- - - - *** -- - - - --- -- --------- - - o o- * -l * o o - * -- - - o - or - o s - - Ե-ե- লাধনা ৷ করিতে তাহার নিজেরই একটা আন্তরিক আতঙ্ক উপস্থিত হয়শুদ্ধ বাহ শাসনের ভয়ে সে যে এরূপ করে তাহা নহে। এই সকল বাহ অনুষ্ঠানের প্রবর্তক কুলীগত বদ্ধমূল হৃদয়ের ভাব সকল পঞ্চ বিংশতি শতাব্দী ধরিয়া পরিপুষ্ট হইয়াছে—এক্ষণে উহা সহজ প্রত্যয়ের মত হইয় দাড়াইয়াছে। হত্যা করিও না বা চুরি করিও না–এ যেরূপ সহজ প্রত্যয়জাত নীতি, এই সকল কৃত্রিম বিধিনিষেধও তেমনি হিন্দুর নিকট সহজ প্রত্যয়ের বিষয়। বুদ্ধিমান বাঙ্গালী বাবুরা র্যাহার। আমাদের যুরোপীয় ভাব, চিন্তা, যুরোপীয় বলিলেও হয়—দেখা গিয়াছে তাহারাও অমনোযোগবশতঃ দৈবক্রমে গোমাংস-স্বপ খাইয়া আতঙ্কে মূছ গিয়াছেন। ১৮৫৭ খৃষ্টাবে, সিপাহীরা মনে করিয়াছিল চৰ্ব্বিমাখানে বন্দুকের টােটা তাহাদিগকে দাত দিয়া ছিড়িতে হইবে, এই মনে করিয়া তাহার বিদ্রোহী হইয়াছিল—মেরিয়া হইয়া উন্মত্ত হইয়া উঠিয়াছিল। পূৰ্ব্বে, যখন ইংরাজের জেলখানায় জাতিভেদের নিয়ম রক্ষা করিতেন না, তখন গুপ্তহত্যাকারী অপরাধীরা অনশনে মরিতে প্রস্তুত, তথাপি অপবিত্র মাংস স্পর্শ করিত না । কোন উপদেশ যাহার উৎপত্তি ও উদ্দেশ্য একেবারে বুদ্ধির অগম্য স্থ গঙ্গামাহাত্ম্য শ্রবণ করিলে, সময়বিশেষে হৰিষ্যার পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়।. সকল হিন্দুই সেই চোর বান্ধীকির কথা জানেন, তিনি “মরা” “মরা” এই কথা উচ্চৈঃস্বরে উচ্চারণ করায় তাহ উটাইলে “রাম” “রাম" হয় বলিয়া শিব, o তাহার কৈলাসে বাল্মীকিকে স্থান দিয়াছিলেন। o -- - - _ --- - - ----- - - - 一エo --- o:- --- so o --- -*** --→ ; ***. ------ o ------ o- - - ------ -- --------- ----
- --- - _ -- a
- - -- -- - - -- - - -- . - - --- - - ভারতবর্ষে ৮৯ - - ് - অtহার করিলেই - o হিন্দুর আচার ব্যবহার ও প্রকৃতি এক এক সময়ে পরস্পর o বিরোধী বলিয়া মনে হয়। এই দেখ না কেন, আমার সম্মুখে, মানুষের মধ্যে থাকিয়া পাখীরা কেমন শাস্তিতে বাস করিতেছে, বিজ্ঞানের সহিত সম্পূর্ণরূপে পরিচিত—যাহারা দর্শন ও নীতিবিষয়ে } ময়ূরেরা অবাধে নগরে বিচরণ করিতেছে। এই দেখ পশু-আশ্রম, o এইখানে কুকুর হরিণ চাল প্রভৃতি সকল জাতীয় পীড়িত জীবের সেবা শুশ্ৰুষ হইতেছে। হিন্দুজাতির গভীর আন্তরিক মাধুৰ্য্য ও কারণ্যের ইহা কি একটি নিদর্শন নহে? তথাপি ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে এই হিন্দুরাই নিষ্ঠুরতাতে, মার্কিনের আদিমনিবাসী লোহিতচৰ্ম্ম জাতিকেও অতিক্রম করিয়াছিল। এবং যদিও ইংরাজ শাসনে নরবলি প্রথা উঠিয়া গিয়াছে, তথাপি এখনও কালীমন্দিরে শিশুর মৃতদেহ কখন কখন দেখিতে পাওয়া যায় । --- ভারতবর্ষে প্রেম অজানা সামগ্ৰী। এখানে নয় বৎসরের শিশু দিগের বিবাহ দেওয়া হয় ; যতদিন না যৌবনে উপনীত হয় ততদিন উহাদিগকে পৃথক করিয়া রাখা হয়। বিবাহ হইয়া গেলে, স্ত্রীলোক চিরকালের মত অন্তঃপুরে অবরুদ্ধ। তাহার পিতামাতা ছাড়া o তহিকে আর কেহই দেখিতে পায় না। তাহার বন্ধুরা তাহার অস্তিত্ব সম্বন্ধে ইঙ্গিতেও উল্লেখ করিতে পারে না-নিতান্ত অস্পষ্টভাবেও তাহার বিষয় কোন কথা জিজ্ঞাসা করা যায় না—এমন কি, “বাড়ির : সকলে কেমন আছেন ?" একথাটিও বলিবার বো নাই। যদি স্বামী * দ্বানিতে পারে, তাহার স্ত্রীর কোন আত্মীয় তাহার স্ত্রীকে দেখিয়াছে
—যাহা তুমি পরীক্ষা করিয়া দেখ নাই—সেই উপদেশ পালন না করিলে পাপ এবং এই পাপের জন্য তোমাকে কঠোর দণ্ডভোগ করিতে হইবে। এ এক অদ্ভূত ধরণের পাপ-অনুশোচনা কিম্বা সত্বকৰ্ম্মের অনুষ্ঠানে ইহার প্রায়শ্চিত্ত হয় না। যান্ত্রিক ভাবে কোন একটা অর্থহীন অনুষ্ঠান করিলে, কোন একটি বাক্য উচ্চারণ করিলে, গঙ্গায় একবার অবগাহন করিলে, শিবাধিষ্ঠিত কোন পূতিগন্ধ-কূপে একবার ডুব দিলে; ব্রাহ্মণের কর্ণ স্পশ করিলে -:
- "
i –
____ -------------
