পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 সাধনা। করে না, তাহারা মনশ্চক্ষে স্বপ্লবৎ প্রত্যক্ষবৎ ছবি দেখিয়া अङ्ाि । বালকেরা ছবিও অতিশয় সহজে স্বল্লায়োজনে দেখিতে পায়। ইহার কারণ পূৰ্ব্বে এক স্থলে বলিয়াছি, ইচ্ছাশক্তি সম্বন্ধে বালকের - *— 專了鈾 সহিত দেবতার একটা সাদৃশু দেখা যায়। বালক যত সহজে ইচ্ছা- § মাত্রই স্বজন করিতে পারে আমরা তেমন পারি না। ভাবিয়া দেখ, { একটা গ্রন্থিবাধা বস্ত্রখণ্ডকে মুণ্ডবিশিষ্ট মনুষ্য কল্পনা করিয়া - তাহাকে আপনার সন্তানরূপে লালন করা সামান্ত ব্যাপার নহে। আমাদের, একটা মূৰ্ত্তিকে মানুষ বলিয়া কল্পনা করিতে হইলে ঠিক সেটাকে মানুষের মত গড়িতে হয়—যেখানে যতটুকু অমুকরণের ক্রটি থাকে তাহতেই আমাদের কল্পনার ব্যাঘাত করে। বহি জগতের জড়ভাবের শাসনে আমরা নিয়ন্ত্ৰিত ; আমাদের চক্ষে যাহা পড়িতেছে আমরা কিছুতেই তাহাকে অন্তরূপে দেখিতে পারি না । কিন্তু শিশু চক্ষে যাহা দেখিতেছে তাহাতুক উপলক্ষ্য মাত্র করিয়া আপন মনের মত জিনিষ মনের মধ্যে গড়িয়া লইতে পারে, মনুষ্যমূৰ্ত্তির সহিত বস্ত্রখণ্ডরচিত খেলনকের কোন বৈসাদৃশু তাহার চক্ষে পড়ে না, সে আপনার ইচ্ছারচিত স্বজনকেই সম্মুখে জাজ্জলা মান করিয়া দেখে। শয়নগৃহের প্রাচীন দেয়ালে স্থানে স্থানে চুণ খসিয়া গিয়া বৰ্ত্তমান লেখকের শৈশব-কল্পনার নানা প্রাণী ও বিচিত্র কাহিণীপূর্ণ যে এক সজীব মায়ারাজ্য রচিত হইয়াছিল আজ বোধ করি সেই দেয়াল নিপুণ চিত্রকরের চিত্রে পরিপূর্ণ করিলেও সে বিভ্রম উৎপন্ন করিতে পারে না। * কিন্তু তথাপি ছড়ার এই সকল অযত্নবুচত চিত্রগুলি কেবল যে বালকের সহজ স্বজনশক্তির দ্বারা স্বজিত হইয়। উঠে তাহা নহে ; তাহার অনেক স্থানে রেখার এমন স্থাপষ্টতা আছে যে, তাহার মেয়েলি ছড়া । 한5 জ্জামাদের সংশয়ী চক্ষেও অতি সংক্ষেপ বর্ণনায় ত্বরিৎ চিত্র আনিয়া উপস্থিত করে। এই ছবিগুলি একটি রেখা একটি কথার ছবি। দেশালাই যেমন এক আঁচড়ে দপ্ত করিয়া জলিয়া উঠে বালকের চিত্তে তেমনি একটি কথার টানে একটি সমগ্র চিত্র পলকের মধ্যে জাগাইয়া তুলিতে হয়। অংশ যোজনা করিয়া কিছু গড়িয়া তুলিলে চলিবে না। “চিৎপুরের মাঠেতে বালি চিকচিক করে এই একটিমাত্র কথায় একটি বৃহৎ অনুৰ্ব্বর মাঠ মধ্যান্ত্রের রৌদ্রালোকে আমাদের দৃষ্ট্রিপথে আসিয়া উদয় হয় । । “পরণে তার ডুরে শাড়ি ঘুরে পড়েচে।” ডুরে শাড়ির ডোর রেখাগুলি তনুগত্রিযষ্টিকে যেমন ঘুরিয়া ঘুরিয়া বেষ্টন করিয়া ধরে তাহা ঐ একছত্রে এক মুহুর্তে চিত্রিত হইয়া উঠিয়াছে। আবার পাঠান্তরে আছে, “পরণে তার ভূরে কাপড় উড়ে পড়েছে”—সে ছবিটিও মন্দ নহে । আয় ঘুম আয় ঘুম বাগদিপাড়া দিয়ে। বাগদিদের ছেলে ঘুমোয় জালমুড়ি দিয়ে। ঐ শেষ ছত্রে জালমুড়ি দিয়া বাগদিদের ছেলেট যেখানে-সেখানে পড়িয়া কিরূপ অকাতরে ঘুমাইতেছে সে ছবি পাঠকমাত্রেই উপলব্ধি করিতে পরিবেন। অধিক কিছু নহে ঐ জালমুড়ি দেওয়ার কথা বিশেষ করিয়া বলাতেই বাগৃদি-সন্তানের ঘুম বিশেষরূপে প্রত্যক্ষ হইয়াছে। আয়রে আয় ছেলের পাল মাছ ধরতে যাই। মাছের কাটা পায় ফুটল দোলায় চেপে যাই । দোলায় আছে ছৰ্পণ কড়ি গুণতে গুণতে যাই ॥ এ নদীর জলটুকু টলমল করে। 可