পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

한 সাধন । ইংরাজের কিছুই বুঝিতে পারে না। ভদ্রতার খাতিরে উহার এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং উহারা দস্তুরমত আতর গোলাবের ছিটায় আর্দ্র ও পুষ্পমালো বিভূষিত হইয়া ঘণ্টাখানেক থাকিয়াই প্রস্থান করে। দেশীয় লোকেরা আসন-পিঁড়ি হইয়া, উদরের উপর দুই হাত যুক্ত করিয়া, বুদ্ধের মত নীরব ও নিশ্চল ভাবে বসিল্পী থাকে। এই ভাবে সমস্ত রাত কাটাইয় দেয়। কিন্তু এই নাচে কিছুই দুষ্য নাই—ইহার পাশাপাশি, আমাদের ব্যালে নৃত্যের মধ্যে যে নৃত্য সৰ্ব্বাপেক্ষা বিশুদ্ধ, তাহাও অশ্লীল বলিয়া মনে হইবে। নাচওয়ালীদের দেহ পরিচ্ছদ ভারে ভারাক্রান্ত-পরিচ্ছদ যত সুন্দর হয়, ততই নাচের দাম বেশী। এই যে হিন্দুরা বদ্ধাসন হইয়া সারি-সারি বসিয়া সমস্ত রাত নাচ দেখে, ইহাদের মনে যে স্থবীর BBBS B BBBBB uSB BBBB DuSB BB BBB উপস্থিত হয় তাহ কে বুঝিবে ? সেতারের সেই এক-ঘেয়ে বিষঃ ক্রিং ক্রিং শব্দ বারম্বার একই স্থানে ঘুরিয়া ফিরিয়া আসিতেছে— নাচ ওয়ালীদের পরিচ্ছদে বিবিধ বর্ণপ্রভা বিচ্ছুরিত হইতেছে— নৃত্যকালে ঐ পরিচ্ছদ পাক খাইয়া, ঘুরিতেছে—আবার তাহার পাক খুলিয়া যাইতেছে — মণি মাণিক্য সকল ঝকমক করিতেছে— বাহুর সবিলম্ব বিকাশ দেখা যাইতেছে – দেহ তরঙ্গিত হইতেছে, আবার সহসা থামিয়া গিয়া মুহুমুহু কম্পিত হইতেছে—মস্তক এক পাশে হেলিতেছে —নানা ভাবে অঙ্গুলীভঙ্গী প্রদর্শিত হইতেছে— এই সকলের সঙ্গে একঘেয়ে বাজনা চলিতেছে – এইরূপে কোথা দিয়া সময় চলিয়া যাইতেছে। যখন আমাদিগের চুরোটিকা হইতে সুনীল ধূম ধীরে ধীরে উদ্ধদেশে উত্থিত হয় ; অথবা যখন, সারি সারি শুভ্ৰ মেঘ খণ্ড আলোকের মধ্য দিয়া ধীরে ধীরে চলিতে থাকে এবং আমরা অবসরমুহূর্তে অলসভাবে উহাদের গতি নিরীক্ষণ o To ভারতবর্ষে। করিতে থাকি তখন আমাদের মনে . যে আলস্যময় সুথের সঞ্চার হয় তাহার সহিত এই আমোদের কতকটা তুলনা হইতে পারে। কিন্তু এইরূপ ব্যাখ্যা ও তুলনা করিবার চেষ্টা বৃথা । বাহ সাদৃশ্য যতই থাক, এই দেশীয় লোকদিগের মনের গতি উহার দ্বারা কিছুই প্রকাশ পায় না। যতই আমাদের বুদ্ধি ও সহানুভূতি থাকুক না কেন, নিম্নলিখিত ঘটনাটি আমরা হাজার চেষ্টা করিলেও বুঝিতে পারিব না । ১৫ জুলাই ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে নানা সাহের ইংরাজ বন্দীদিগকে হত্যা করিবার আদেশ প্রচার করিলেন। রাজপথে ইংরাজ পুরুষদিগকে গুলি করিয়া মারিয়া, স্ত্রীলোক ও শিশুদিগকে একটা বাঙ্গলার মধ্যে পুরিয়া, জানলার ফঁাকের মধ্য দিয়া তাহাদিগকেও গুলি করা হুইল। এক ঘণ্টার পরে যখন ঘরের মধ্যে আর কোন সাড়া শব্দ নাই, নানা সাহেব ঐ সকল মৃত ও মৃতকল্প ব্যক্তিদিগকে বাহিরে আনাইয়া একটা বৃহৎ কুপ মধ্যে নিক্ষিপ্ত করিলেন। রাত্রিকালে নাচের হুকুম হইল। এবং একটা কোঁচের উপর বসিয়া নাচওয়ালীদিগের ভূজঙ্গবং অঙ্গভঙ্গী ও নিস্তব্ধ নৃত্য দেখিতে দেখিতে রাত্রি অতিবাহিত করিলেন । 臺 অবশেষে আমার নাচ দেখা আর হইয়া উঠিল না। বাজারে যে সকল পট –ছবি কিনিয়াছিলাম তাহাই নাড়িয়া চাড়িয়া আমোদ উপভোগ করিলাম। এই দুইটি ছবি যদিও নিতান্ত স্থল ধরণের— কিন্তু উহাদের চিত্ৰকৰ্ম্মে বিলক্ষণ যত্ন প্রকাশ পায়। কাগজের উপর পলেস্তারা তাহ'র উপর এক পোচ পুরু রং ফলাইয়া জমি প্রস্তুত হইয়াছে। পাশের মুখে চোখ যেরূপ ভাবে দেখা যায়,