পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

зь- সাধনা ৷ রাষ্ট্রকূটবংশীয় ইন্দ্ররাজা হয়েন—তাহা হইলে তদবিকৃত লাটেশ্বর o মণ্ডল ও কনৌজ রাজ্য যে একই তাহাতে আর সন্দেহ থাকে না এবং লাট-দেশ ও কনোজ-দেশেরও ঐক্য সম্বন্ধে আর কোনও সন্দেহ থাকে না । - কান্তকুজ নগর লাটদেশেই অবস্থিত ছিল বলিয়া আমি বিবেচনা করি। বহু শতাব্দী ব্যাপিয়া কান্তকুজ আর্য্যাবর্তের প্রধান রাজধানী ছিল। সমুদায় প্রদেশের নাম পঞ্চাল দেশ। তাহারই একাংশকে লাটদেশ বলিত বোধ হয়। তথাকার ব্রাহ্মণের ও শিল্পীরা দেশ দেশান্তরে সমাদৃত হইত। খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে লাটদেশের পট্টবস্ত্রবয়নকারী তত্ত্ববায়েরা মালব দেশে গিয়া রাজসম্মান পাইয়াছিলেন এবং খৃষ্টীয় অষ্টমশতাব্দীতে তদেশের ব্রাহ্মণের পুণ্ড বা বঙ্গদেশে আসিয়া রাজাকর্তৃক পুজিত হইয়াছিলেন। ক্রমশঃ } যোগসিদ্ধ জ্ঞান ও যোগানন্দ । অনেক দিন পর্য্যন্ত এই বিশ্বাসটি সাধারণ লোকের মধ্যে বিদ্য- 繫 মান ছিল যে, ভাষা গঠন করা মানব-শক্তির অতীত—উহা দেব-দত্ত অলৌকিক শক্তি। অগ্নির আবিষ্কার ও ব্যবহার, গোধূমের চাষ, আঙ্গুর হইতে মদ প্রস্তুত করা, এ সমস্ত যদিও মানুষের চেষ্টায় ক্রমশ হইয়াছে, কিন্ত সাধারণ লোকে মনে করিত, এই সমস্ত বিশেষ বিশেষ দেবতার দান। দেবতার সংখ্যা যত হ্রাস হইতে লাগিল, প্রাকৃতিক কাৰ্য্যকারণের জ্ঞান যত বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, এই সকল প্রাকৃতিক বস্তুর অলৌকিকতা ততই কমিয়া আসিল । কিন্তু ভাষা যোগসিদ্ধ জ্ঞান ও যোগানন্দ । ፴፭ সম্বন্ধে এখনও অনেকের বিশ্বাস, ঈশ্বর কর্তৃক স্বঃ ভাষা আমরা একেবারেই প্রাপ্ত হইয়াছি,—উহা মানুষের স্বাভাবিক চেষ্টায় ক্রমশঃ বিকশিত হয় নাই। - যেমন ভাষা সম্বন্ধে,সেই প্রকার আর কতকগুলি মনোভাব সম্বন্ধে লোকের এইরূপ সংস্কার। মানুষ যখন জীবনের রহস্য চিন্তা করে— কোথা হইতে আসিয়াছি, কোথায় যাইব, সবিস্ময়ে যখন এই সকল কথা ভাবে, তখন তাহার মনে হয়, ইন্দ্রিয়গত প্রত্যক্ষ-জ্ঞান ছাড়া আর কোনও উচ্চতর জ্ঞানের দ্বার অবশুই আছে। প্রাকৃতিক জ্ঞান অর্জনের পন্থা অতিশয় অনিশ্চিত এবং উহা কালবিলম্বসাপেক্ষ —সে পথ অবলম্বন করিতে হইলে অনেকট ধৈর্য্য চাই। মানুষ জীবনের রহস্য উদ্ভেদের জন্ত নিতান্ত অধীর। তাহার ইচ্ছা, কোনও অলৌকিক উপায়ে, যদি একেবারেই সেই জ্ঞান লাভ করিতে পারে। এই ইচ্ছাকে চরিতার্থ করিবার জন্ত, মানুষ আধ্যাত্মিক জগৎ সম্বন্ধে নানাবিধ মতবাদ কল্পনা করিয়া তাহা হইতে অলৌকিক অতিপ্রাকৃতিক জ্ঞান অর্জন করিবার উপায় চিন্তা করে। 醒 বিভিন্ন কালে ও বিভিন্ন দেশে, যে সকল উপায়ে এই অলেীকিক দৈব জ্ঞান লব্ধ হইয়াছে তাহ স্থলরূপে তিন শ্রেণীতে বিভাগ করা যাইতে পারে। প্রথমতঃ–দেবতা কিম্বা দেব-দূতের প্রত্যক্ষ দর্শনলাভ । অনুগৃহীত ব্যক্তির নিকট দেবতারা প্রত্যক্ষ বাহ সঙ্কেত দ্বারা কিম্বা দৈববাণীর দ্বারা অাবিভূতি হন। দ্বিতীয়তঃ–অনুগৃহীত ব্যক্তির অস্তরে দেবতার অধিষ্ঠান হওয়ায়, তাহার দেহ ও মনে দারুণ আবেগ ও আন্দোলন উপস্থিত হয়, সে অচেতন হইয়া নানা প্রকার অসম্বদ্ধ প্ৰলাপ! বলিতে থাকে-কখন বা যুক্তিযুক্ত