পৌণ্ড ধরা হইয়াছিল। - এই কল্পনাশক্তি সমস্ত মানবীয় বৃত্তির মধ্যে উচ্চতম। যুধ্যাপক টণ্ড্যালের এই শক্তিটি প্রচুর পরিমাণে ছিল”। তত্ত্ববিদ্যা সম্বন্ধে ઉગ সাধন। হইতে ৩,২৪০,০০০ বৃদ্ধি পাইয়াছে। ১৮৬৯ অব্দে २०छेि যুরোপীয় রাজ্যের ৬,৯৫৮,০০০ সুশিক্ষিত সৈন্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। । ১৮৯২ অৰ্ব্বে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি হইয়া এক কোটা পচিশ লক্ষ চৌষট্টি হাজারে দাড়াইয়াছে। য়ুরোপে সৈন্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত যে আইন জারি হইয়াছে তাহ যখন কালসহকারে সম্পূর্ণরূপে কাৰ্য্যে পরিণত হইবে তখন যুরোপে স্থায়ী-সৈন্তসংখ্যা সৰ্ব্বশুদ্ধ २२,७२ •,प्र०० ंद् ।। ১৮৬৯ অব্দে ১৯ রাজ্যের যুদ্ধসজ্জার ব্যয়ের হিসাব ১১২,০০০,০০০ ১৮৯২ অব্দে তাহ প্রায় দ্বিগুণ হইয়া গিয়াছে—১৯৮,০০০,০০০ পৌণ্ড হইয়াছে। ঐ সকল লোকে শ্রমশিল্পে নিযুক্ত থাকিলে গড়ে তাহাদের মধ্যে প্রত্যেকে বার্ষিক ৪০ পৌঁও অর্জন করিত। অতএব সৰ্ব্বশুদ্ধ যুরোপীয় যুদ্ধসজ্জায় ব্যয় নুনিকল্পে } -পৌণ্ড দাড়াইতেছে গিফেন সাহেব বলেন, ফরাসী ہ ہ ہر ہ ہجربادت জৰ্ম্মান যুদ্ধের সময় দশ মাসে যে খরচ হইয়াছিল, শান্তিকালে । যুরোপে ২০ মাসে সেই খরচ হইতেছে। য়ুরোপের জাতীয় ঋণ এক্ষণে ৫০ কোট পৌণ্ডে দাড়াইয়াছে। অধ্যাপক টিণ্ডাল সম্বন্ধে হর্বট স্পেনসরের উক্তি। “ফর্টনাইট্লি রিভিউ” পত্রিকায় হর্বট স্পেনসর তাহার মৃত বন্ধু টিণ্ড্যালের যশ কীৰ্ত্তন করিয়া যে প্রবন্ধ লিখিয়াছেন তাহাতে টিণ্ড্যা" লের কল্পনাশক্তি সম্বন্ধে এই কথা বলেন ; “এই গঠনকারিণী কল্পনা । (স্মৃতিমূলক কল্পনার কথা এখানে বলিতেছি না) যাহা একদিকে কবির রচনায় এবং অন্যদিকে বৈজ্ঞানিকের আবিষ্কারে প্রকাশ পায়, টঙালের কিরূপ মতামত ছিল তাহ স্পেনসর একস্থলে এইরূপ বলেন। “মনোবিজ্ঞান ক্ষেত্রে বিচরণ করিতে করিতে তিনি তত্ত্ব জ্ঞান-ক্ষেত্রের অনির্দেগু সীমার মধ্যেও গিয়া পড়িয়াছিলেন। তত্ত্ববিদ্যাকে বিজ্ঞান বলা যায় কি না সন্দেহ—কারণ তত্ত্ববিদ্যা হইতে পরিণামে অজ্ঞেয়ত সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হয়। সচরাচর বৈজ্ঞানিকেরা যাহা আদৌ বুঝে না, তিনি তবু এ কথা বুঝিতেন যে, প্রত্যেক ভৌতিক পদার্থ শেষ পর্য্যন্ত অনুসন্ধান করিতে গেলে অতিভৌতিকে গিয়া উপনীত হইতে হয় এবং এমন একটি সমস্যা আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয় যাহা পূরণ করা আমাদের বুদ্ধির অসাধ্য। তিনি যে সকল বিষয় বলিয়া গিয়াছেন ও লিখিয়া গিয়াছেন তাহা হইতে এই কথাটি প্রমাণ হয়, তিনি বিশ্বাস করিতেন যে, জ্ঞাত পদার্থ অজ্ঞাত পদার্থের দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং এই অজ্ঞাত পদার্থ নাস্তি অপেক্ষ অধিক। বৈজ্ঞানিকদিগকে দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা যাইতে পারে, এক শ্রেণী যাহারা ফ্যারাডে প্রভৃতির দ্যায় বিজ্ঞান ও ধৰ্ম্মবিশ্বাসের সম্পূর্ণ তফাৎ করিয়া রাখেন—বিজ্ঞান ও ধৰ্ম্মের মধ্যে যে সকল অসঙ্গতি আছে তাহ লইয়। র্তাহার আপনাদের মস্তিষ্ক আলোড়িত করেন না। আর এক শ্রেণী যাহার একমাত্র বিজ্ঞানের বিষয় লইয়াই ব্যাপৃত থাকেন; তাহদের কখনই মনে হয় না যে উহাদের অন্তর্নিহিত আর কোন তত্ত্ব থাকিতে পারে। এই দুই শ্রেণীর কোন শ্রেণীর মধ্যেই টিণ্ডাল ভুক্ত ছিলেন না । এই শেষ শ্রেণীর লোকদিগের সম্বন্ধে যখন যাহা তাহাকে বুলিতে শুনিয়াছি তাহার মধ্যে গুঢ় অবজ্ঞাই প্রকাশ পাইত” । সাময়িক সারসংগ্ৰহ ৪৩৯
পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।