৩১৬ সাধন। সাংখ্যদর্শন। ৩১৭ হুত্রে বর্ণিত। আমি এই “সাম্যাবস্থা” সম্বন্ধে পূৰ্ব্বে দুই এক উপরে যে ভাষ্য প্রদত্ত হইয়াছে তদনুসারে ইহা বড় পরিষ্কার নহে । নাম প্রকৃতি; প্রকৃতি বলিলে উক্ত তিন পদার্থেরই অবস্থাবিশেষ বুঝায়। গ্রকৃতি নামক প্রধান শ্রেণীর অন্তর্গত গৌণ শ্রেণীর পদার্থ—সত্ত্ব রজন তমস ইতি। ফলতঃ বড় বড় পণ্ডিতেও সাংখা দর্শনের “গুণ’ ও ন্যায়দর্শনের “গুণ” কে যে এক বলিয়া ভ্রান্ত হুয়েন—ইহ। অল্প আশ্চর্য্যের বিষয় নহে। ইহাতে এইমাত্র প্রকাশ পায় যে, আজকাল এ প্রদেশে সাংখ্যদর্শন যত্নের সহিত অধীত বা উপদিষ্ট হয় না। —ডাক্তার ব্যাকাণ্টাইনের The Sankhya Aphorisms of Kapila aizz উপরোক্ত ভাষ্য উদ্ধত থাকিলেও তিনি গুণকে quality বলিয়া অনুবাদ করিতে কুষ্ঠিত হন নাই। লব্ধপ্রতিষ্ঠ ইউরোপীয় পণ্ডিতদের হস্তেও সংস্কৃত শাস্ত্রের মধ্যে মধ্যে এমনি তুর্দশা ঘটে ! এই ভ্রমের সংস্থষ্ট অপর একটি ভ্রান্তি দেখা যায় ; তদনুসারে প্রকৃতি জাতিবাচক শব্দ না বলিয়া ব্যক্তিবাচক শব্দ বলিয়া । পরিগৃহীত। অনেকে ভাবেন প্রকৃতি “এক” অর্থাৎ, : জিনিষ । এ ভ্রম যে, কেবল আধুনিক পাঠক বর্গের তাহা নাইঅনেক প্রাচীন পণ্ডিতেও এই ভ্ৰমে পতিত হইয়াছিলেন - কথা বলিয়াছি । সাম্যাবস্থা অর্থাৎ অনুনাতিরিক্তাবস্থা। t ভাষ্যকার অর্থ পরিষ্কার করিতে গিয়া লেখেন । — “অকাৰ্য্যাবস্থা ইত্যর্থঃ ” অর্থাৎ সত্ত্বাদি দ্রব্যত্রয় যখন কর্য্যে পরিণ করে—তখন তtহাদের যে অবস্থা ड नं। झम्न-अर्थ९ অন্য কোন পদার্থ উৎপাদন ন - —যদি জিজ্ঞাসা কর সে অবস্থা কি ? – সাম্যাবস্থা কি তাহা আমরা রিজ্ঞাত নহি । ইহা একটি দার্শনিক কল্পনা বা theory করে – তাহার নাম প্রকৃতি মাত্র। সত্ত্বাদি দ্রব্যত্রয় পুরুষের যে অবস্থান্তর সাধন তাহা তাহীদের কার্য্য । তদবস্থায় তাহার পরিজ্ঞাত । নুন =কেন না কাৰ্য্যটি ঠিক । এবং দই অবস্থা নু্যনাতিরিক্ত অবস্থ। । “ལོ་སྣ, কারণ নহে। উত্তাপ এক প্রকার জ্ঞান বা আমার অবস্থান্তর । উছ কাৰ্য্য ;-যাহ উহার ভৌতিক কারণ মনে কর তাহার নাম نوین) 恋 ক 'मञ्जु । जहड्त्र अड्रिड ब्लडाइअक्ल cदान गोष्ट्र" "६' সত্ত্বকে উত্তাপ বলিয়। ধরিলে নু্যনত ঘটে। অতিরিক্ত-কেন " উত্তাপ সাংখ্যতত্ত্বকৌমুদীর প্রারম্ভেই প্রকৃতির বর্ণনা এইরূপ — ‘‘سنہ( “অ জামেকাং লোহিত শুকুকৃষ্ণাং বহীঃ প্রজীঃ স্থজমানাং নমাম ।” ---“সত্ত্ব’ হইতে বিভিন্ন পুরুষের ভাবান্তর মাত্র। ইহাতে — অসাবধান পাঠকে হঠাৎ ঈদৃশ ভাষাতে প্রকৃতিকে একটি অতিরিক্ত পুরুষ নামক দ্রব্যের আভাস আছে । অতএব সত্ত্বের মনে কর সত্ত্ব কার্য যে উত্তাপ তাহ। সত্ত্বের নুনাতিরিক্ত অবস্থা । কোনও কাৰ্য্য করিতেছে না, তৎকালে সত্বের মে গ নাম প্রকৃতি। রজস তমসেরও তাদৃশ অবস্থার নাম প্রকৃতি । ইহাতে স্থলমৰ্ম্ম এই দেখা যায়। জড় জগতে যাহ। নিত্য खताश्वं **द**--***** পদার্থ তাছ। তিন প্রকার সত্ত্ব রজস তমস । *。マ。 T"। ইহারা “অন্যোহন্যাভিব-আশ্ৰয়-জনন-মিথুনৰ্বত্তয়: !”. দ্রব্য বলিয়া ভ্রান্ত হয়। কিন্তু বলা বাহুল্য যে, সত্ত্ব রজস্ তথা حسي যদি তিনটি দ্রব্য হয়—তবে প্রকৃতি কদাচ একটি মূল দ্রব্য ই পারে না । বস্থা তাহারই “সত্ত্বরজস্তমসাং সাম্যাবস্থা প্রকৃতিঃ” –এই স্বত্রে দেখা যায় যে, সত্ত্ব রজস্থ ৪ তমস্ নামক দ্রব্যত্রণে - 可同弧 অবস্থাবিশেষের নাম প্রকৃতি। এই অবস্থা “সাম্যাবস্থা”
পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।