পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

է : : সাধন । তাহাদের গলা জড়াইয়ে, মৃত্যুকালে মিত্র এলে লোকে যেমি চক্ষু মেলে, তেল্পিতর থাকিব চাহিয়ে ।” সৌন্দর্য্যে হৃদয়ে সম্ভববৎ চিত্রিত হইয়া উঠিত। “কভু ভাবি পল্লীগ্রামে যাই, নামধাম সকল লুকাই ; চাষীদের মাজে রয়ে, চাষীদের মত হয়ে, চাষীদের সঙ্গেতে বেড়াই। প্রাতঃকালে মাঠের উপর, শুদ্ধ বায়ু বহে বর বীর, চারিদিক মনোরম, আমোদে করিব শ্রম ; স্বস্থ স্ফুর্ত হবে কলেবর। সে সময়ে আমি উঠে গিয়ে, 獸 কবি যে মন “হুহু” করার কথা লিখিয়াছেন তাহা কি প্রকৃতি o বলিতে পারি না কিন্তু এই বর্ণনা পাঠ করিয়া বহির্জগতের জী একটি বালক পাঠকের মন হুহু করিয়া উঠিত। ঝরণার ধারে জন্ম শীকরসিক্ত স্নিগ্ধগুামল দীর্ঘকোমল ঘনঘাসের মধ্যে দেহ নিয়ী করিয়া নিস্তব্ধ ভাবে জলকলধ্বনি শুনিতে পাওয়া একটি পদt আকাঙ্ক্ষার বিষয় বলিয়া মনে হইত ; এবং যদিও জ্ঞানে জানি :ে কুরঙ্গিনীগণ কবির দুঃখেও অশ্রুপাত করিতে আসে না এবং সা : মতে কবির আলিঙ্গনে ধরা দিতে চাহে না তথাপি এই নির্বরপাদ ঘনশপতটে মানবের বাহুপাশবন্ধ মুগ্ধ কুরঙ্গিণীর দৃপ্ত অপর i. বিহারীলাল । 33 বাজাইয়ে বঁাশের বঁাশরী ; শীদ সোজা গ্রাম্য গান ধরি, সরল চাষার সনে, প্রমোদপ্রফুল্ল মনে কাটাইব আনন্দে সৰ্ব্বরী। বরষার যে ঘোর নিশায়, সৌদামিনী মাতিয়ে বেড়ায় ; ভীষণ বজের নাদ, ভেঙ্গে যেন পড়ে ছাদ, বাবু সব কাপেন কোঠায় ; সে নিশায় আমি ক্ষেত্রতীরে, নড়বোড়ে পাতার কুটীরে, স্বচ্ছন্দে রাজার মত ভূমে আছি নিদ্রাগত ; প্রাতে উঠে দেখিব মিহিরে ” কলিকাতার ছেলে পল্লিগ্রামের এই সুখময় চিত্রে যে ব্যাকুল ইয়া উঠিবে ইহাতে বিচিত্র কিছুই নাই। ইহা হইতে বুঝা যায় অসন্তোষ মানবপ্রকৃতির সহজাত। অট্টালিকার অপেক্ষ নড়বোড়ে পাতার কুটীরে যে মুখের অংশ অধিক আছে অট্টালিকাবাসী বালকের মনে এ মায়া কে জন্মাইয় দিল ? আদিম মানবপ্রকৃতি । কবি নহে। কবিকে যিনি ভুলাইয়াছেন সেই মহামায়া। কবিতায় অসন্তোষ-গানের বাহুল্য দেখা যায় বলিয়া অনেকে আক্ষেপ করিয়া শকিন । কিন্তু দোফ কাহাকে দিব ? অসন্তোষ মানুষকে কাজ করাইতেছে, আকাজ কবিকে গান গাওয়াইতেছে। সন্তোষ এবং পরিতৃপ্তি যতই প্রার্থনীয় হেক্‌ তাহাতে কাৰ্য্য এবং কাব্য উভয়েরই oo-- -*.o o