२८8 , দেবযানী । সাধম। এতই সুলভ ? সহস্ৰ বৎসর ধরে সাধন করেছ তুমি কি ধনের তরে আপনি জান না তাহ। বিদ্যা একধারে আমি একধারে – কৰ্ভু মোরে কভু তারে চেয়েছ সোৎস্থকে ; তব অনিশ্চিত মন দোহারেই করিয়াছে যত্নে আরাধন সঙ্গোপনে । আজ মোরা দেহে একদিনে আসিয়াছি ধরা দিতে। লহ সখা চিনে যারে চাও ! বল যদি সরল সাহসে “বিদ্যায় নাহিক সুখ, নাহি সুখ যশে, দেবযানী, তুমি শুধু সিদ্ধি মূৰ্ত্তিমতী, তোমারেই করিনু বরণ, নাহি ক্ষতি নাহি কোন লজ্জা তাহে ! রমণীর মন সহস্র বর্ষেরি সখা সাধনার ধন । দেব সন্নিধানে শুভে করেছিনু পণ মহাসঞ্জীবনী বিদ্যা করি’ উপার্জন দেবলোকে ফিরে যাব ; এসেছিন্ন তাই, সেই পণ মনে মোর জেগেছে সদাই, পূর্ণ সেই প্রতিজ্ঞ আমার, চরিতার্থ এতকাল পরে এ জীবন ; কোন স্বার্থ ہ-بی. করি না কামন। আজি ! ধিক্ মিথ্যাভাষী । শুধু বিদ্যা চেয়েছিলে ? গুরুগৃহে আসি শুধু ছাত্ররূপে তুমি আছিলে নির্জনে । শাস্ত্রগ্রন্থে রাখি অণথি রত অধ্যয়নে বিদায়-অভিশাপ । অহরহ ? উদাসীন আর সব পরে ? ছাড়ি অধ্যয়নশালা বনে বনান্তরে - ফিরিতে পুষ্পের তরে, গাথি মালাখানি সহাস্য প্রফুল্ল মুখে কেন দিতে আনি এ বিদ্যাহীনাৱে ? এই কি কঠোর ব্রত ? এই তব ব্যবহার বিদ্যার্থীর মত ? প্রভাতে রহিতে অধ্যয়নে, আমি আসি শূন্য সাজি হাতে লয়ে দাড়াতেম হাসি, ম কেন গ্রন্থ রাখি উঠিয়া আসিতে, ফুল্ল শিশিরসিক্ত কুস্থ মরাশিতে করিতে আমার পূজা ? অপরাহ্নকালে 3. خة ـسـت l * °C 6>
জলসেক করিতাম তরু-আল বালে, আমারে হেরিয়া শ্রান্ত কেন দয়া করি* দিতে জল তুলে ? কেন পাঠ পরিহরি পালন করিতে মোর মৃগশিশুটিকে ? স্বৰ্গ হতে যে সঙ্গীত এসেছিলে শিখে কেন তাহ শুনাইতে, সন্ধ্যাবেলা যবে নদীতীরে অন্ধকার নামিত নীরবে প্রেমনত নয়নের স্নিগ্ধচ্ছায়াময় দীর্ঘ পল্লবের মত ? অামার হৃদয় বিদ্যা নিতে এসে কেন করিলে হরণ স্বর্গের চাতুরীজালে ? বুঝেছি এখন, আiমারে করিয়া বশ পিতার হৃদয়ে চেয়েছিলে পশি বারে—কৃতকাৰ্য্য হ’য়ে আজি যাবে মোরে কিছু দিয়ে কৃতজ্ঞ তা ;