জটিল প্রশ্ন। কিন্তু অতীব আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, সেই সম্বর : আমরা প্রত্যেকে জীবনের প্রত্যেক মুহূর্তে অনুভব করিঃ - তাহা ভাষাতে প্রকাশ করিতে পারি না। আমি বেশ অনুভব করি । | তেছি সে সম্বন্ধ কি—কিন্তু তোমাকে বুঝাইতে গেলেই বিপদ! এই : সম্বন্ধের বিষয়ে বলা যাইতে পারে। “আশ্চৰ্য্যবং পশ্যতি কশ্চিদেনং আশ্চৰ্য্যবৎ বদতি তথৈব চীনাঃ । আশ্চৰ্য্যবৎ চৈনমন্য: শৃণোতি শ্ৰুত্বাপ্যেনং বেদ ন চৈব কশ্চিৎ" | ইহার কারণ অন্ততঃ কিয়ৎ পরিমাণে আমাদের ভাষার অসপূর্ণত। এই সম্বন্ধের তত্ত্ব ভাষায় বুঝাইতে গেলে নুতন ভাষা সঙ্কলন করিতে হয় । আমাদের প্রচলিত খাওয়-পরার ভাষাতে এই স্তন্ম তত্ত্ব প্রকটন করা অসাধ্য। ২৩ ॥ সাংখ্যদর্শনের কার্য্য কারণ তত্ত্ব ৷ সাংখ্যেরা বলেন— নাসদুৎপাদো নৃশৃঙ্গবৎ ॥ ১ । ১১৪ ৷ অর্থাৎ যেমন মনুষ্যের শৃঙ্গ উঠে না—তেমনি যাহা ছিল না তাই কদাচ উৎপন্ন হয় না। অপিচ— নীশঃ কারণলয়ঃ , ১ । ১২১ ৷ যখন কোনও পদার্থ বিনষ্ট হয়—তখন তাহার কারণে লীন হয় মাত্র। প্রকৃত পক্ষে কোনও পদার্থই নষ্ট হয় না। অর্থাৎ " দের এই সংসারে দ্রব্যের উৎপত্তিও নাই—দ্রব্যের বিনাশও না যাহাকে তোমরা বল উৎপত্তি তাহ আবির্ভাব মাত্র। সত্ব ই তমস নামক পদার্থপূঞ্জ-চিরকালই আছে চিরকালই থাকিবে। g ... ." . - সাংখ্যদর্শন। నిను একটা কলীকে ভাঙ্গির ফেল তাহ পূৰ্ব্বে যে মৃত্তিকা ছিল সেই মৃত্তিকাতেই পরিণত হইবে। কামনার আবির্ভাব তিরোভাবের । দ্যায় আমাদের এই সংসারের আবির্ভাব তিরোভাব হয়। যাহাকে আমরা কোনও পদার্থের কারণ বলি তাহ সেই পদার্থের পূর্বতন অবস্থাবিশেষ মাত্র ; যাহাকে আমরা কোনও পদার্থের কার্য্য বলি তাহ সেই পদার্থের পরবর্তী অবস্থাবিশেষ মাত্র। সংসারে একটি কথাও হইতেছে না বা সংসার হইতে একটি কথাও যাইতেছে না। । সংসারে নিত্যবস্তু অনেক হয় আর তাহদের অন্তোন্তাভিভব ও অন্তোন্তাশ্রয় জন্য সৰ্ব্বদাই সংসারের আকার পরিবর্তন হইতেছে ; কিন্তু কোন বস্তুরই কণামাত্র বিলুপ্ত হইতেছে না। সাংখ্যদর্শনের এইটি একটি বিশিষ্ট যুক্তি। তাহার এই যুক্তি অবলম্বন করিয়াই ঘোষণা করেন প্রকৃতি আদ্যন্তবিহীনা – পুরুষও আদ্যন্তবিহীন । ইহার যেমন স্বষ্টির অযোগ্য তেমনি বিনাশেরও অযোগ্য । - - ২৪ ॥ সাংখ্যের বিজ্ঞান শাস্ত্রের বিতণ্ডা স্থলে কি বলেন কি বা না বলেন ৷ অতঃপর বোধ হয় সাংখ্যদর্শনের কথায় সাধনার পাঠকবৃন্দ দিন ভাল লাগে ? বিরক্ত হইয়া উঠিতেছেন—এক কথা আর কত আমার মনে হইতেছে যে এক্ষণে এই প্রবন্ধমালার উপসংহার করা কৰ্ত্তব্য। এক্ষণে আর দুই একটি কথায় পাঠকবৃন্দের ধৈর্য্য ভিক্ষণ < |S| | . . - এই নশ্বর সংসারে আমাদের কাহারো—জ্ঞানপিপাসা কি ভোগ লালসা—মিটিতেছে না। আমরা সকলেই জানি দুই এক দিন বাদে সুস্থ নামক এক ঘোরতর অবস্থাবিপৰ্য্যয় উপস্থিত হইবে। আমরা পাই সত্বও পিপাসা ও লালসা লইয়াই কি মরিব মরিবার পর ।
পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।