পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনা ৷ “যাদু, এ ত বড় রঙ্গ, যাছ, এ ত বড় রঙ্গ । চার রাষ্ট্রা দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ ॥” “জব রাঙা, করবী রাঙা, রাঙা কুসুমফুল , তাহার অধিক রাঙা, কন্তে, তোমার মাথার সিঁদুর।” ് * "বাছ এ ত বড় রঙ্গ, যাছ, এত বড় রঙ্গ। । চার তিতো দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ ॥” “নিম তিতে, নিস্থন্দে তিতে, তিতে মাকাল ফল । তাহার অধিক তিতে, কঙ্গে, বোন সতীনের ঘর ” ੋ “যাহ্র এ ত বড় রঙ্গ, যাছ, এ ত বড় রঙ্গ o' চার হিম দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ " “হিম জল, হিম স্থল, হিম শীতলপাটি। - তাহার অধিক হিম, কন্তে, তোমার বুকের ছাতি ॥” কবিসম্প্রদায় কবিত্ব-স্থষ্টির আরম্ভ কাল হইতে বিবিধ ভাষায় বিচিত্ৰছন্দে নারীজাতির স্তব গান করিয়া অভ্যালিতেছেন কিন্তু উপরি-উদ্ধত স্তব-গানের মধ্যে যেমন একটি সরল সহজ ভাব এবং একটি সরল সহজ চিত্র অাছে এমন অতি অল্প কাব্যেই পাওয়া যায়। ইহার মধ্যে অজ্ঞাতসারে একটুখানি সরল কৌতুকও BBB S BBB DDDDDD BBB BBBBBB DDBBB BB BB কঠিন পণ ছিল সন্দেহ নাই। - কিন্তু এই সরল কস্তাটি যে পণ করিয়া বসিয়াছে সেটি তেমন কঠিন বলিয়া বোধ হয় না। পৃথি বীতে এত কালো ধলে রাঙা মিষ্টি ਾਂ, যে, তাহার মধ্যে কেবল চারিটিমাত্র নমুনা দেখাইয় এমন কন্থা লাভ করা ভাগ্যবানের মেয়েলি ছড়া । 5 (to কাজ। আজকাল কলির শেষ দশায় সমস্ত পুরুষের ভাগ্য ফিরিয়াছে ; ধনুৰ্ভঙ্গ, লক্ষ্যবেধ, বিচারে জয় –এ সমস্ত কিছুই আবশ্যক হয় না ; উন্টিয়া তাহারাই কোম্পানির কাগজ পণ করিয়া বসেন, এবং সেই কাপুরুষোচিত নীচতার জন্ত তিলমাত্র আত্ম- . প্লানি অনুভব করেন না। ইহা অপেক্ষ, আমাদের আলোচিত ছড়াটির নায়ক মহাশয়কে যে সামান্ত সহজ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া কল্পা লাভ করিতে হইয়াছিল সেও অনেক ভাল। যদিও পরীক্ষার শেষ ফল উক্ত ছড়াটির মধ্যে পাওয়া যায় নাই তথাপি অনুমানে বলিতে পারি লোকটি পুরা নম্বর পাইয়াছিল। কারণ, দেখা যাইতেছে, প্রত্যেক শ্লোকের চারিটি উত্তরের মধ্যে চতুর্থ উত্তরটি দিব্য সন্তোষজনক হইয়াছিল। কিন্তু পরীক্ষয়িত্রী যখন স্বয়ং সশরীরে সম্মুখে উপস্থিত ছিলেন তখন সে উত্তরগুলি যোগানো আমাদের নায়কের পক্ষে যে, কিছুমাত্র কঠিন হইয়াছিল তাহ আমরা বলিতে পারি না, ও যেন ঠিক বই খুলিয়া উত্তর দেওয়ার মত। কিন্তু সে জন্ত নিস্ফল ঈর্ষা প্রকাশ করিতে চাহি না । যিনি পরীক্ষক ছিলেন তিনি যদি সন্তুষ্ট হইয়া থাকেন তবে আমাদের আর কিছু বলিবার নাই। বৰ্ত্তমান কালের পাষাণহম্ম্যবাসিনী বিশ্ববিদ্যালয়নন্দিনী শ্ৰীমতী ডিগ্রী নামক একটি কঠিনহৃদয়া কুমারী যদি এইরূপ আদর্শে পরীক্ষা প্রচলিত করেন তবে তাহার প্রার্থীগুলি, আর কিছু না হউক, প্রাণে রক্ষা পায়। প্রথম ছত্রেই কন্যা কহিতেছেন “যাদু, এ ত বড় রঙ্গ, যাছ, এ ত বড় রঙ্গ !” ইহা হইতে বোধ হইতেই, পরীক্ষা আরও ৷ পূৰ্ব্বেই আরম্ভ হইয়াছে এবং পরীক্ষার্থী এমন মনের মত আনন্দজনক উত্তরটি দিয়াছে যে, কস্তার প্রশ্ন জিজ্ঞাসার ইচ্ছা উত্ত রোত্তর বাড়িয়া উঠিতেছে! বাস্তবিক এমন রঙ্গ আর কিছু নাই ! - ,