পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ցե : সাধনা ৷ যেমন সাগরের একটি তরঙ্গ স্বকীয় আকার ও বেগ হারাইয়া, সেই ঘোর গভীর স্থির জলরাশির মধ্যে বিলীন হইয়া যায়, সেইরূপ মনুষ্য, বাসনাশূন্ত, ভাবশূন্ত, চিন্তাশূন্ত, ব্যক্তিত্বশূন্ত হইয়া সেই প্রশান্ত মহান সত্তার মধ্যে বিলীন হয়। - এই একই মতবাদ, এই কনক-বর্ণ রঞ্জিত ব্রাহ্মণ-মূৰ্ত্তি, হরিদ্বধু তাল বৃক্ষতলে উপবিষ্ট হইয়া, স্বীয় নতজানু শিষ্যের নিকট বিবৃত করিতেছেন। নিম্ন লিখিত ইতিহাসটিও আমি প্রাচীন উপনিষদের মধ্যে প্রাপ্ত হইয়াছি—ইহ আমার দ্বিতীয় চিত্রটির টাকা স্বরূপ হইবে । ১ । হরিঃ ওঁ ! এই সময়ে শ্বেতকেতু অরুণের নামক এক ব্যক্তি ছিলেন। তাহার পিতা উদালক তাহাকে বলিলেনঃ- বৎস শ্বেতকেতু, তুমি গুরুসমীপে গমন কর ; আমাদের বংশের মধ্যে এমন কেহ নাই, যে বেদ পাঠ না করিয়া, কেবল বংশমর্য্যাদা অঙ্গুসারে ব্রাহ্মণ হইয়াছে। - ২। স্বাদশ বৎসর বয়ঃক্রম কালে শিক্ষারম্ভ করিয়া, পঞ্চবিংশতি বৎসর বয়সে শ্বেতকেতু, বেদাধ্যয়ন সমাধা করিয়া, কতবিদ্য হই স্নাছি এইরূপ জ্ঞানে গৰ্ব্বে স্ফীত হইয়া, তাহার পিতার সমীপে আগমন করিল। ৩ । তাহার পিতা তাহাকে বলিল –শ্বেতকেতু, তুমি গৰ্ব্বে স্ফীত হইয়াছে, আচ্ছা, বল দেখি, যাহাকে কেহ শ্রবণ করে নাই, তাহাকে কিরূপে শোনা যায় ; যাহাকে কেহ দর্শন করে নাই, র্তাহাকে কিরূপে দর্শন করা যায় ; র্যাহাকে কেহ জ্ঞাত হয় নাই, তাহাকে কিরূপে জানা যায়—এই বিষয়ের জ্ঞান লাভার্থ তুমি কি গুরুর নিকট কখন প্রার্থী হইয়াছিলে ? “ শ্বেতকেতু বলিল ; এই গুঢ় তত্ত্বটি কি, প্ৰভু ? ভারতবর্ষে। Յե Չ পিত। উত্তর করিলেন –প্রিয়দর্শন, একখণ্ড মৃত্তিক দেখিলেই যেমন আমরা মৃত্তিক নিৰ্ম্মিত তাবৎ বস্তু জানিতে পারি, ইহাও সেইরূপ নামের দ্বারা—বাক্যের দ্বারাই বিচিত্ৰত উৎপন্ন হয়—প্রকৃত কথা, এই সমস্ত পদার্থই মৃত্তিকা . হে বৎস, এইরূপ উপদেশের দ্বারা তাহাকে জানা যায়। পুত্ৰ বলিল –নিশ্চয়ই সে পূজ্য ব্যক্তিগণ এ উপদেশের কথা জানেন না—নচেৎ আমাকে কেন সে বিষয়ে শিক্ষা দিলেন না ? পিতঃ, তবে আমাকে এই বিষয়ে উপদেশ দিন । পিত বলিলেন – তথাস্তু । অতঃপর, অরণ্য মধ্যে শিষ্য নতজানু ও কৃতাঞ্জলি হইয়া স্থিরভাবে উপবিষ্ট হইল। কুলপতি আচাৰ্য্য ভূমিতলে বদ্ধাসন হইয়া, বামহস্তে সুকুমার মৃণাল ধারণ করিয়া, নিম্ন লিখিতরূপে উপদেশ প্রদান করিলেন : । ৪ । হে সৌম্য, যিনি আছেন,একমাত্র তিনিই কেবল ছিলেন– একমাত্র তিনি –একমেবাদ্বিতীয়ং । অপর ব্যক্তিরা বলেন । যাহা নাই, পূৰ্ব্বে তাঁহাই কেবল ছিল – একমাত্র অদ্বিতীয় এবং যাহা নাই, তাহা হইতেই যাহা আছে, উৎপন্ন হুইয়াছে। - কিন্তু বৎস, ইহা কি প্রকারে হইতে পারে ? যাহা নাই তাহ হইতে যাহা আছে কিরূপে উৎপন্ন হইতে পারে ? না, কেবল সৎ স্বরূপ প্রথম হইতেই বৰ্ত্তমান -তিনি একমাত্র, অদ্বিতীয়। সেই সৎস্বরূপ এইরূপ ধ্যান করিলেন ; আমি বহু হই না কেন—আমি আপনাকে প্রসারিত করি না কেন – অমনি তাহা হইতে অগ্নি উৎপন্ন হইল। . অগ্নি ধ্যান করিলেনঃ আমি বহু হই না কেন—আমি আপ H