পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেখানে যে আদিম উলঙ্গ মানুষ বাহির হইয়া পড়ে উলঙ্গ ম্যাটাবিলি তাহার অপেক্ষ নিকৃষ্টতর নহে। কিছু সসঙ্কোচে বলিলাম নিকৃষ্টতর নহে, নিৰ্ভয়ে সত্য বলিতে গেলে অনেকাংশে শ্রেষ্ঠতর। বর্বর লবেঙ্গুলা ইংরাজদের প্রতি ব্যবহারে যে উদারতা এবং উন্নত বীরহাদয়ের পরিচয় দিয়াছে ইংরাজদের ক্রুর ব্যবহার তাহার নিকট লজ্জায় স্নান হইয়া রহিয়াছে ইংরাজের পত্রেই তাহ প্রকাশ পাইয়াছে। কোন ইংরাজ যে সে কথা স্বীকার করে ইহাই অনেকে ইংরাজের গৌরব বলিয়া মনে করিবেন এবং আমিও তাহা করি। কিন্তু আজকাল ইংরাজের মধ্যে অনেকে সেটাকে গৌরব বলিয়া জ্ঞান করে না। - তাহারা মনে করে ধৰ্ম্মনীতি আজ কাল বড় বেশি স্বল্প হইয়৷ আসিতেছে। পদে পদে এত খুৎখুৎ করিলে কাজ চলে না। ইংরাজের যখন গৌরবের মধ্যাহূকাল ছিল তখন সে নীতির স্বক্ষ গণ্ডিগুলা এক লম্ফে সে উল্লঙ্ঘন করিতে পারিত। যখন আবিস্তক তখন অন্যায় করিতে হইবে। অসভ্যগুলাকে ঠেলা মারিয়া সরাইরা দিয়া ইংরাজ যদি খানিকট চরিয়া খাইবার জায়গা পায় তবে কুষ্ঠিত হইলে চলিবে না। নৰ্ম্মাণ দস্থ্য যখন সমুদ্রে সমুদ্রে দস্থ্যবৃত্তি করিয়া বেড়াইত তখন তাহারা সুস্থ সবল ছিল, এখন তাহার যে ইংরাজ বংশধর ভিন্ন জাতির প্রতি জবরদস্তি করিতে কুষ্ঠিত হয় সে দুৰ্ব্বল রুগ্নপ্রকৃতি । - আমি ইংরাজ আমি তোমার সোনার খণি, তোমার গরুর পাল লুঠিতে ইচ্ছা করি ইহার জন্তে এত ছুতা এত ছল কেন, মিথ্যা ংবাদই বা কেন বানাই, আর দুটাে একটা দুরন্তপন ধৰু পড়িলেই বা এত উচ্চৈঃস্বরে কাগজে পরিতাপ করিতে বসি কেন! - কিসের মাটবিলি, কেই বা লবেঙ্গুলি, ৪৪৩ ৷ কিন্তু বালককালে যাহা শোভা পায় বয়সকালে তাহ শোভা । পায় না। একটা দুরন্ত লুব্ধ বালক নিজের অপেক্ষা ছোট এবং দুৰ্ব্বলতর বালকের হাতে মোওয়া দেখিলে কড়িয়া ছিড়িয়া লুটপাট করিয়া লইয়া এক মুহূৰ্ত্তে মুখের মধ্যে পূরিয়৷ বসে, হৃতমোদক অসহায় শিশুর ক্ৰন্দন দেখিয়াও কিছুমাত্র অনুতপ্ত হয় না। এমন কি, হয়ত ঠাস করিয়া তাহার গালে একটা চড় বসাইরা সবলে তাহার ক্ৰদন থামাইয়া দিতে চেষ্টা করে এবং অন্যান্ত বালকেরাও মনে মনে তাহার বাহুবল ও দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করিতে থাকে। বয়সকালেও সেই বলবানের যদি অসংযত লোভ থাকে তবে । সে আর চড় মারিয়া মোওয়া লয় না, ছল করিয়া লয় এবং যদি ৷ ধরা পড়ে ত কিছু অপ্রতিভ হয়। তখন সে আর পরিচিত প্রতিবেশীদের ঘরে হাত বাড়াইতে সাহস করে না ; দুরে কোন দরিদ্রপল্লীর অসভ্য মাতার উলঙ্গ শীর্ণ সন্তানের হস্তে যখন তাহার এক । সন্ধ্যার একমাত্র উপজীব্য খাদ্যখণ্ডটুকু দেখে চারিদিকে চাহিয়া । গোপনে ছে মারিয়া লয় এবং যখন তাহার ক্ৰন্দনে গগনতল বিদীর্ণ হইতে থাকে তখন সমাগত স্বজাতীয় পাস্থদের প্রতি চোখ টপিয়া বলে, এই অসভ্য কালো ছোকরাটাকে আচ্ছ শাসন করিয়া রিছি। কিন্তু স্বীকার করে না যে ক্ষুধা পাইয়াছিল তাই কড়িয়া খাইয়াছি। - পুরাকালের দস্থ্যবৃত্তির সহিত এই অধুনাতনকালের চৌৰ্য্যবৃত্তির অনেক প্রভেদ আছে। এখনকার অপহরণব্যাপারের মধ্যে পূৰ্ব্বকালের সেই নির্লজ্জ অসঙ্কোচ বলদৰ্প থাকিতেই পারে। না। এখন নিজের কাজের উপর নিজের চেতনা জন্মিয়াছে হতরাং এখন প্রত্যেক কাজের জন্য বিচারের দায়িক হইতে হয়। তাহাতে কাজও পূর্বের মত তেমন সহজে সম্পন্ন হয় না এবং গালিও Ç न्तः র য