পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o I --- .--- ".:-- || -|| ■-- ---|; T - | -- - ( - ** -- _

  • ***

s

o o - == 爵 o - iii* Ն Ջ সাধনা | সীমা আছে। সসীম ব্যক্তির যদি অসীমকে জানিতে হয়,তবে সসীমকে অসীমে পরিণত হইতে হয়। কেন না, অসীমই অসীমকে জানিতে পারে। যে জীবাত্মা অনন্তজ্ঞানস্বরূপ হইতে প্রস্থত, সেই অস্তবৎ জীবাত্মা যখন আপনার ক্ষুদ্র আত্মত্বের সীমা অতিক্রম করিয়া পরমাত্মার সহিত যুক্ত হয়,তখনই সে মহান সত্যের অধিকারী হয়। এই তুরীয় অবস্থা প্রাপ্ত হইবার পক্ষে যোগসাধনই একমাত্র প্রকৃষ্ট উপায়। এই উপায়েই দিব্যজ্ঞান লাভ হয়। এই দিব্যজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞানের দ্যায় স্থায়ী বস্তু নহে। ইহা মনের একটি ক্ষণিক অবস্থা মাত্র। একপ্রকার উন্মত্ত অবস্থার মধ্যে থাকিয়া দিব্যজ্ঞানের লিঙ্গ মাত্র বিছাতের স্থায় অনুভূত হয়—দেহপিঞ্জর হইতে মনবিহঙ্গ ক্ষণকালের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়—মানব-অন্তরে যে দিব্য স্ফুলিঙ্গ অধিষ্ঠিত, তাহার অনন্ত উৎসের সহিত সে মুহূৰ্ত্তের জন্ত মিলিত হয়। সৌভাগ্যের বিষয় এই, যখন জীবাত্মা আবার তাহার নিজস্ব লাভ করে, তখন তাহার এই সসীম অবস্থাতেও অসীমের কথা স্মরণ করিতে পারে। অথচ পূৰ্ব্বে অসীমে পরিণত না হইয়া অসীমকে জানিবার উপায় ছিল না। তা যদি স্মরণ না হইবে, তবে কি করিয়া প্লোটাইনস আপনার সেই তুরীয় অবস্থার কথা অর্থের নিকট পরে বর্ণনা করিতে পারিলেন ? তিনি ব্যক্তিরূপে জীবাত্মারূপে পূৰ্ব্বে যে বিষয়ের জ্ঞানলাভে অসমর্থ ছিলেন, ব্যক্তিরূপে জীবাত্মারূপে সেই জ্ঞানই আবার অন্তের নিকট বর্ণনা করিতে কি করিয়া সমর্থ হইলেন ? সহজ বুদ্ধিতে ইহা বুঝা কঠিন। আত্মজ্ঞান হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া জীবাত্মা যখন অনন্ত আত্মাতে বিলীন হইয়া যায়,তখনকার যে অবস্থা—আর পুনৰ্ব্বার আত্মজ্ঞানে ফিরিয়া আসিলে যে অবস্থা হয়— এই দুই অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। পরমাত্মভাবাপন্ন অবস্থা জীবাত্মার আত্মজ্ঞানে প্রকাশ হওয়া অসম্ভব। জীবাত্মা হইয়া জীবাত্মার } যোগসিদ্ধ জ্ঞান ও যোগানন্দ । : ধারণার অতীত সেই পূৰ্ব্ব অবস্থা স্মরণ করিবে কি করিয়া ? ইংলণ্ডের একজন প্রসিদ্ধ চিন্তাশীল লেখক মড়মলি এই সকল আপত্তি উত্থাপন করিয়াছেন। সাধক ধ্যানযোগে যে সকল তত্ত্ব উপলব্ধি করেন, তাছা যে সৰ্ব্বৈব সত্য তাহা ন হইতে পারে, নিজের নিজের কল্পনা দ্বারাও কতকটা তাহা অন্তরঞ্জিত হয়। তবে,মূলে যে তাহাতে কোন সত্য নাই এ কথাও বলা যায় না। যে সকল সাধারণ আধ্যা ত্মিক সত্য সকল ধৰ্ম্মেরই পত্তনভূমি তাহাই প্রকৃত আপ্তজ্ঞান। গঙ্গানদী হিমালয় হইতে নিঃস্থত হইয়া মূল প্রস্রবন হইতে যতই দূরবর্তী হয়, ততই তাছা কলুষিত হইয় পড়ে, কিন্তু তাই বলিয়া গঙ্গানদীর বিশুদ্ধ মাহাত্ম্য একেবারে অগ্রাহ করা যায় না। - - পূৰ্ব্বতন খৃষ্টানেরা যোগসাধনে বিশেষরূপে সুন্থরক্ত ছিলেন । যদিও ব্রাহ্মণদিগের হ্যায় যোগ-পদ্ধতিটি তাহাদের মধ্যে পরিপক্কতা লাভ করে নাই, তথাপি তাহারা যে আনন্দের বর্ণনা করেন, তাহ ঋষিদিগের পরিব্যক্ত যোগানন্দেরই কতকটা অনুরূপ। সেন্ট অগস্টিন ঈশ্বরের জ্ঞান ও প্রেম অর্জন করিবার উদ্দেশে স্বীয় অন্তরে যে প্রকার আকূতি ও অদম্য স্পৃহা অনুভব করিয়ছিলেন তাহার আয়ুপুৰ্ব্বিক বর্ণনা তিনি তাহার রচিত “মনের কথা প্রকাশ” গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। প্রথমত— ইন্দ্রিয়ের দ্বারা যে জ্ঞান লাভ হয়, তাহার পরীক্ষার ভার বুদ্ধিবৃত্তির প্রতি অৰ্পিত হয়। কিন্তু বুদ্ধিও পরিবর্তনশীল, আকুতিমান আত্মার আকাজ বুদ্ধিও পরিতৃপ্ত করিতে পারে না। অবশেষে, ইন্দ্রিয় ও বুদ্ধি - উভয় হইতেই স্বাস্থাকে প্রত্যাহার করিয়া এক লক্ষে অপরিবর্তনীয় জ্ঞানে উপনীত হওয়া যায়। তিনি বলেন, “আত্মপ্রত্যয়ের দৃষ্টির দ্বারাই আমি যথার্থ তত্ত্ব উপলব্ধি করিলাম–অদৃশু বস্তুসকল দেখিতে পাইলাম। কিন্তু তাহার উপর দৃষ্টি স্থির করিয়া অনেকক্ষণ রাখিতে পারিলাম না। - *i --- - - - - - - - ------- -- - -- -- __ _ ______ _