর, নদী এলু বান। শিবুঠাকুরের বিয়ে হল তিন কন্তে দান । এক কন্থে রাপেন বাড়েন, এক কন্তে খান । এক কন্তে না খেয়ে বাপের বাড়ি যান। এ বয়সে এই ছড়াটি শুনিবামাত্র বোধু করি প্রথমেই মনে হয়, শিবু ঠাকুর যে তিনটি কন্যাকে বিবাহ করিয়াছেন তন্মধ্যে মধ্যম কন্যাটিই সৰ্ব্বাপেক্ষ বুদ্ধিমতী । কিন্তু এক বয়স ছিল যখন এতাদৃশ BBDSBBBBB DDD DD BBS BSB BB BBB BB BBS মেয়েলি ছড়া । বাল্যকালের মেঘদূতের মত ছিল। আমার মানসপটে একটি ঘনমেঘান্ধকার বাদলার দিন এবং উজ্জ্বালতরঙ্গিত নদী মূৰ্ত্তিমান হইয়া দেখা দিত। তাহার পর দেখিতে পাইতাম সেই নদীর প্রান্তে বালুর চরে গুটিয়েক পাব্দী নৌকা বাধা আছে এবং শিবু, ঠাকুরের নববিবাহিতা বধূগণ চড়ায় নামিয়া রাধাবাড়া করিতেছেন। সত্য কথা বলিতে কি, শিবুঠাকুরের জীবনটিকে বড় সুখের জীবন মনে করিয়া চিত্ত কিছু ব্যাকুল হইত। এমন কি, তৃতীয়া বধুঠাকুরাণী মৰ্ম্মান্তিক রাগ করিয়া দ্রুতচরণে বাপের বাড়ি-অভিমুখে চলিয়াছেন সেই ছবিতেও আমার এই স্থখচিত্রের কিছুমাত্র ব্যাঘাত সাধন করিতে পারে নাই। এই নিৰ্ব্বোধ তখনও বুঝিতে পারিক্ত না ঐ একটিমাত্ৰ ছত্রে হতভাগ্য শিবুঠাকুরের জীবনে কি এক হৃদয় বিদারক শোকাবহ পরিণাম সুচিত হইয়াছে । কিন্তু পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি চরিত্রবিশ্লেষণ অপেক্ষ চিত্রবিরচনের দিকেই তখন সনের গতিট ছিল। এখন বুঝিতে পারিতেছি হতবুদ্ধি শিবু, ঠাকুর তদীয় কনিষ্ঠ জায়ার অকস্মাৎ পিতৃগৃহপ্রয়াণ দৃশ্যটিকে ঠিক মনোরম চিত্র হিসাবে দেখেন নাই। এই শিবু ঠাকুর কি কস্মিন কালে কেহ ছিল এক একবার একথাও মনে উদয় হয় । হয়ত বা ছিল। হয় ত এই ছড়ার মধ্যে পুরাতন বিষ্কৃত ইতিহাসের অতি ক্ষুদ্র এক ভগ্ন অংশ থাকিয় পাছে। আর কোন ছড়ায় হয় ত বা ইহার আর এক টুকুর পাকিতে পারে। এ পার গঙ্গা ওপর গঙ্গা মধ্যিখানে চর। তারি মধ্যে বসে ক্লাছে শিব সদাগর । শিব গেল শ্বশুর-বাড়ি বসতে দিল পিড়ে । জলপান করিতে দি শালিধানের চিণ্ডে । - | 醬