পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনা ৷ বলে আমার অপেক্ষ আর কিছু কেন প্রধান হইবে ? আমি ইচ্ছা করিতেছি বলিয়াই বিশ্বনিয়মের সমস্ত বাধা কেন অপসারিত হইবে না ? সে স্বপ্ন দেখিতেছে এখনও সে স্বর্গেই আছে! কিন্তু হায়, মৰ্ত্ত পৃথিবীতে স্বর্গের মত ঘোরতর অযৌক্তিক পদার্থ আর কি হইতে পারে! তথাপি পৃথিবীতে যেটুকু স্বৰ্গ আছে সে কেবল রক্ষ ণীতে বালকে প্রেমিকে ভাবুকে মিলিয়া সমস্ত যুক্তি এবং নিয়মের প্রতিকুল স্রোতেও ধরাতলে আবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছে। পৃথিবী যে পৃথিবীই, একথা তাহারা অনেক সময় ভুলিয়া যায় বলিয়াই সেই ভ্রমক্রমেই পৃথিবীতে দেবলোক স্বলিত হইয়া পড়ে। - ভালবাসা একদিকে যেমন প্রভেদ-সীম লোপ করিয়া চাদে ফুলে খোকায় পার্থীতে একমুহূর্তে একাকার করিয়া দিতে পারে, তেমনি আবার আর একদিকে যেখানে সীমা নাই সেখানে সীমা টানিয়া দেয়, যেখানে আকার নাই সেখানে আকার গড়িয়া বসে। এপর্য্যস্ত কোন প্রাণীতত্ত্ববিৎ পণ্ডিত ঘুমকে স্তন্যপায়ী অথবা অন্ত কোন জীবশ্রেণীতে বিভক্ত করেন নাই। কিন্তু ঘুম না কি খোকার চোখে আসিয়া থাকে এই জন্ত তাহার উপরে সর্বদাই ভালবাসার স্বজন-হস্ত পড়িয়া সেও কখন একটা মানুষ হইয়া উঠিয়াছে । হাটের ঘুম ঘাটের ঘুম পথে পথে ফেরে। চারকড়া দিয়ে কিন্‌লেম ঘুম মণির চোখে আয়রে। রাত্রি অধিক হইয়াছে, এখন ত আর হাটে ঘাটে লোক নাই। সেইজন্ত সেই হাটের ঘুম ঘাটের ঘুম নিরাশ্রয় হইয়া অন্ধকারে পথে পথে মানুষ খুজিয়া খুজিয়া বেড়াইতেছে। বোধ করি সেই জন্তই তাহাকে এত স্থলভ মূল্যে পাওয়া গেল। নতুবা সমস্ত রাত্রির পক্ষে চারকড়া কড়ি এখনকার কালের মজুরীর তুলনায় নিতান্তই যৎসামান্ত । ■ - মেয়েলি ছড়া । - 3 শুনা যায় গ্ৰীক কবিগণ এবং মাইকেল মধুসুদন দত্তও ঘুমকে স্বতন্ত্র মানবীরূপে বর্ণনা করিয়াছেন । কিন্তু নৃত্যকে একটা নির্দিষ্ট বস্তুরূপে গণ্য করা কেবল আমাদের ছড়ার মধ্যেই দেখা যায় । । থেনা নাচন থেন । o বট পাকুড়ের ফেন ॥ - বলদে থালো চিনা, ছাগলে খালো ধান । সোনার যাদুর জন্তে যায়ে নাছনা কিনে আন ॥ কেবল তাহাই নহে। খোকার প্রত্যেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে এই নৃত্যকে স্বতন্ত্র সীমাবদ্ধ করিয়া দেখা সেও বিজ্ঞানের দূরবীক্ষণ বা অণুবীক্ষণের দ্বারা সাধ্য নহে, স্নেহবীক্ষণের দ্বারাই 적 || হাতের নাচন, পায়ের নাচন, বাট মুখের নাচন, নাট চক্ষের নাচন, কাটালি ভুরুর নাচন, বাশির নাকের নাচন, মাজা বেঙ্কুর নাচন, আর নাচন কি ? অনেক সাধন করে যাদু পেয়েছি । ভালবাসা কখনো অনেককে এক করিয়া দেখে, কখনো এককে অনেক করিয়া দেখে, কখন বৃহৎকে তুচ্ছ, এবং কখনো তুচ্ছকে বৃহৎ করিয়া তুলে। “নাচরে নাচরে, যাছ, নাচনখানি দেখি !" নাচন্মুখানি ! যেন যাদু হইতে তাহার নাচনথানিকে পৃথক করিয়া একটা স্বতন্ত্র পদার্থের মত দেখা যায় ; যেন সেও একটি আদরের জিনিষ ! “খোকা যাবে বেড় করতে তেলিমালিদের পাড়া।” এস্থলে “বেড় করতে” না বলিয়া “বেড়াইতে বলিলেই প্রচলিত ভাষার গৌরব রক্ষা করা হইত, "কিন্তু তাহাতে খোকা বাবুর বেড়ানর গৌরব হ্রাস হইত। পৃথিবীমৃদ্ধ লোক বেড়াইয়া থাকে, কিন্তু է- I

- i. ||輯

糖 |