কচ । সাধন । লন্ধমনোরথ অর্থী রাজদ্বারে যথা । দ্বারীহস্তে দিয়ে যায় মুদ্রণ দুই চারি মনের সন্তোষে ? — সত্য শুনে কি হইবে সুখ ? ধৰ্ম্ম জানে প্রতারণা করি নাই ; অকপট প্রাণে । আননদ অন্তরে তব সাধিয়া সন্তোষ, সেবিয়া তোমারে যদি করে থাকি দোষ তার শাস্তি দিতেছেন বিধি। ছিল মনে কব না সে কথা । বল কি হইবে জেনে ত্রিভুবনে কারে যাহে নাই উপকার, একমাত্র শুধু যাহা নিতান্ত আমার আপনার কথা । ভাল বাসি কি না আজি সে তর্কে কি ফল ? অামার যা আছে কাজ সে আমি সাধিব । স্বৰ্গ আর স্বর্গ বলে’ যদি মনে নাহি লাগে, দূর বনতলে যদি ঘুরে মরে চিত্ত বিদ্ধ মৃগসম, চিরতৃষ্ণ লেগে থাকে দগ্ধ প্রাণে মম | মুখশুন্য সেই স্বৰ্গধামে । দেব সবে এই সঞ্জীবনী বিদ্যা করিয়া প্রদান নুতন দেবত্ব দিয়। তবে মোর প্রাণ সার্থক হইবে ; তার পূৰ্ব্বে নাহি মানি আপনার স্থখ । ক্ষম মোরে, দেবযানী, ক্ষম। অপরাধ । - বিদায়-অভিশাপ । ক্ষমা কোথা মনে মোর ! করেছ এ নারীচিত্ত কুলিশ-কঠোর হে ব্ৰাহ্মণ ! তুমি চলে যাবে স্বৰ্গলোকে সগৌরবে, আপনার কৰ্ত্তব্য-পুলকে সৰ্ব্ব দুঃখশোক করি দূর-পরাহত ; আমার কি আছে কাজ, কি আমার ব্রত ! আমার এ প্রতিহত নিষ্ফল জীবনে কি রহিল, কিসের গৌরব ? এই বনে বসে রব নতশিরে নিঃসঙ্গ একাকী ক্ষ্যহীন ! যে দিকেই ফিরাইব অণখি স্মৃতির কাটা বিধিবে নিষ্ঠর ; লুকায়ে বক্ষের তলে লজ্জা অতি ক্রর বারম্বার করিবে দংশন ! ধিক্ ধিক, . কোথা হতে এলে তুমি, নিৰ্ম্মম পথিক, বসি মোর জীবনের বনচ্ছায়াতলে দণ্ড দুই অবসর কাটাবার ছলে জীবনের স্থখ গুলি—ফুলের মতন ছিন্ন করে নিয়ে –মালা করেছ গ্রন্থন একখানি স্বত্র দিয়ে ; যাবার বেলায় । সে মালা নিলে না গলে, পরম হেলায় \ সেই স্থল্ম সুত্ৰখানি দুই ভাগ করে . ছিড়ে দিয়ে গেলে ! লুটাইল ধূলিপরে এ প্রাণের সমস্ত মহিমা ! তোম। পরে এই মোর অভিশাপ-যে বিদ্যার তরে সহ २९१
পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।