সাধন । পুত্রদের পরিতোষপুৰ্ব্বক ভোজন করাইয় আপনার সেই রাণী কৃত পিঠেপুলি সরুচাকুলি এবং নলেনগুড়ের পায়েসের প্রক্তি যথেষ্ট সুবিচার করিলেন, তা বলিয়। র্তার। যে দীনদুঃখীকে ভুলিয়া গেলেন তাহা নহে। কাহারও কাহারও পাতের নীচে আসিয়৷ ক্ষুদ্র পিপীলিকার কাদিয়া ফিরিলেও, রন্ধনভাণ্ডার "সে দিন অক্ষয়, গ্রামের গরিবের সন্তান বর্গ পেট ভরিয়া পিঠে খাইয়। গেল । অপরাহ্নে গ্রামে যুবা এবং ছেলের দল গুলিদাও। tश्रुतिं । গ্রামের বাহিরে প্রশস্ত তৃণশোভিত প্রান্তরে ভদ্রে এবং অভদ্র একপ্রাণ হইয়া ছুটাছুটি করিতেছে, গুলি ডাকিতেছে পো পেী পে, ছেলের বিজয়ীদলের উৎসাহ বাড়াইয়া আনন্দে করতাল দিতেছে, পোষসংক্রান্তির এ দৃশ্য বাঙ্গালায় এখন আর তত্ব সুলভ নহে । - সন্ধ্যার সময় লক্ষ্মীর আরতি শেষ করিয়া পুরোহিত ঠাকুর র্তাহার গলায় “বাউড়ি’’ বাধিলেন, ভরসা চঞ্চল কমল সে বন্ধনে ভক্তগৃহে অচল হইবেন। এই “বাউড়ির’ একটু ব্যাখ্যার প্রয়োজন। গৃহস্থের ধান্ত কৰ্ত্তনের প্রথম দিনে সৰ্ব্বপ্রথমে যে আটি কাটা হইয়। থাকে, তাহাই বাউড়ির প্রস্থতি । গৃহিণীর ভাবেন সেই “বাউড়ি”র বন্ধন মা লক্ষ্মীর বড় আদরের 窗何可 তাই তারা পৌষ সংক্রান্তির শেষ রাত্রে, লক্ষ্মীমাসের গোময়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পিণ্ড প্রস্তুত করিয়া স্বহস্তে তাহাতে “বাউ 阿° বঁধেন এবং সর্ষপ পুষ্পে পূজা শেষ করিয়া সকলে আগ্র*ে বলেন--- আটশত বৎসর রাজত্ব করিয়াছেন, ইহার কারণ কি ? কারণ আর কিছুই নহে কেবল এইমাত্র যে, কয়েকজন মুসলমান বাদদ এই দেশে বিবাহসূত্রে বদ্ধ হইয়াছিলেন । মোগলেরা যে, এত প্রিয় হুইয়া উঠিয়াছিলেন, ইহাই তাহার প্রধান কারণ আকবর প্রথম দৃষ্টান্ত দেখান । সেই দৃষ্টান্ত র্তাহার পুত্র পৌত্র, ত্রের সকলেই অনুকরণ করিয়াছিলেন।” স্থলান্তরে লিখিত আছে, “মুসলমান বাদসাদিগের একটি সুবিধা ছিল, যাহা জিদিগের নাই । তাহারা অনেকগুলি বিবাহ করিতে পারি তেন । একজন বাদসাই অনেকগুলি বড় বড় হিন্দু রাজাদিগকে
- * * *
আপনার লোক করিয়া ফেলিতেন । ইহাতে যে, দেশ মৃদ্ধ লোক তাহাদিগের অনুগত হইয়াছিল তাহার আর আশ্চর্য্য কি ৷” ঝা যায় যে, কেবল হিন্দু মুসলমানে বৈবাহিক সম্বন্ধ 表 fö @ বাকীতে সাত আটশত বৎসর কাল ভারতে মুসলমান রাজত্ব - - যদি বহুবিবাহের পক্ষপাতী হইতেন, হিন্দু তিদিগের সহিত বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করিতেন, তাহা হইলে গধারা ভারতের হিন্দুরাজগণকে আপনার লোক করিয়া *গতে পারিতেন । সমগ্র ভারতবাসী মুসলমানের অতুগত “এস পৌষ যেয়োন জন্ম জন্ম ছেড়োন ।”