পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - - 鬣 暢 醬輯購 幫髒

- - - . og . | - - i.o-- --- \છB সাধনা ৷ আবার আমার ছৰ্ব্বলতা আসিয়া পড়িল –আবার আমার পূর্বঅভ্যাস । ফিরিয়া আসিল - পূৰ্ব্ব উপলব্ধির মুখজনক স্মৃতিটি মাত্র রহিল এবং : যে বস্তুর আঘ্ৰাণটিমাত্র পাইয়াছিলাম-সম্পূর্ণ আস্বাদ পাই নাই— : সেই বস্তু লাভ করিবার আকাজাটিমাত্র রহিয়া গেল। মডুসলি ইহার } ব্যাখ্যা এইরূপ করেন ;-চিন্তা ও ভাবের একটি বিশেষ বিভাগের । উপর মনের সমস্ত শক্তি কেন্দ্রীভূত করিয়া এবং সেই তন্ময় চেষ্টাকে : স্থায়ীভাবে রাখিয়া সেন্ট অগস্টন সেই চিন্তা ও ভাবকে এরূপ স্বতীব্র : সপ্তম স্বরে তুলিয়াছিলেন যে অন্যান্য চিস্তা ও ভাবের প্রবাহ রুদ্ধ ; হইয়া গেল—সেই একদেশবাহী চিন্তাকে দমন করে বা অস্থশাসন : এইরূপে, মনের । একটা অৰ্দ্ধ-বাতুলবৎ অৰ্দ্ধপ্ৰলাপী অবস্থা উৎপন্ন হইল এবং তাহার } সঙ্গে সঙ্গে এক প্রকার অনিৰ্ব্বাচ্য আধ্যাত্মিক দীপ্তি ও আনন্দের { করে এমন আর কোন চিন্তা ও ভাব রহিল না । ভাব উপলব্ধি হইতে লাগিল।” সেণ্ট অগসটিন বলেন, “যে শক্তির দ্বারা আত্মা শরীরের সহিত যুক্ত ও জড়িত রহিয়াছে সেই শক্তিকে অতিক্রম করিতে পারিলেই আত্মার আত্মা, প্রাণের প্রাণ যে ঈশ্বর র্তাহার সহিত মিলিত হওয়া যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই শক্তিকে অতিক্রম করিয়া অধিকক্ষণ থাকা যায় না।” তিনি বলেন “প্ৰভু ! তুমি আমার অন্তরতম দেশে এমন একটি ভাবের প্রকাশ করিয়াছ, যাহা সচরাচর অনুভূত হয় না-কিন্তু এই ভাবটি পরিপক্ক হইলে, না : জানি মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে কি আশ্চৰ্য্য ভাব ধারণ করিবেআপাতত এই হীন দেহের ভারে আমি আক্রান্ত –কিছুতেই স্বর্গের দিকে উঠিতে পারিতেছি না—পুনঃ পুনঃ হীন পার্থিব বিষয়ে নাবিয়া আসিতে বাধ্য হইতেছি।” মভূসলি বলেন, এই অবস্থা, স্নায়ুপ্রদেশ বিশেষের অত্যুত্তেজনার ফল ; সুতরাং ইহার সহিত শরীরের বিলক্ষণ যোগ রহিয়াছে। অতএব শরীরের বাধা কিরূপে অতিক্রম করা যোগসিদ্ধ জ্ঞান ও যোগানন্দ । ان যাইবে ? এই অত্যুত্তেজিত অবস্থা অধিকক্ষণ স্থায়ী হইতে কাজেই পারে না । - সেণ্ট অগস্টিনের আত্মা যখন এইরূপ ভূমানন্দে পূর্ণ হইত, তখন সেই দুর্লভ মুহূর্তে তিনি ঈশ্বরের যে প্রেমামৃত পান করিতেন তাহার প্রকৃতি কিরূপ ? সেই অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দের ভাব তিনি এইরূপে বর্ণনা করিয়াছেন;—“তোমাকে যখন আমি ভালবাসি,তখন আমি কোন বস্তুকে ভালবাসি ? সে শরীরের সৌন্দৰ্য্য নহে, সে তালের সুন্দর সোঁসাম্য নহে, সে নয়নরঞ্জন আলোকের উজ্জ্বলতা নহে, সে অগুরুচন্দনপুষ্পের সুগন্ধ নহে, সে শর্করা নহে, মধু নহে, আলিঙ্গন-সুখের উপযোগী দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গও নহে। আমি যখন আমার ঈশ্বরকে প্রীতি করি, তখন আমি এই সকল বিষয়ে প্রীতি করি না । কিন্তু, আমি অন্তরাত্মার গভীরতম দেশের এক প্রকার আলোক, সঙ্গীত, সুগন্ধ, স্থখাদ্য, আলিঙ্গন উপভোগ করি। সেখানে এমন এক জ্যোতি বিকীরিত হয়, আকাশ যাহাকে ধারণ করিতে পারে না—এমন এক স্বস্বর ধবনিত হয়, যাহা কাল অপনীত করিতে পারে না—এমন এক সুগন্ধ অনুভূত হয়, নিঃশ্বাস যাহাকে অপসারিত করিতে পারে না—এমন একটি অমৃতের আস্বাদ পাওয়া যায়, ভোজনে যাহার লাঘব হয় না—যে আস্বাদটি রসনাতে সৰ্ব্বদা লাগিয়া থাকে, যাহাতে কখনই অতিতৃপ্তি উৎপন্ন হয় না। আমি যখন আমার ঈশ্বরকে ভালবাসি, তখন আমি এই ভাবেই ভালবাসি।” সেন্ট থেরেসার বর্ণিত স্বকীয় জীবনবৃত্তান্তেও এই যোগনন্দের গৃঢ় মৰ্ম্ম উপলব্ধি হয়। সেন্ট থেরেসার প্রকৃতি শৈশবে অতিশয় কল্পনা-প্রবণ ছিল—তৎকালে স্পেনদেশে নারীসেবাধক্ষ্মী বীরপুরুষদিগের কাহিনী সাধারণ লোকের অত্যস্ত প্রিয় ছিল –