পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.8豊ど - . সাধন । শালিধানের চিড়ে নয়রে, বিন্নিধানের খই। মোটা মোট সবুরি কলা, কাগমারে দই ৷ ভাবেগতিকে আমার সন্দেহ হইতেছে শিবু ঠাকুর এবং শিল্প সদাগর লোকটি একই হইবেন। দাম্পত্য সম্বন্ধে উভয়েরই এীয় ്. - প্রাচীন জগতের একটি সুদূর অথচ নিকট পরিচয় লাভ করিতে একটু বিশেষ সপ্ত আছে এবং বোধ করি আহার সম্বন্ধেও অবহেল নাই। উপরন্তু গঙ্গার মাঝখানটিতে যে স্থানটুকু নিৰ্ব্বাচন করিয়া লওয়া হইয়াছে তাহাও নব-পরিণীতের প্রথম প্রণয়-যাপনের পক্ষে অতি উপযুক্ত স্থান । এই স্থলে পাঠকগণ লক্ষ্য করিয়া দেখিবেন, প্রথমে জনবধানতাক্রমে শিবু সদাগরের জলপানের স্থলে শালিধানের চিড়ার উল্লেখ করা হইয়াছিল কিন্তু পরক্ষণেই সংশোধন করিয়া বলা হইয়াছে “শালিধানের চিড়ে নয়রে বিন্নিধানের খই ” যেন ঘটনার সত্য সম্বন্ধে তিলমাত্র স্থলন হইবার যে নাই। অথচ এই সংশিী ধনের দ্বারা বর্ণিত ফলাহারের খুব যে একটা ইতরবিশেষ হই য়াছে, জামাই-অাদর সম্বন্ধে শ্বশুরবাড়ির গৌরব খুব উজ্জ্বলতররূপে পরিস্ফুট হইয়া উঠিয়াছে তাহাও বলিতে পারি না। কিন্তু এ ক্ষেত্র শ্বশুর-বাড়ির মর্যাদা অপেক্ষ সত্যের মর্য্যাদা রক্ষার প্রতি কবির অধিক লক্ষ্য দেখা যাইতেছে । তাও ঠিক বলিতে পারি না । বেধি করি ইহাও স্বপ্নের মত। বোধ করি শালিধানের চিড়া দেখিতে দেখিতেই পরমুহূর্তে বিন্নিধানের খই হইয়া উঠিয়াছে। বোধ কবি শিবু ঠাকুরও কখন এমনি করিয়া শিবু সদাগরে পরিণত হইয়াই কেহ বলিতে পারে না । - শুনা যায় মঙ্গল ও বৃহস্পতির কক্ষ ধ্যে কতকগুলি টুকুর এই আছে। কেহ কেহ বলেন একখানা মাস্তগ্রহ ভাঙ্গিয়া খণ্ড খণ্ড হইয়া গিয়াছে। এই ছড়াগুলিকেও সেইরূপ টুকুর জগৎ বলি" মেয়েলি ছড়া । ৪৩৭ আমার মনে হয়। অনেক প্রাচীন ইতিহাস প্রাচীন স্থতির চুর্ণ অংশ এই সকল ছড়ার মধ্যে বিক্ষিপ্ত হইয়া আছে, কোন পুরাতত্ত্ববিৎ আর তাহাদিগকে ঘোড়া দিয়া এক করিতে পারেন না, কিন্তু আমাদের কল্পনা এই ভগ্নাবশেষগুলির মধ্যে সেই বিস্তৃত চেষ্টা করে । অবশ্য বালকের কল্পনা এই ঐতিহাসিক ঐক্য-রচনার জন্য ংস্থক নহে। তাহার নিকট সমস্তই বৰ্ত্তমান এবং তাহার নিকট বর্তমানেরই গৌরব। সে কেবল প্রত্যক্ষ ছবি চাহে এবং সেই ছবিকে ভাবের অশ্রুবাম্পে ঝাপা করিতে চাহে না । নিয়োছত ছড়াটিতে অসংলগ্ন ছবি যেন পার্থীর বাকের মত উড়িয়া চলিয়াছে। ইহাদের প্রত্যেকের এই স্বতন্ত্র দ্রুতগতিতে বালকের চিন্তু উপৰ্য্যুপরি নব নব আঘাত পাইয়া বিচলিত হইতে থাকে । নোটন নোটন পায়রাগুলি ক্টোটন রেখেছে ! বড় সাহেবের বিবিগুলি নাইতে এসেছে। ছু পারে হুই রুই কাৎলা ভেসে উঠেছে। দাদার হাতে কলম ছিল ছুড়ে মেরেটে । ও পারেতে দুটি মেয়ে নাইতে নেবেচে । কুন্তু কুন্তু চুলগাছটি বাড়তে নেগেছে । কে রেখেচে কে রেখেচে দাদা রেখেচে । আজ দাদার ঢ়েলা ফেলা, কাল দাদার বে l দাদা যাবে কো খান দে, বকুলতলা দে । বকুলফুল কুড়তে কুড়তে পেয়ে গেলুম মালা । রামধনুকে বাদি ধাজে সীতেনাথের খেলা ॥ - - -o l