পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Bէր r: সাধনা ৷ তিনিই আমার অন্তরাত্মা ; তিনি একটি তণ্ডুল হইতে ক্ষুদ্ৰ— একটি সর্ষপ হইতে ক্ষুদ্র-সর্ষপ আভ্যন্তরস্থ বীজ হইতেও ক্ষুদ্র। তিনিই আমার অন্তরাত্মা –তিনি পৃথিবী হইতে বৃহৎ, আকাশ হইতে বৃহৎ, সমস্ত বিশ্ব হইতে বৃহৎ । যেমন এক অগ্নি জগতের মধ্যে প্রবিষ্ট হইলে সমস্ত এক হইয়। যায়, যে বস্তুকে দহন করে তদনুসারে আকারের ভিন্নত হয়, সেইরূপ সকল পদার্থের আধার স্বরূপ এই একমেবাদ্বিতীয়ং যে বস্তুতে প্রবেশ করেন, তদন্তুসারে আকারের ভিন্নত হয়—তিনি বাহ বিষয়ের মধ্যে থাকিয়াও বাহ বিষয়ের অতীত। তিনি একমাত্র প্রভু, সকলের মূলাধার, তিনি এককে বহু করিয়া প্রকাশ করেন। যে সকল জ্ঞানী ব্যক্তি স্বীয় আত্মার মধ্যে তাহাকে উপলব্ধি করেন তাহাঁদেরই শাশ্বত সুখ– অপর ব্যক্তিদিগের তাহা কদাপি হয় না। তিনি অনন্ত কাল ধ্যান করিতেছেন, অথচ যাহার ব্যান করিতেছেন তাহ অনন্ত নহে ; তিনি এক হইয়া সকলের কাম্য বস্তু বিধান করিতেছেন। যে সকল জ্ঞানী ব্যক্তি স্বীয় আত্মাতে তাহাকে উপলব্ধি করেন, তাহাদিগেরই নিত্য শান্তি, অপর ব্যক্তিদিগের তাহা কদাপি হয় না । ন স্বৰ্য্য তাহাতে প্রকাশ পায় – না চন্দ্র-না তারা – তবে তো এই অগ্নি তাহাতে আরও অল্প প্রকাশ পাইবে। তাহার প্রকাশে BBB BKKBBBBSBBBBB BBBB BBBS BBBB . হইতেছে । = জগতের পরে—জগৎ অতিক্রম করিয়া অব্যক্ত পদার্থ—অব্যক্তের পরে আর কিছুই নাই। ইহাই শেষ সীমা—ইহাই সকলের অস্তু | o - ভারতবর্ষে । 3ե : এই পুরুষ সকল পদার্থের মধ্যে প্রচ্ছন্ন আছেন –বাহিরে প্রকাশিত হয়েন না, কিন্তু স্বল্পদর্শীর স্বল্প বুদ্ধির দ্বারা তাহাকে উপলব্ধি করেন | - - --- " * : . . এই পুরুষ যাহাকে কেহ শ্রবণ করে না, স্পর্শ করে না, আস্বা*দন করে না, অনুভব করে না ; যিনি নিরাকার অচল, সনাতন, অনাদি, অনন্ত, নিৰ্ব্বিকার, ইছাকে যিনি জানিয়াছেন তিনি মৃত্যু মুখ হইতে নিস্কৃতি লাভ করেন। . o “o দেহ সকলের মধ্যে থাকিয় দেহ হীন, পরিবর্তনশীল পদার্থের মধ্যে থাকিয়াও অপরিবর্তনীয় ও সৰ্ব্বব্যাপী—এইরূপ ভাবে যে জ্ঞানী ব্যক্তি ইহঁাকে জানেন, তিনি দুঃখ হইতে মুক্ত হয়েন। কিন্তু যে ব্যক্তি প্রশান্ত নহে ও রিপুর বশীভুত—যাহার আত্মা শান্তি লাভ করে নাই, সে কখন ইহাকে জানিতে পারিবে না। - তবে, কে জানে তিনি কোথায় থাকেন, ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়গণ যাহার ভোজ্য এমন কি, মৃত্যুও যাহার খাদ্য । এইরূপে, এই বিজনবাসী সাধু মুক্তিপথের পথিক হইয়া ধ্যান করিতেছেন ; এখনও মুক্তিলাভ করেন নাই—এখনও তাহার চিন্ত রহিয়াছে—এখনও তাহার মস্তিষ্ক নিক্রিয় হয় নাই। যখন পঞ্চ । জ্ঞানেন্দ্রিয় রুদ্ধ হইবে, বুদ্ধি ক্রিয়ারহিত হইবে, তখনই তিনি মুক্ত হইবেন। তখন এই যে সগুণ ব্রহ্ম, ইনি বিকার, পরিবর্তন, মায় । হইতে মুক্তি লাভ করিয়া সেই নিগুণ ব্রহ্মে পরিণত হইবেন নি অসীম–‘যিনি কারণও নহেন-কাৰ্য্যও নহেন, হহাও নহেন,ডহাও নহেন—ভুতও নহেন, ভবিষ্যৎও নহেন।” পূৰ্ব্বে, অবিদ্যার দ্বারা , মলিন হইয়া, ইনি এই সকল বাহ আবির্ভাবের মধ্যে আপনাকে প্রকাশ করিয়াছিলেন ; এক্ষণে, ‘বিশুদ্ধ জলের মধ্যে বিশুদ্ধ জল ঢালিয়া দিলে যেরূপ হয়, সেইরূপ সমান ভাবে রহিয়াছেন।”