পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

蔓 o- --:- --- f o .* | ! 贛 o I so o: -

-- ব্যক্তিগত শিক্ষা-প্রণালী । যদি কোন পাঠশালা বা বিশ্ববিদ্যালয় তাহার অধীনস্থ ছাত্রদিগকে এক ছাচে ঢালিবার চেষ্টা করে অর্থাৎ তাহাদের প্রত্যেকের নিজত্ব না ফুটাইয়া তুলিয়া যদি একটা সাধারণ আদর্শে সকলকেই গঠিত করিবার প্রয়াস পায়, তবে বুঝা যায় যে, সে পাঠশালা বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃত শিক্ষাবিধানে নিতান্ত অযোগ্য ও অসমর্থ। প্রকৃত শিক্ষা কি ? না, আত্মোৎকর্ষ সাধন—উন্নতি সাধন। যাহা আত্মার অভ্যন্তরে গৃঢ়ভাবে থাকে তাহা উপর দিকে আনা—উন্নয়ন করা – নিজত্বের কর্ষণ করা—নিজেকে নিজের যথার্থ অনুরূপ করিয়া তোলা। কোন ব্যক্তিবিশেষকে একটা স্থানীয় আদশের কিম্বা লৌকিক আদর্শের অনুরূপ করিয়া গঠন করিতে গেলে, শিক্ষার উদ্দেশু বিফল হইয়া যায়। সৌভাগ্যক্রমে, এই সোজা কথাটি এখন অনেকে পূৰ্ব্বাপেক্ষ বুঝিতে পারিতেছেন। তাহার সাক্ষী, পুত্ররো ও কলরাডোর সরকারী পাঠশালায় আজকাল “ব্যক্তিগত শিক্ষণপ্রণালী” অনুসারে শিক্ষা দেওয়া হইতেছে। তত্রস্থ বিদ্যালয়সমূহের স্থানীয় তত্ত্বাবধারক সার্চ সাহেব “এডুকেশন রিভিউ'র ফেব্রুয়ারী সংখ্যায় এই বিষয়টি বিশদরূপে বর্ণনা করিয়াছেন। “এখানকার বিদ্যালয় সকল যে আদর্শে গঠিত, তাহার প্রধান লক্ষণ হচ্চে ব্যক্তিত্ব সংরক্ষণ ।” প্রত্যেক ছাত্র “ব্যক্তিভাবে কাজ করে, ব্যক্তিভাবে উন্নতি লাভ করে, ব্যক্তিভাবে উচ্চশ্রেণীতে উন্নীত হয় এবং ব্যক্তিভাবেই পরীক্ষার চিহ্ণিত ধাপে ক্রমশ উত্থান করে।” ছাত্রদিগের স্বাস্থ্যই সৰ্ব্বপ্রধান বিবেচ্য বিষয়। দৈহিক আত্মোৎকর্ষের সর্বাঙ্গসম্পূর্ণ একটি পদ্ধতি প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছে। ৬ টা হইতে ৬॥৪ টা পৰ্য্যন্ত পাঠের কাল নির্দিষ্ট—তাহার অতিরিক্ত কালে কোন কাজ করা S S S S S S S S S S S S S S इच्न । সাময়িক সারসংগ্ৰহ । 8, হয় না । স্কুলের সকল বিভাগেই “কিণ্ডার গার্টেন” নামক পৰ্য্যবেক্ষণ- * প্রধান শিক্ষাপ্রণালী অনুস্থত হয় । “প্রত্যেক ছাত্র আপনার কাজ যতদূর পারে করিয়া যায়। প্রত্যেক ঘরে কতকগুলি ছাত্র পৃথক পৃথক ডেস্কে বসিয়া পৃথক ভাবে আপন আপন কাজ করে –শিক্ষক তাহাদিগকে সারি সারি দাড় করাইয়া কিম্বা মনোরঞ্জন করিবার চেষ্টা করিয়া অথবা লেক্চার দিয়া কিম্বা ব্যাখ্যা করিয়া সময় নষ্ট করেন না। তিনি কেবল প্রত্যেকের ডেস্কের নিকট গিয়া, ছাত্রদিগের সহকারীস্বরূপ হইয়া উৎসাহ উপদেশ প্রদান করেন। তাহার এক উদ্দেশ্য কিসে তাহাঁদের আত্ম-নির্ভর অভ্যাস হয় ও স্বতন্ত্রত প্রস্ফুটিত হয়। কাজের জন্যই কাজ করিতে ছাত্রদিগকে শিক্ষা দেওয়া হয়। আর কোন উদ্দেশু উহাদের সম্মুখে ধারণ করা হয় না। কাজ ভাল করিলে কোন পুরস্কার দেওয়া কিম্বা কোন চিহ্নের দ্বারা চিহ্নিত করা কিম্বা কোন প্রকার বাহ সম্মান প্রকাশ করা–এ সমস্ত কিছুই হয় না-ফলতঃ তাহার প্রয়োজনই হয় না। যাহা হউক, প্রত্যেক ব্যক্তির স্বতন্ত্র কার্য্যসকল স্থশূঙ্খলাক্রমে নিরূপিত হয় এবং বিভিন্ন ছাত্রের উন্নতিক্রম রীতিমত লিপিবদ্ধ করিয়া রাখা হয়- তাহাতে প্রত্যেক ছাত্রের কতটা উন্নতি হইল স্বতন্ত্ররূপে জানিতে পারা যায়। কেবল কথাবাৰ্ত্ত কহিয়াই আধুনিক ভাষা সকলের শিক্ষা দেওয়া ব্যাকরণের কোনও নির্দিষ্ট গ্রন্থ পড়ান হয় না। সার্চ সাহেব বলেন, তাহার পদ্ধতির গুণ এই যে, উহাতে ছাত্রদিগের স্বাস্থ্য বৰ্দ্ধিত হয় এবং আত্ম-নির্ভর অভ্যাস হয় । তাছার অধীনস্থ প্রত্যেক ছাত্রই ছাত্রের অাদর্শস্থল। ইহাতে বেশি কাজ করা যায়–অপেক্ষাকৃত শ"ণভাবে কাজ করা যায়—এবং অপেক্ষাকৃত উৎসাহের সহিত কাজ করা যায়। ইহাতে কেহই নিরুৎসাহ হয় না। যাহারা দ্ধিতে ততটা উজ্জ্বল নহে, তাহাদিগকে বেশি-বুদ্ধিমান ছাত্রদিগের _ STSTTTSTTSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS