পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o o

  • R

সাধনা ৷ কালের মধ্যে ছুটি স্বর উচ্চারণ করিতে হইলে, দওমাত্রিক পদ্ধ । তিতে ছুটি স্থর পৃথক ভাবে লিখিয়া প্রথমটির উপর দণ্ড-চিন্তু প্রয়োগ করা হয় এবং উভয় স্বরের উপরে ব্র্যাকেটু দেওয়া হয়। সেই স্থলে আকারমাত্রিক পদ্ধতিতে, ছুটি স্বরাক্ষর যুক্ত করিয়া শেষ অক্ষরটির গায়ে একটি আকার বসাইলেই যথেষ্ট হয়। তবে, এত বাহুল্য ও আড়ম্বরের প্রয়োজনটা কি ? এই সব কারণে, আমরা দণ্ডমাত্রিক পদ্ধতির পক্ষপাতী নহি। এ কথা সত্য বটে, আজকাল এত বিভিন্ন প্রকার স্বরলিপি বাহির হইতেছে যে, সাধারণ লোকে ভাবিয়া পায় না কোনটিতে বাস্তবিক স্থবিধা। কিন্তু আমরা দক্ষিণ বাবুর হ্যায় বিচক্ষণ সঙ্গীতাভিজ্ঞ ব্যক্তির নিকট প্রত্যাশা করি, তিনি প্রচলিত স্বরলিপিগুলির দোষগুণ বিচার করিয়া, যে স্বরলিপিপদ্ধতি সৰ্ব্বাপেক্ষ সুবিধাজনক তাহাই ব্যবহার করিয়া সাধারণের মধ্যে প্রচলিত করেন। অব শেষে বক্তব্য এই, এই গ্রন্থখানির লিখিত স্বরলিপি দৃষ্ট্রে সঙ্গীত সাধনা করিলে সঙ্গীতানুরাগী ব্যক্তিমাত্রেই যে প্রভূত আনন্দলাভ করিবেন তাহাতে সন্দেহ নাই। ভারতবর্ষে * বারাণসী ৷ হিন্দুদের অনেক দেবতা। অদ্ভূত ধরণের দেবতা। এই সকল দেবতার কল্পনায় কোন শৃঙ্খল পাওয়া যায় না—উহাদের প্রকৃত ভাবটি স্পষ্টরূপে ধরা যায় না। প্রায় সকল দেবতাগুলিরই কল্পনামূলে এমন একটি স্বহ্ম অতীন্দ্রিয় দার্শনিক ভাৰ নিহিত, যাহা সামান্য বুদ্ধির দ্বারা সহজে আয়ত্ত হয় না। তাহার দৃষ্টান্ত কালী দেবী। কালী “শিবের শক্তি” এবং নিজে শিবও অনন্তশক্তি— যে শক্তি সকল পরিবর্তনের মধ্যে ধ্রুবভাবে বর্তমান। অতএব দেখ, ধৰ্ম্মের এই সকল ভাবে মানবীকরণের দোষ কিছুমাত্র স্পর্শে না–এবং উহাদের মূৰ্ত্তিকল্পনাও সম্ভব বলিয়া মনে হয় না। অথচ, এই সকল মন্দির কালীর মূৰ্ত্তিতে পূর্ণ। কালীদেবী রক্তপিপাস্থ রাক্ষসী। পূৰ্ব্বে কালীর সমীপে নরশিশুর বলি হইত, এক্ষণে ছাগ বলি হইয়া থাকে। তাহার যে সকল নামে ‘ম বর্ণ আছে সেই সকল নাম আবৃত্তি করিয়া যে পূজা হয়, সেই পূজাই তাহার নিকট সর্বাপেক্ষ প্রিয়। এই মাত্র মনে করিলাম, তাহাকে ধরিতে পারিয়াছি—বুঝিতে পারিয়াছি—কিন্তু পরক্ষণেই দেখি তাহার লুপ পরিবর্তন হইয়াছে ; তিনি তরঙ্গেয় নায় তরঙ্গায়িত,


  • tাত্র সত্রিয়ে প্রশীত ।