পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o: i -- --- --- -

-o- soi. -- a i:* .. ---o - H!:-|. -:: :

  • 33

য়াছেন। তিনি বলেন, - ইহা যেমন একটি প্রাকৃতিক নিয়ম ষে, পুরুষ জীবিকার জন্য শ্রম করিবে—যুঝাযুঝি করিবে, সেইরূপ ইহাও আর একটি প্রাকৃতিক নিয়ম যে, স্ত্রীলোক জীবিকার জন্য শ্রম করিবে না—যুঝায়ুঝি করিবে না। জীবনতত্ত্ববিদ্যা স্পষ্টাক্ষরে দেখাই য়াছে যে, স্ত্রীপুরুষের শ্রমবিভাগের উপরেই জাতিবিশেষের শারীরিক উন্নতি নির্ভর করে--কারণ ইহারই ঠিক্‌ সমানুপাতে জীবনের স্থায়িত্ব কাল। উচ্চতর জীবদিগের মধ্যে যে বিবাহ-প্রথা দেখা যায় তাহা কি ?—না, স্ত্রীপুরুষের মধ্যে শ্রমবিভাগের উৎকৃষ্ট একটি পদ্ধতি মাত্র। তা-দিবার সময় পুংপক্ষীই স্ত্রীপক্ষীর সমস্ত অভাব যুগাইয়া থাকে। অন্য সময়ে স্ত্রীপক্ষী যখন আহার অন্বেষণ করে, সে কেবল পুরুষপক্ষীকে সাহায্য করিবার হিসাবে। সিংহ ও শিয়াগোষের সম্বন্ধেও এ কথা খাটে। তবে যে, অসভ্য মনুষ্যজাতির মধ্যে স্ত্রীজাতিকে শ্রম করিতে দেখা যায়, সে কেবল পুরুষের স্বার্থপরতা নিবন্ধন ; সুতরাং, উহা অধিককাল স্থায়ী হইতে পারে না। লেখক বলেন, যে জাতির মধ্যে স্ত্রীলোকের শ্রম প্রচলিত, সে জাতি অসভ্য অবস্থাতেই থাকিয়া যায়—তাহার আর উন্নতি হয় না । সভ্যজাতির মধ্যে ধনোৎপাদন কার্য্যে স্ত্রীলোকের শ্রম অনাবশ্রাক । পুরুষই ধনোৎপাদনে সমর্থ। স্ত্রীলোকে শ্রমের কার্য্য আরম্ভ করিলে পুরুষ-শ্রমের বাজার-দর কমিয়া যায়। আজকাল স্ত্রীলোকেরা কারখানায় কাজ করিতে আরম্ভ করিয়াছে, এই জন্ত য়ুরোপে কত পুরুষ পালে পালে কৰ্ম্মের চেষ্টায় ফিরিতেছে অথচ কৰ্ম্ম পায় না—মধ্যে মধ্যে অনেকেই বেকার হইয়া পড়ে। ইহা একটি ভয়ানক অমঙ্গলের কথা—ইহা একটি সামাজিক রোগের লক্ষণ । তথ্যসংগ্ৰহ-তালিকায় দেখা যায়, যে সকল দেশে মায়ের শ্রমজীবী-বৃত্তি অবলম্বন করিয়াছে, সেখানে স্ত্রীলোক ও শিশুদিগের সাময়িক সারসংগ্ৰহ । 효 মধ্যে মৃত্যুসংখ্যা বৃদ্ধি হইয়াছে। আদর্শস্থানীয় স্ত্রীলোক ক্রসৌন্দৰ্য্য ও সুমার্জিত ভাবের পরাকাষ্ঠী প্রদর্শন করিবে ইহাই বাঞ্ছনীয় এবং এই উদ্দেশে উহাদের শ্রম হইতে বিরত হওয়া কৰ্ত্তব্য - শ্রমজীবী স্ত্রীলোক শ্রদ্রষ্ট হইয়া পড়ে এবং তাহার স্ত্রীস্থলভ সমস্ত লক্ষণ নষ্ট হইয়া যায়। . ষ্ট্রীস্থলভ ক্রসৌন্দৰ্য্য ও পুরুষের স্ত্রীলোকের প্রতি ভালবাসা—এই দুইটি ব্যাপার হইতেই বাৎসল্য প্রভৃতি পুরুষের সকল কোমলতর বৃত্তি উৎপন্ন হইয়াছে। ত্রী হচ্চে দুৰ্ব্বলতার সৌন্দর্য্যের দিক্ । যদিও পুরুষেরাই সভ্যতার ফল অধিকাংশ নিজে অর্জন করি, য়াছে কিন্তু পুরুষ অপেক্ষা স্ত্রীলোকে তাহা অধিক করিয়া ভোগ করিতেছে বলিতে হইবে। পুরুষ পূৰ্ব্বেও যেমন খাটিয়া আসিয়াছে এখনও সেইরূপ খাটিতেছে—ইহাতে প্রকৃতিবিরুদ্ধ ভাব কিছুই নাই। কারণ ইহাই পুরুষের প্রকৃত কৰ্ত্তব্য। অতএব, পুরুষের জীবন-সংগ্রামে স্ত্রীলোকে অংশী হইলে স্ত্রীলোকের লাভ কি হইবে ? স্ত্রীলোক একটু সবুর করিয়া থাকিলেই যখন পুরুষের তাহার পদতলে তাহদের সমস্ত পরিশ্রমের ফল আনিয়া দিতে প্রস্তুত, তখন স্ত্রীলোকের নিজের জন্য এত মাথাব্যথা কেন ? লেখক বলেন “আমি বুঝিতে পারি না, রাজ্যতন্ত্রে স্ত্রীলোকের মত দিবার অধিকার থাকা বিষয়ে সাধারণের মধ্যে কেন এত আন্দোলন হইতেছে। স্ত্রীলোকের ইহাতে কোন লাভ নাই । তাহার স্বামী যখন তাহার জীবনের সমস্ত সুখ-সামগ্ৰী সৰ্ব্ব প্রযত্নে যোগাইতেছেন, তখন কি তাহার স্ত্রীর সেই সকল স্বার্থ সমর্থন করিবেন না যাহা তাহার নিজের পারিবারিক স্বার্থের সামিল ?” - -