সাধন ; কুলোদ্ভব মুসলমান ১৪৮৯ খৃঃঅব্দ হইতে ১৫১৯ খৃঃঅন্ধ পর্যন্ত বঙ্গদেশের তৎকালিক রাজধানী গৌড়নগরে রাজাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ইনি পূৰ্ব্বে গোঁড়াধিপতি মজঃফর সাহার মন্ত্রী ছিলেন। পরে মজঃফরকে যুদ্ধে বন্দী ও নিহত করিয়া নিজে রাজা হইয়া, ছিলেন। স্ববুদ্ধি রায় নামে কোন হিন্দুরাজার বিষয় ইতিহাস উল্লেখ নাই। কিন্তু চৈতন্যচরিতামৃতের মধ্যখণ্ডে লিখিত আছে, “পূৰ্ব্বে যবে সুবুদ্ধিরায় ছিল গৌড় অধিকারী । হুসেন খা সৈয়দ করে তাহার চাকরি ॥ দীঘি খোদাইতে তারে মনসীব কৈল । ছিদ্র পাঞ রায় তারে চাবুক মারিল ৷ পাছে যবে হুসেন খা গৌড়ে রাজী হইল । সুবুদ্ধিরায়ের তিহু বহু বাড়াইল’ ৷ ইত্যাদি । বোধ হয় ইহা পাঠ করিয়া লেখক সুবুদ্ধি রায়কে হুসেন সাহার পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী গোঁড়াধিপতি বলিয়া স্থির করিয়াছেন। কিন্তু ইহা ইতিহাসবিরুদ্ধ। তবে স্থৰুদ্ধি রায় পূৰ্ব্বে গৌড়ের কোন ধনবান ভূম্যধিকারী ছিলেন এবং সেই সময়ে হুসেন সাহা তাহার কৰ্ম্ম চারী ছিলেন এইরূপ অবধারণ করিলে চৈতন্যচরিতামৃতের প্রচলিত ইতিহাসের কোন বিরোধ হয় না । লেখক অন্যত্র বলিতেছেন, “একখান তুরকিনামা পারস্য ভাষার গৌড় ইতিহাসে বর্ণিত আছে যে, সম্রাট আকবর দিল্লী হইতে গৌড়েশ্বরকে পারস্য ভাষায় যে সকল পত্রাদি লিখিতেন, এক এক সময় তাহার অর্থ বড়ই দুরূহ হইত। * * গৌড়েশ্বর সেই সকল পত্রাদির উত্তর লিখিবার কারণ, মূলপত্রাদি গুণরাজ খানের হস্তে সমর্পণ করিতেন। গুণরাজ খান আবার - ב সেই সকল পত্রের উত্তর লিখিবার কারণ ত্রসনাতন ও শ্রীরূপে । হস্তে দিতেন। পশ্চাৎ খ্রীসনাতন ও ত্ররূপ কর্তৃক লেখা প্রস্তুত শ্ৰীমৎ সনাতন ও শ্রীরূপ গোস্বামী । ७११ হইলে মন্ত্রীবর তাহ লইয়া রাজসমীপে উপস্থিত করণান্তর রাজার অনুমতিক্রমে তাঁহাই সম্রাটের নিকট দিল্লীর দরবারে 蠶 পাঠাইতেন । সেই সকল পত্রের ‘এবারত’ অর্থাৎ রচন। এতই মধু ও শ্রবণতৃপ্তিকর হইত যে, পাঠ ও শ্রবণ করিবার কালে দিল্লীশ্বর বড়ই প্রীত এবং বিস্মিত হইতেন । এবং লেখ্য দর্শন করিয়া একমুখে লেখক ও রচকের শত শত প্রশংসা করিতেন।” ইতিপূৰ্ব্বেই উল্লিখিত হইয়াছে, সৈয়দ হুসেন সাহ৷ ১৫৮৯ খৃঃঅন্ধ হইতে ১৫১৯ খৃঃ অঃ পৰ্য্যন্ত গৌড়ের রাজা ছিলেন। এই সময়ে লোদী বংশীয়ের দিল্লীর সম্রাট ছিলেন। চৈতন্যদেব ১৯৮৫ খৃঃ অব্দে জন্মগ্রহণ করেন, সুতরাং চৈতন্যদেব হুসেন যাহার সমসাময়িক ছিলেন । আকবর এ সময় দিল্লীর সম্রাট খৃঃ অব্দে বাবর সাহ কর্তৃক ভারতে মোগলসাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫৪২ খৃঃ অব্দে আকবর জন্মগ্রহণ করেন, এবং ১৫৫৬ খৃঃ সবে ১৪ বৎসর বয়ঃক্রমে দিল্লীর সিংহাসনে অধিরোহণ করেন । লেখক বলিতেছেন যে, তাহার লিখিত বিবৰণ “একখানি তুরকিনাম পারস্য ভাষার গোড় ইতিহাসে বর্ণিত আছে’ ইত্যাদি । এই তুরকিনামার সম্বন্ধে লেখক কোন প্রমাণ প্রয়োগ করেন নাই। ফলতঃ ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ করিতে হইলে । বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন পূৰ্ব্বক পূৰ্ব্বাপর সঙ্গতি রক্ষা করিয়া লেখাই কৰ্ত্তব্য ; কেবল জনশ্রুতি ও “আষাঢ়ে গল্প” অবলম্বন কর; কৰ্ত্তব্য নহে। লেখক মহাশয় এই সকল বৃত্তান্ত কোন বৈষ্ণৰতে সংগ্ৰহ করিয়াছেন, তাহ লিখিলে ভাল হইত। অাক"ভক্তমাল” গ্রন্থে + লিখিত আছে; সনাতন জীবনের 3 इ 豪 ड्रे থাক দূরে থাকুক, তখন তিনি জন্মগ্রহণও করেন নাই । ১৫২৬ -
- ভক্তমাল-বিংশতিমালা দেখ।