পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- - --| ! -:円 s -- -- -- o-o:.巽!f o:-. o:o-: o| -: 'ELr সাধনা | বুঝিতে পারিতেন না—ইহার আসল প্রকৃতি কি, সে বিষয়ে তাহদের মধ্যে মতভেদ উপস্থিত হইল। থেরেসার অবস্থা-বিষয়ে একটি স্থিরসিদ্ধান্তে উপনীত হইরার জন্ত ৫৬ জন শাস্ত্র-পারদর্শী পণ্ডিতের দস্তুরমত সম্ভাষা-সমিতি বসিল । তাহারা স্থির করিলেন, থেরেসাকে সয়তানে পাইয়াছে—এবং তাহারা থেরেসাকে এই উপদেশ দিলেন, যেন সে কোন বিষয়ে একাগ্রচিত্ত না হয়—নানা বিষয়ে মন দিয়া চিত্তকে বিক্ষিপ্ত রাখিবার চেষ্টা করে ও কদাপি যেন একাকী বিজনে না থাকে। র্তাহার কোন কোন উপদেষ্ট মনে করিলেন, দশপ্রাপ্তির সময় থেরেসার অন্তরে ঈশ্বরের আবির্ভাব হয় বটে, কিন্তু সেই সময় যে আনন্দ অনুভূত হয়, তাহ কতকটা ইন্দ্রিয় লালস-রঞ্জিত। অতএব, থেরেসার শারীরিক নির্যাতন প্রভূতি কঠোর তপশ্চর্য্যা অধিকতররূপে সাধন করা কর্তব্য। ঈশ্বরের নরদেহধারী অবতার খৃষ্টকে প্রীতি করিতে হইলে কতকটা যে পার্থিব প্রেমের ছায়া আসিয়া পড়িবে তাহাতে আশ্চৰ্য্য কি !—থেরেসা বলেন, উহা অনিবাৰ্য্য। তিনি বলেন "অনেকে বলে, আত্মাকে বায়ুর মধ্যে বিচরণ করাইবে—-কিন্তু আত্মা যতই ঈশ্বরের আবিভাবে পূর্ণ হউক না—আত্মা একেবারে হাওয়ার উপর থাকিতে পারে না—একটা পার্থিব ভিত্তির উপর ভর দিয়া থাকা আবশ্রাক হয়।. আমরা তো আর এঞ্জেল নই—আমাদের শরীর আছে— পৃথিবীতে থাকিয় আপনাকে এঞ্জেল করিয়া তুলিবার চেষ্টা করা—ইহা অপেক্ষ বাতুলতা আর কিছুই নাই।” আর একটু অধিক বয়সে, থেরেসা যখন একটা কুমারী-আশ্রমের কর্তৃত্ব প্রাপ্ত হইলেন, তখন হিষ্টিরিয়া রোগগ্ৰস্ত অনেকগুলি আশ্রম ধারিণীর দশপ্রোপ্তির সময়ে তাহাকে ব্যতিব্যস্ত হইতে হইত। তখন তিনি বুঝিলেন,এই অবস্থাতে সকল সময়ে ঈশ্বরের আবির্ভাব হয় না। क्लड़खड1 Վյ : কখন কখন সয়তানেরও আবির্ভাব হইয়া থাকে। আশ্রমধারিণী চিরকুমারীরা অনেক সময়ে খৃষ্টকে পতিরূপে বরণ করে- কাজেই তাহাদের প্রেমে আধ্যাত্মিকতা অপেক্ষা পার্থিবতা অধিক পরিমাণে থাকিবে তাহাতে আশ্চৰ্য্য কি ! আমাদের বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মধ্যে কৃষ্ণপ্রেমে এইরূপ পার্থিব ভাব বর্তমান। সেণ্ট অগষ্টিনের “মনের কথা প্রকাশ” পাঠ করিলে জানা যায়, তিনি তাহাতে এক এক স্থলে যে আনন্দের বর্ণনা করিয়াছেন, তাহাতে জঘন্য ইন্দ্রিয়লালসার গন্ধ পাওয়া যায়—এমন কি তাহ বিশুদ্ধমনা যুবক যুবতীদিগের পাঠেরও অযোগ্য। তাই, কোন জৰ্ম্মণ গ্রন্থকার বলিয়াছেন "রুসো সৰ্ব্বসাধারণের নিকট মনের কথা প্রকাশ করিয়াছেন, এবং সেণ্ট অগষ্টিন ঈশ্বরের নিকট মনের কথা প্রকাশ করিয়াছেন”। কিন্তু আমাদের দেশের ঋষির উপনিষদে যে যোগানন্দ– ভূমানন্দের কথা ব্যক্ত করিয়াছেন, তাহা কেমন আধ্যাত্মিক—কেমন উন্নত – কেমন বিশুদ্ধ-তাহাতে পার্থিবতার লেশমাত্র নাই। সেই ঋষিদিগের স্বৰ্গীয় আনন্দের সহিত পার্থিব কোন সুখের তুলনা হয় না বলিয়া তাহারা উহ। তন্নতম্নরূপে বর্ণনা করিবার চেষ্টা পান নাই কেবলমাত্র বলিয়া গিয়াছেন- উহা অনিৰ্ব্বচনীয়। - কৃতজ্ঞতা । চতুর্দশ পরিচ্ছেদ । নয়টা বাজিয়া মিনিট পনর হইতে না হইতে সস্ত্রীক কালেক্টর সাহেব বগী হাকাইয়া কুণ্ডলায় প্রবেশ করিলেন । পুলিসের উপর কোন হুকুম জারি না হইয়া থাকিলেও দারোগ সাহেবের সর