পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|| | | --i o: - -

- - o - --o - - - -'. 蠱 o S SSTT STTTS

      • ----------, -o-o-o-o-o

Յե- সাধনা । । অপেক্ষায় থাকিতে হয় না। কম-বুদ্ধি ছাত্রদিগকে বেশিবুদ্ধি ছাত্রদিগের সহিত একসঙ্গে টানিয়া-হেঁচড়াইয়া লইয়া যাওয়া হয় না। স্বতন্ত্রভাবে কাজ করিতে প্রত্যেককেই অবসর দেওয়া হয় । শিশুদিগের নীতিশিক্ষা । আমেরিকার যুক্তরাজ্যে আজকাল ‘ধৰ্ম্মশঙ্কটের” যে মূৰ্ত্তি দেখা দিয়াছে, সেই বিষয় উল্লেখ করিয়া অধ্যাপক হিসলপ “ফোরমের” ফেব্রুয়ারী সংখ্যায় বলেন, বিদ্যালয়ে ধৰ্ম্ম লইয়া আজকাল বৃথা গণ্ডগোল হইতেছে। কেবল একমাত্র “বাইবেল” গ্রন্থ পড়ান হইবে কি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের বিশেষ বিশেষ সাম্প্রদায়িক উপদেশের শিক্ষা দেওয়া হইবে-এই লইয়া দুই বিরুদ্ধ পক্ষের মধ্যে, কি ইংলণ্ড কি আমেরিকা, সৰ্ব্বত্রই তুমুল সংগ্রাম চলিতেছে। অধ্যাপক প্রকার স্তরে বলিতে চাহেন, তোমরা দুজনেই অধঃপাতে যাও-তোমাদের মধ্যে কোন পক্ষই ঠিক কথা বলিতেছ না-তোমরা উভয়ই ভ্রান্ত । আজকাল বিদ্যালয়ে ধৰ্ম্মশাস্ত্র পড়াইয়া যে নীতিশিক্ষণ দেওয়া হয়, তাহাতে না ধৰ্ম্ম –না নীতি কিছুরই প্রকৃত শিক্ষা হয়। অন্য পাছ রকম জ্ঞানচর্চা যেরূপে হয় ইহাও সেই জ্ঞানচর্চার সামিল হইয়া পড়িয়াছে। “নীতি-শিক্ষা ইচ্ছাশক্তির পরিচালক হইবে, শুদ্ধ স্থায়শাস্ত্রের শাণিত অস্ত্র চালনা করা কিম্বা বিবিধ জ্ঞানের দ্বারা মনের উদরপূৰ্ত্তি করা ইহার উদ্দেশু নহে।” “কোন প্রকার ধৰ্ম্মমতের শিক্ষা দিয়া নীতিশিক্ষার কাজ সম্পন্ন হয় না। ইহার দ্বারা মেধা ও ধীশক্তি পরিপুষ্ট হইতে পারে, কিন্তু ইহার দ্বারা ধৰ্ম্মবুদ্ধি কদাপি পরিপুষ্ট হয় না। তিন প্রকার উপায়ে নীতিশিক্ষা দেওয়া যাইতে পারে—তাহ সংক্ষেপে তিন কথায় বলা নুতন তাম্রশাসন। 8 సె যায়—দৃষ্টান্ত, মৈত্রী ও আত্মশাসন। একটু বিস্তার করিয়া বলিতে গেলে কথাটা দাড়ায় এই –(১) শিক্ষকের ব্যক্তিগত চরিত্র ও অভ্যাস। (২) ছাত্রদিগের প্রতি শিক্ষকের বাৎসল্য এবং কোন এক যুক্তিমূলক ভিত্তির উপর জীবনের অনুশাসন-পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত করা। তিনি বলেন “ছাত্রকে নীতিসম্পন্ন করিতে হইলে প্রথমতঃ শিক্ষা-প্রণালীটিকে নীতি-অনুমোদিত করা চাই। ইহা সাধন করিবার একমাত্র উপায় –শিক্ষাকার্য্যে বণিক-সুলভ আর্থিক পদ্ধতি ছাড়িয়া দিয়া তাহার পরিরস্তুে নৈতিক পদ্ধতি প্ৰবৰ্ত্তিত করা। শুদ্ধ ছাত্রের সংখ্যা লইয়া কিম্বা শিক্ষকের বিদ্যাবত্তা লইয়া প্রতিযোগিতার প্রশ্রয় দিলে চলিবে না—কোন শিক্ষক কতটা শিষ্য-বৎসল— স্বকীয় নৈতিকগুণের প্রভাবে ছাত্রদিগের শ্রদ্ধাভক্তি কতটা অাকর্ষণ করিতে পারেন—এই বিষয়ে প্রতিযোগিতা হওয়া আবশ্যক। বিদ্যালয়-প্রতিষ্ঠাতা ও তত্ত্বাবধারকদিগের এই কথাটি জানা উচিত যে, পাঠশালা ও বিদ্যালয় নীতি প্রচারের স্থান—উহা জীবিকা-নিৰ্ব্বাহের স্থান নহে। নীতি, সমাজ-প্রস্তুত ফল ; উহা বুদ্ধিচর্চা বা বিজ্ঞানশিক্ষার ফল নহে। ব্যক্তিগত দৃষ্টান্ত, ব্যক্তিগত কারুণ্যই উহার প্রকৃত ভিত্তি ভূমি এবং শিক্ষাকে ফলবতী করিতে হইলে উহাকে এই ভিত্তিভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত করা কর্তব্য।” iS ASYSH SSL S S ༣ ཁྱ; ཐང་། ༣.5) i༥ ཧྲེ|”i i #i་ཚོ་༑ t ○ দ্বিতীয় প্রবন্ধ । পূৰ্ব্ব সংখ্যায় নারায়ণ ভট্টারক বা ভট্টনারায়ণের উদ্দেশে রাজা ধৰ্ম্মপাল-কর্তৃক প্রদত্ত তাম্রশাসনের যে প্রতিলিপি প্রকাশিত